সর্বশেষ

» দেশে ফের করোনাভাইরাস দ্রুত ছড়ানোর বিষয়ে যা জানাল আইসিডিডিআর’বি

প্রকাশিত: ০৫. জুলাই. ২০২২ | মঙ্গলবার

চেম্বার ডেস্ক:: দেশে ফের করোনাভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার কারণ হিসেবে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের নতুন দুই সাব ভ্যারিয়েন্ট (বিএ.৪ এবং বিএ.৫) দায়ী বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর’বি)। এসব সাব-ভ্যারিয়েন্ট উচ্চ সংক্রামক হলেও মৃত্যু ও হাসপাতালে ভর্তির হার কম বলে জানিয়েছে গবেষণা কেন্দ্রটি।

আজ মঙ্গলবার (৫ জুলাই) আইসিডিডিআর’বির অফিসিয়াল সাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সাব-ভ্যারিয়েন্ট বিএ.৪ এবং বিএ.৫ আগের সাব ভ্যারিয়েন্টগুলোর তুলনায় দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে। ফলে দেশে সংক্রমণের নতুন ঢেউ দেখা দিয়েছে। এ সাব-ভ্যারিয়েন্ট দুটি সর্বপ্রথম ২০২২ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হয়েছিল।

দেশে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট প্রথম শনাক্ত হয় ২০২১ সালের ৬ ডিসেম্বর। প্রাথমিকভাবে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের প্রথম দুই সপ্তাহে বেশিরভাগ করোনা পজিটিভ কেস ছিল বিএ.১। পরে জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহ থেকে সংক্রমিত হয় সাব-ভ্যারিয়েন্ট বিএ.২। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিএ.১ প্রতিস্থাপন করে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত সংক্রমণ ঘটায়।

আইসিডিডিআর’বি জানায়, চলতি বছরের ৯ এপ্রিল থেকে ১৩ মে’র মধ্যে দেশে করোনা শনাক্তের হার খুব কম থাকায় সিকোয়েন্সিং করা সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় গত ১৯ মে ঢাকায় প্রথম সন্দেহভাজন ওমিক্রন সাবভ্যারিয়েন্ট বিএ.৫ রোগী শনাক্ত করা হয়। এরপর গত ছয় সপ্তাহে (১৪ মে থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত) বিএ.৫ সবচেয়ে প্রভাবশালী সাব-ভ্যারিয়েন্ট হয়ে উঠে। এমনকি এ সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণ জিনোম সিকোয়েন্সিং ব্যবহার করে ৫২টি করোনা পজিটিভের ঘটনায় মধ্যে ৫১টি বিএ.৫ সাব-ভ্যারিয়েন্ট এবং একটি বিএ.২ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল।

৪০ জন বিএ.৫ সংক্রমিত রোগীর ক্লিনিক্যাল ডাটা এবং টিকাদানের ইতিহাস পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, সংক্রমিতদের মধ্যে ১৬ জন পুরুষ ও ২৪ জন নারী রয়েছেন। তাদের ৩৯ জনের মধ্যে করোনার মৃদু উপসর্গ দেখা গেছে এবং একজনের মধ্যে কোনো উপসর্গ দেখা দেয়নি। তাদের মধ্যে মাত্র একজনকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল। এদের মধ্যে ১১ জন দ্বিতীয়বারের মতো এবং সাতজন তৃতীয়বারের মতো করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।

এদিকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, দেশে সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও ১ হাজার ৯৯৮ জন।

বিজ্ঞপ্তির তথ্যানুযায়ী, নতুন ৭ জনসহ দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ১৮৮ জনে দাঁড়িয়েছে। অপরদিকে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৮২ হাজার ৯৭২ জনে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজার ৮৮২টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১১ হাজার ৯৩২টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৭৪ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ।

সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৮৯৪ জন। এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৯ হাজার ৭৪ জন।

এদিকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ মাস্ক পরাসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে ৬টি নির্দেশনা দিয়েছে। গত ২৮ জুন রাতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে চলাচল ও সার্বিক কার্যাবলীর ক্ষেত্রে এসব নির্দেশনা জারি করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

July 2024
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031