- মেরিট গার্ডেন গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণ সম্পন্ন
- নিঃস্ব মানুষের দীর্ঘশ্বাস শুনতে ধসে পড়া কুশিয়ারাপারে অ্যাড. এমরান চৌধুরী
- জামায়াত ক্ষমতায় গেলে কাউকে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী, দুর্নীতি করতে দিবে না: মাওলানা হাবিবুর রহমান
- নির্বাচিত হলে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলতে কাজ করবো: এম এ মালিক
- কানাইঘাট লোভা কোয়ারীতে প্রশাসনের অভিযান
- নতুন ভবনে রূপালী ব্যাংক কানাইঘাট শাখার স্থানান্তরের শুভ উদ্বোধন
- কানাইঘাট লোভাছড়া সীমান্তে ভারতীয় খাসিয়ার গুলিতে বাংলাদেশি নিহত, আহত কয়েকজন
- কানাইঘাটে ট্রাফিক পুলিশের হাতে ভারতীয় ৪০৭৪ পিস ক্রিমসহ প্রাইভেট কার আটক
- জামায়াত জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়তে চায়: হাবিবুর রহমান
- সিলেট সেনানিবাসে মর্যাদাপূর্ণ আয়োজনে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন
» ছোটগল্প: রক্তে লেখা পিপাসা || সুলেমান চৌধুরী
প্রকাশিত: ০৫. জুলাই. ২০২৫ | শনিবার
সুলেমান চৌধুরী: কারবালার মরুর বালু গরম হয়ে উঠেছে আগুনের মতো। সূর্য মাথার ঠিক ওপরে। বালুর উপর পা রাখলেই যেন পুড়ে যায়। কারবালার সেই প্রান্তর, যেখানে সূর্য আলো নয়—জ্বলন্ত শাস্তি হয়ে নেমে এসেছে। আকাশও নীরব। বাতাস থেমে গেছে। যেন সমস্ত সৃষ্টিই চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে এক ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হতে।
ইমাম হুসাইন (রা.) দাঁড়িয়ে আছেন তাঁর ছিন্নভিন্ন তাঁবুর পাশে। চারদিকে নীরবতা, কিন্তু হৃদয়ের গভীরে চলছে এক রক্তক্ষরা যুদ্ধ—সত্যের সাথে অন্যায়ের, ভালোবাসার সাথে ঘৃণার।
তাঁর কোলে ছোট্ট শিশু আলী আসগর। মাত্র ছয় মাস। মুখ শুকনো, ঠোঁট ফাটা, চোখে জল নেই—শুধু শূন্য দৃষ্টিতে
নিঃশব্দে ফ্যাকাশে পিতার দিকে তাকিয়ে আছে। কোনো কান্না নেই, শুধু এক জিজ্ঞাসা—আমার কী দোষ?
হুসাইন (রা.) ধীরে ধীরে তাঁবু ছেড়ে এগিয়ে গেলেন শত্রু সেনাদের দিকে। শিশুটিকে তুলে ধরলেন আকাশের দিকে।
—এই শিশু তো তোমাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেনি। সে তো শুধু একটু পানি চায়। তোমরা কি ওর মুখের দিকে তাকাতে পারো?”
কিন্তু জবাব এলো না ভাষায়,এলো তীরের মুখে। এক নিষ্ঠুর তীর ছুটে এসে শিশুটির কচি গলা চিরে দিলো। ছোট্ট দেহটি নিস্তেজ হয়ে গেল পিতার বুকে।
হুসাইন (রা.) দাঁড়িয়ে রইলেন—চোখে জল, কিন্তু মুখে কোনো অভিযোগ নেই। ধীরে ধীরে ফিরে গেলেন তাঁবুতে। শিশুটির রক্তে নিজের জামা ভিজিয়ে রাখলেন। যেন ইতিহাস একদিন ভুলে না যায়, কে কাকে খুন করেছিল।
এরপর তিনি প্রস্তুত হলেন। সত্যের পথে একাকী যাত্রা করতে হবে তাঁকে। বন্ধু নেই, সেনা নেই। কিন্তু তাঁর কাছে ছিলো যা সবচেয়ে বড়—আদর্শ।
তিনি জানতেন,এই যুদ্ধ জেতা যাবে না অস্ত্র দিয়ে। তাঁর বিরুদ্ধে যারা, তারা সংখ্যায় বহু, কিন্তু চিন্তায় শূন্য। মৃত্যু অনিবার্য, তবু পিছু হটলেন না।
কারণ তিনি জানতেন – এই যুদ্ধ জেতা যাবে আত্মত্যাগ দিয়ে, ন্যায়ের অটল বিশ্বাস দিয়ে। তিনি তলোয়ার হাতে তুলে নিলেন। কারো বিরুদ্ধে নয়, বরং মিথ্যার রাজত্বের বিরুদ্ধে।
শেষ বিকেলে, রক্তে ভিজে গেলো বালুরাশি। তিনিও শহীদ হলেন। তাঁর রক্তে ভিজে গেল কারবালার বালুকণা। তবে তিনি রেখে গেলেন এক প্রশ্ন—কে ছিলো বিজয়ী?
সর্বশেষ খবর
- মেরিট গার্ডেন গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণ সম্পন্ন
- নিঃস্ব মানুষের দীর্ঘশ্বাস শুনতে ধসে পড়া কুশিয়ারাপারে অ্যাড. এমরান চৌধুরী
- জামায়াত ক্ষমতায় গেলে কাউকে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী, দুর্নীতি করতে দিবে না: মাওলানা হাবিবুর রহমান
- নির্বাচিত হলে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলতে কাজ করবো: এম এ মালিক
- কানাইঘাট লোভা কোয়ারীতে প্রশাসনের অভিযান
সর্বাধিক পঠিত খবর
- সিলেট সরকারি মদন মোহন কলেজে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা
- সিলেট-৫ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী আশিক চৌধুরীর লিফলেট বিতরণ
- কানাইঘাট প্রেসক্লাবে প্রবাসী কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের নিয়ে মতিবিনিময়
- কানাইঘাটে বিএনপির জনসভা: সিলেট-৫ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী চান নেতাকর্মীরা
- জাতির প্রত্যাশা পূরণে জামায়াতের পথ চলা অব্যাহত থাকবে : মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন

