সর্বশেষ

» আমরা নিজেরা ভ্যাকসিন তৈরি করতে চাই : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১৫. নভেম্বর. ২০২১ | সোমবার

চেম্বার ডেস্ক:: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় আমাদের যে সাফল্য আমরা তার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছি। জলবায়ু সম্মেলনে গিয়ে আমি এটিও বলে এসেছি, আমরা নিজেরা ভ্যাকসিন তৈরি করতে চাই। ভ্যাকসিন তৈরিতে যে বাধাগুলো আছে, সেগুলো আপনাদের সরিয়ে দিতে হবে।

 

তিনি বলেন, এটা উন্মুক্ত করতে হবে। এটা জনগণের প্রাপ্য। এটা জনগণের সম্পদ হিসেবে দিতে হবে। যেন সারাবিশ্বের কোনো মানুষ এই ভ্যাকসিন থেকে দূরে না থাকতে পারে। আমাদের সুযোগ দিলে আমরাও ভ্যাকসিন উৎপাদন করব। আমাদের সেই সক্ষমতা আছে। সেজন্য আমি জমিও কিনে রেখেছি। আমরা কিন্তু উদ্যোগ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে একটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার ‘ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ ইন দ্য ফিল্ড অব ক্রিয়েটিভ ইকোনমি’ প্রবর্তন করায় এর ওপর আনীত প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে আজ সোমবার (১৫ নভেম্বর) তিনি এসব কথা বলেন।

 

বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের নিহতদের স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাত্র সাড়ে তিন বছরে তিনি একটি যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশ গড়ে তুলছিলেন। আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্যপদ লাভ করে বাংলাদেশ। পৃথিবীর কোনো দেশ স্বাধীনতার পর এত অল্প সময়ে এত স্বীকৃতি আদায় করতে পারেনি, যেটা বাংলাদেশ পেরেছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো বলিষ্ঠ নেতৃত্ব আমাদের ছিল বলেই সেটা সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য, এ দেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক মুক্তির জন্য, স্বাধীনতাকে অর্থবহ করার জন্য, স্বাধীনতার সুফল বাংলাদেশের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য তিনি যখন অর্থনৈতিক কর্মসূচি ঘোষণা দিলেন, দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচির ঘোষণা দিলেন, ঠিক সেই মুহূর্তে তাকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে হত্যা করা হলো। এই হত্যাকাণ্ড শুধু রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু বা শেখ মুজিবকে না বরং, আমাদের পরিবার ও অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনকেও হত্যা করা হলো।

তিনি বলেন, ওদের মনে হয় একটাই চিন্তা ছিল। জাতির পিতাকে পরিবারসহ হত্যা করলে বাংলাদেশ যে মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছিল, বিজয়ী জাতি হিসেবে যেভাবে মাথা তুলে বিশ্ব দরবারে চলছিল, সেই জায়গাটা নষ্ট করা। স্বাধীনতার সুফল যেন বাংলাদেশের ঘরে না পৌঁছায়, স্বাধীনতা যেন ব্যর্থ হয়, ওই বিজয় যেন ব্যর্থ হয়, এটাই বোধহয় প্রচেষ্টা ছিল। যেটা আমরা দেখেছি ২১ বছর। সেভাবেই দেশ পরিচালনা করা হয়েছে। অন্যথায় বাংলাদেশের মানুষের যে উন্নয়ন করা যায় সেটা আজ আমরা প্রমাণ করেছি, প্রমাণ করতে পেরেছি।

 

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সব সময় উদ্যোগ রয়েছে। যেটা জাতির পিতা আমাদের সংবিধান দিয়েছেন। আমাদের চার মৌলিক নীতি দিয়েছেন। পাশাপাশি মানুষের মৌলিক অধিকারের কথাগুলো বলেছেন। বাংলার ভূমিহীন মানুষদের ঘর বাড়ি তৈরি করে দেওয়া, চিকিৎসাসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া, শিক্ষার ব্যবস্থা করা, শিক্ষাকে অবৈতনিক করা।

 

তিনি বলেন, একটি যুদ্ধ-বিধ্বস্ত বাংলাদেশ। কোনো কারেন্সি নোট নেই। এ অবস্থায় প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারিকরণ করে প্রায় দেড় লক্ষাধিক সরকারি চাকরি দেওয়া, এমনকি যেসব পত্রপত্রিকায় আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল, যেগুলো তারা চালাতে পারছিল না। সেই সাংবাদিকদের পর্যন্ত সরকারি চাকরির মর্যাদা দিয়েছেন তিনি। প্রত্যেকটি শিল্প-কারখানা—মা যেমন সন্তানকে সেবা-শুশ্রূষা করে সুস্থ করে ঠিক সেভাবে প্রতিটি পাকিস্তানিদের পরিত্যক্ত কারখানাকে বা ফেলে দেওয়া বা বন্ধ করে দেওয়া কলকারখানাগুলো তিনি জাতীয়করণ করে চালু করেন।

 

এর আগে কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ ধারা অনুযায়ী উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ এ প্রস্তাব আনেন। প্রস্তাবে তিনি উল্লেখ করেন, ‘সংসদের অভিমত এই যে, জাতিসংঘের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞান-বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে একটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার ‘ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ ইন দ্য ফিল্ড অব ক্রিয়েটিভ ইকোনমি’ প্রবর্তন করায় জাতীয় সংসদে বিশেষ আলোচনার মাধ্যমে ইউনেস্কোকে বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ হতে আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানানো হোক।

 

এর আগে, সংসদে এর ওপর অনেক এমপি-মন্ত্রী আলোচনা করেন। বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদেরও বক্তব্য দেন।

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

July 2024
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031