- ডেট্রয়েট এবং ঢাকা উত্তর সিটি’র মধ্যে সমযোতা চুক্তি স্বাক্ষর
- লন্ডনে ‘রাউই’ নাশীদ’র অভিষেক ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত
- উমেদ ও ফরহাদের মামলা প্রত্যাহারের দাবী সিলেট স্বেচ্ছাসেবক দলের
- সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের নির্বাচন সাময়িক স্থগিত
- ত্যাগী, দুঃসময়ে যারা ছিল তাদের দিয়ে কমিটি করবেন : ওবায়দুল কাদের
- সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে ডিসিদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
- বিআইডব্লিউটিএর অনুমোদন ছাড়া কোনো সেতু নয়: নৌপ্রতিমন্ত্রী
- সাম্প্রদায়িক শক্তি যেনো মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে: প্রধান বিচারপতি
- প্রয়োজনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তন করা হবে : আইনমন্ত্রী
- স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার মূল চাবিকাঠি ডিজিটাল সংযোগ : প্রধানমন্ত্রী
» মৃত্যুদণ্ডের বিধান করায় ধর্ষণ কমবে, আশা আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের
প্রকাশিত: ১২. অক্টোবর. ২০২০ | সোমবার

চেম্বার ডেস্ক:: ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করায় এ অপরাধ কমবে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।
সোমবার (১২ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানের বাসায় প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ আশা ব্যক্ত করেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় ধর্ষণের জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান ছিল। মন্ত্রিসভার আজকের বৈঠকে ওই আইনের ৯(১) ধারায় সংশোধনীর প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। সংশোধনী অনুযায়ী, ধর্ষণের শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। ৯(১) ধারার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকায় ৯(৪) ধারাতেও সংশোধন আনা হয়েছে। ধর্ষণের সাজা যাবজ্জীবন থেকে মৃত্যুদণ্ড করায় এই অপরাধ কমবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডের ব্যাপারে অনেক বিতর্ক আছে। তারপরও বর্তমান পরিস্থিতির কারণে এই সাজা বাড়ানো উচিত বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনে করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে মৃত্যুদণ্ডের ব্যাপারে সংশোধনী আনা হয়েছে। এর পাশাপাশি পুরাতন ধর্ষণ মামলাগুলো আগে এবং নতুন মামলাগুলো যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
সরকার আইনে বিশ্বাস করে, এ দাবি করে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আইনি প্রক্রিয়ায় যতটুকু সময় লাগে, সেই সময়ের মধ্যে ধর্ষণ মামলাগুলোর বিচার সম্পন্ন করার ব্যবস্থা ও চেষ্টা সরকার করবে।’
তিনি বলেন, ‘বিচার বিভাগ স্বাধীন। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা অবশ্যই রক্ষা করা হবে। প্রধান বিচারপতিকে অনুরোধ করা হবে, তিনি যেন একটি প্র্যাকটিস ডাইরেকশন দেন, যাতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের মামলাগুলো দ্রুত শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিচারকগণ যথাযথ পদক্ষেপ নেন। অপরদিকে, আইন মন্ত্রণালয় থেকেও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপিদেরকে নিদের্শনা দেওয়া হবে, যাতে তারা ধর্ষণ মামলাগুলো শেষ করার ব্যাপারে ইমিডিয়েট পদক্ষেপ নেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘কিছুদিন আগে হাইকোর্ট বিভাগের একটি দ্বৈত বেঞ্চ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১(গ) ধারা সংশোধন করে সাধারণ জখমের জন্য আপসের বিধান রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সে অনুযায়ী ১১(গ) ধারা সংশোধন করে আপসের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া, ২০১৩ সালের শিশু আইনে একটি সংশোধনী আনা হয়েছে।’
তিনি জানান, আজকের মন্ত্রিসভার বৈঠকে উল্লিখিত সংশোধনীগুলো ভেটিং সাপেক্ষে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সংসদ অধিবেশন চলমান না থাকায়, এটা অধ্যাদেশ আকারে জারি করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে এবং আগামীকাল রাষ্ট্রপতির আদেশবলে এটাকে অধ্যাদেশ হিসেবে জারি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার।
তিনি আরও জানান, আগে সাক্ষীদের আদালতে আসার ব্যাপারে কিছু সমস্যা ছিল। এখন সরকার সাক্ষীদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মেসেজ দেওয়ার একটি পদ্ধতি অবলম্বন করছে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, এসব নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করে ধর্ষণ মামলাসহ অন্যান্য মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হবে।
সাক্ষী সুরক্ষা আইন নিয়েও সরকার কাজ করছে বলে জানান আইনমন্ত্রী।
[hupso]সর্বাধিক পঠিত খবর
- কানাইঘাটে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ১০ জন আহত, গ্রেফতার-১
- ফের বাংলাদেশ থেকে ব্রিটিশ ভিসা দেওয়া শুরু, রয়েছে নানা শর্ত
- আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি মাহফুজের, ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম
- কানাইঘাটে পরকীয়ায় বাঁধা দেয়ায় যুবককে কুপিয়ে আহত,থানায় অভিযোগ দায়ের
- কানাইঘাটে ৫০ উর্ধ্ব মহিলার যৌন হেনেস্থার ভিডিও যে ভাবে ধারণ করে বখাটেরা
এই বিভাগের আরো খবর
- সাম্প্রদায়িক শক্তি যেনো মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে: প্রধান বিচারপতি
- প্রয়োজনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তন করা হবে : আইনমন্ত্রী
- বিচারকের বিরুদ্ধে স্লোগানের ব্যাখ্যা দিতে হাইকোর্টে ২১ আইনজীবী
- রাষ্ট্রপতি নির্বাচন: স্পিকারের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চেয়েছেন সিইসি
- তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আর ফিরে আসার সুযোগ নেই : আইনমন্ত্রী