সর্বশেষ

» জকিগঞ্জে নতুন গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান

প্রকাশিত: ১৫. জুন. ২০২১ | মঙ্গলবার


Manual5 Ad Code

চেম্বার ডেস্ক:: সিলেটের জকিগঞ্জে নতুন গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান পেয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি (বাপেক্স)।

Manual1 Ad Code

 

আজ মঙ্গলবার (১৫ জুন) সকাল ১০টায় উপজেলা শহরের অদূরে পশ্চিম আনন্দপুর গ্রামে অনুসন্ধান কূপে ডিএসটি (ড্রিল স্টিম টেস্ট) সৌভাগ্য শিখা জ্বালাতে সক্ষম হয়েছে কোম্পানিটি। পরীক্ষামূলক প্রতিটি ধাপে ‘পজিটিভ’ আলামত পাওয়া যাচ্ছে। চূড়ান্তভাবে সফল হতে পারলে এটি হবে দেশের ২৮তম গ্যাসক্ষেত্র।

তবে এটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্যাস ক্ষেত্র বলছেন না বাপেক্স কর্মকর্তারা। এখনও পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চলছে। অনেক সময় অনুসন্ধান কূপে পকেট থাকতে পারে। তাই পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। চূড়ান্তভাবে সফল হতে পারলে সেটিকে গ্যাস ক্ষেত্র ঘোষণা করা হবে।

 

Manual8 Ad Code

বাপেক্স সূত্রে জানা গেছে, কূপটির অভ্যন্তরে চাপ রয়েছে ৬ হাজার পিএসআই (প্রতি বর্গ ইঞ্চি) আর ফ্লোটিং চাপ রয়েছে ১৩ হাজারের অধিক। একটি স্তরের পরীক্ষা চলমান রয়েছে। কূপটিতে মোট ৪টি স্তরে গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা দেখছে বাপেক্স।

 

Manual6 Ad Code

বাপেক্সের ফিল্ড ম্যানেজমেন্ট উপবিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. মঞ্জুরুল হক বলেন, এটিকে এখনও গ্যাসক্ষেত্র বলা যাবে না। একটি অনুসন্ধান কূপে ডিএসটি (ড্রিল স্টিম টেস্ট) সৌভাগ্য শিখা জ্বলেছে। এর বাইরে পরীক্ষার কয়েকটি ধাপ রয়েছে। সবগুলো ধাপে সফলতা আসলে তখন কিছু বলা যাবে। আপাতত অনুসন্ধান কূপটিকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। অনেক সময় পকেট থাকতে পারে।

 

তিনি আরও বলেন, ওই এলাকাটিতে দীর্ঘ দিন ধরে পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। অনুসন্ধান চলছে। চূড়ান্তভাবে এখনই কিছু বলা যাবে না। তবে আমরা আশাবাদী। ভালো কিছু ফলাফল আসতে পারে।

 

সম্প্রতি একটি সেমিনারে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব আনিসুর রহমান ওই ফিল্ডটি সম্পর্কে বলেছিলেন, আমরা নতুন একটি ফিল্ডে সফল হতে চলেছি। সেখানে কূপের প্রেসার ৬০ হাজারের অধিক রয়েছে। পরীক্ষা চলছে এটি আমাদের জন্য দারুণ সুখবর হতে পারে। আশা করছি খুব শিগগিরই ভালো খবর দিতে পারবো।

 

Manual2 Ad Code

বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ২৭টি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে। এসব গ্যাসক্ষেত্রে প্রমাণিত মজুদের পরিমাণ ২১ দশমিক ৪ টিসিএফ, আরও ৬ টিসিএফ রয়েছে সম্ভাব্য মজুদ। এরমধ্যে প্রায় সাড়ে ১৮ টিসিএফ উত্তোলন করা হয়েছে। সে হিসেবে প্রমাণিত মজুদ অবশিষ্ট রয়েছে মাত্র ৩ টিসিএফ, আর সম্ভাব্য মজুদ রয়েছে আরও ৭ টিএসএফ’র মতো।

 

১১৩টি কূপ দিয়ে প্রতি বছরে উত্তোলিত হচ্ছে প্রায় ১ টিসিএফ’র মতো। এরমধ্যে দেশীয় কোম্পানির ৭০টি কূপের (দৈনিক) ১ হাজার ১৪৫ এমএমসিএফডি, আইওসির ৪৫টি কূপের উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে ১ হাজার ৬১৫ এমএমসিএফ (মিলিয়ন ঘনফুট)। দৈনিক কমবেশি ২ হাজার ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলিত হচ্ছে। গ্যাসের ঘাটতি মোকাবেলায় এলএনজি আমদানি করতে হচ্ছে।

           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031  
Manual1 Ad Code
Manual6 Ad Code