সর্বশেষ

আজ যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন: শেষ হাসি কে হাসছেন, হাতি না গাধা ?

প্রকাশিত: ০৩. নভেম্বর. ২০২০ | মঙ্গলবার

চেম্বার ডেস্ক:: গোটা বিশ্বের দৃষ্টি এখন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে। করোনা মহামারীর মধ্যে দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হতে যাচ্ছে আজ। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় ভোর ৬টায় (বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫টায়) নির্বাচনে প্রথম ভোট পড়বে।

 

এবারের নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ বিভিন্ন গবেষণা সংস্থা নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

 

প্রতিবারের মতো এবারও ‘হাতি’ প্রতীকে নির্বাচনী মাঠে রিপাবলিকান প্রার্থী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অন্যদিকে ‘গাধা’ প্রতীকের ব্যালটে বারাক ওবামার উত্তরসূরি ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন।

 

এখন পর্যন্ত হওয়া প্রায় সব জরিপেই ‘হাতি’র চেয়ে নির্বাচনী দৌড়ে এগিয়ে ‘গাধা’। সর্বশেষ নিউইয়র্ক টাইমস ও সিয়ানা কলেজের জরিপে চার গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে এগিয়ে ‘গাধা’র প্রার্থী জো বাইডেন। তবে ভোটাররা ‘গাধা’ নাকি ‘হাতি’র পিঠেই বোঝা চাপাবেন তা জানা যাবে নির্বাচনের ভোট গণনার পর।

 

বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘নির্বাচনী জরিপ ফলাফল নয়। এটি ভুল প্রমাণিত হতে পারে। গত নির্বাচনে সব জরিপে হিলারি ক্লিনটন এগিয়ে থাকলেও শেষ পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সুতরাং ট্রাম্পের নির্বাচিত হওয়ার আশা এখনো শেষ হয়ে যায়নি।’

 

নির্বাচনে জিততে ‘গাধা’ ও ‘হাতি’র বিতর্কে বিস্মিত হয়েছে গোটা বিশ্ব। কখনো ‘গণতান্ত্রিক’ উপায়ে আবার কখনো ‘বেপারোয়াভাবে’ চটেছেন একজন আরেকজনের ওপর। ভোটারদের বাগে আনতে করেছেন নানারকম ছলচাতুরি। ‘হাতি’ রীতিমত অভিযোগ করে বেশ কয়েকবার বলেছেন, ‘গাধা জিতলে, জিতবে চীন, হারবে আমেরিকা। ধূলিসাৎ হবে আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের স্বপ্ন।

 

অন্যদিকে ‘হাতি’কে ক্ষেপাটে বুড়ো আখ্যা দিয়েছেন ‘গাধা’ সমর্থকরা। করোনা মহামারি, জলবায়ু পরিবর্তন ও পররাষ্ট্র নীতি নিয়ে ‘গাধা’র শিবিরে তীব্র সমালোচিত ‘ঘোড়া’। করোনা মহামারিকে সঠিক উপায়ে না ঠেকানোয় ‘হাতি’র শাস্তি দাবি করেছেন ‘গাধা’। বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণবাদ ছড়াচ্ছেন ‘হাতি’র প্রার্থী ট্রাম্প।’

 

তবে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বত্র এখন একটাই প্রশ্ন কে হবেন পরবর্তী প্রেসিডেন্ট? রিপাবলিকান প্রার্থী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নাকি ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী জো বাইডেন? শেষ মুহূর্তে চলছে তারই চুলচেরা বিশ্লেষণ। নির্বাচনে শ্বেতাঙ্গ জনগোষ্ঠীর ভোটার প্রায় ৭০ শতাংশ। আর কৃষ্ণাঙ্গ ১১, হিসপ্যানিক ১১ ও এশিয়ানসহ অন্যান্য ৮ শতাংশ ভোট। সংখ্যাগরিষ্ঠ শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে বেশির ভাগ গ্রামাঞ্চলে বাস করেন।

 

তারা প্রায় সবাই রক্ষণশীল মানসিকতার এবং রিপাবলিকান দলের সমর্থক। শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে যারা শিক্ষিত ও শহরাঞ্চলে বসবাস করেন তাদের মধ্যে ডেমোক্র্যাট দলের সমর্থক বেশি।

 

অপরদিকে সংখ্যালঘু কৃষ্ণাঙ্গ, হিসপ্যানিক ও এশিয়ানসহ অভিবাসীদের সিংহভাগ ডেমোক্র্যাটকে সাধারণত ভোট দেয়। ২০০৮ ও ২০১২ সালে বারাক ওবামা সংখ্যালঘু ভোট পেলেও ২০১৬ সালের নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটন তা পাননি। তাদের অনেকেই ভোট দিতে যাননি।

           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

November 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930