সর্বশেষ

সরকারকে আর সময় দেয়া যাবে না: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত: ০৯. অক্টোবর. ২০২০ | শুক্রবার

Manual1 Ad Code

চেম্বার ডেস্ক:: সরকারকে আর সময় দেয়া যাবে না বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, বিভিন্ন স্থানে নারী নির্যাতন বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘের মহাসচিব পর্যন্ত উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। একটা জাতির জন্য এর চেয়ে লজ্জা কী হতে পারে।

Manual2 Ad Code

 

ফখরুল বলেন- যে জাতি স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা অতীতে করেছিল, আজকে উন্নয়নের জন্য লড়াই করছে সেই জাতিকে ধর্ষণের মতো ভয়ঙ্কর একটা অবস্থায় আজকে চিত্রিত হতে হচ্ছে। এ থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ হচ্ছে-আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এই সরকারকে সরাতে হবে। এরা জনগণের বিরুদ্ধে সরকার।

 

Manual8 Ad Code

শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

Manual7 Ad Code

 

‘সরকারি দলের দুর্বৃত্তদের হাতে সিলেটের এমসি কলেজ প্রাঙ্গনে নববধূর সম্ভ্রমহানি, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এক গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনাসহ সারা দেশে অব্যাহত নারী ও শিশুর ওপর সহিংস্রতার প্রতিবাদে’ কর্মসূচির আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল।

 

মির্জা ফখরুল বলেন, সমাজের এই ভয়াবহতা, বেঁচে থাকার অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার যদি প্রতিষ্ঠা করতে হয় আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। দলমত-ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সরকারকে সরাসরি বলতে হবে- আর কোনো সময় দেয়া যাবে না। আর কোনো সময় দিলেই এখন এর পরিণতি ভালো হবে না। আসুন আজকে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠার জন্য গণতন্ত্রের মাতা দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জন্য, তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনার জন্য। আমরা এদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আমরা জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই, নারী ও শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আসুন সবাই সেই লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হই।

 

শিক্ষা বোর্ডের সার্কুলার প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, পত্রিকায় একটা খবর এসেছে যে, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা যারা দিচ্ছে বা যারা স্কুলে পড়ছে তাদের উদ্দেশ্যে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড থেকে একটা সার্কুলার দেয়া হয়েছে। এই সার্কুলারের মধ্যে লিখেছে যে, তারা কেউ এমন কোনো সোশ্যাল মিডিয়াতে কোনো বক্তব্য দিতে পারবে না যেটা সরকারের বিরুদ্ধে যাবে, সরকারের ভাবর্মূতি ক্ষুণ্ণ করবে। এই থেকেই প্রমাণিত হয়, আজকে একেবারে ছাত্রদেরকে, কিশোরদেরকে, তরুণদেরকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে সরকার। বিস্মিত হতে হয় যে. স্কুল-কলেজ পর্যায়ে সার্কুলার জারি করে তাদের মতপ্রকাশের যে স্বাধীনতা তা ধ্বংস করা হচ্ছে। এটা শুধু এখানে নয়, সারা দেশে সাংবাদিকরা, রাজনীতিবিদরা, এমনকি যারা আইন পেশায় আছেন তারাও আজকে তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারছে না।

 

তিনি বলেন, এরকম একটা পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের মানুষ পড়েছে যারা সারা জীবন একটা মুক্ত অবস্থায় বাস করতে চেয়েছে। যারা মুক্ত অবস্থায় বাস করার জন্য সংগ্রাম করেছে, স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছে। এমন বাংলাদেশ তো আমরা দেখতে চাইনি। দেখতে চেয়েছিলাম একটা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ, যে দেশে যে রাষ্ট্রের মানুষের স্বাধীনতা থাকবে, বহুমত থাকবে। বহুমতের ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক সৌরভ ছড়িয়ে দেবে।

 

Manual5 Ad Code

মির্জা ফখরুল বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সেইজন্যই বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করে বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন, একদলীয় শাসন বাতিল করেছিলেন। দেশনেত্রী খালেদা জিয়া সংসদীয় গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করে আবার দেশে গণতন্ত্র চালু করলেন। আজকে এক যুগ ধরে এদেশের মানুষ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তারা (সরকার) মানুষের অধিকারকে ধ্বংস করেছে এবং আজকে ন্যূনতম মানুষের বেঁচে থাকার জন্য একজন নারী, একজন শিশুর যে অধিকার তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

 

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, যারা দুস্ককর্ম করছে, অনাচার করছে তাদের পৃষ্ঠপোষক এই সরকার। তাদের পৃষ্ঠপোষক না হলে সমাজের মধ্যে এই সম্ভমহানি, নারী ও শিশু নির্যাতন বারবার কেন হবে? এরা যে পৃষ্ঠপোষক তার অনেক দৃষ্টান্ত রয়েছে। ২০০৯-১০ সালে নাটোরের উপজেলা চেয়ারম্যান নুর হোসেন বাবুকে যুবলীগ-ছাত্রলীগের ছেলেরা হত্যা করে তার লাশের ওপর নাচানাচি করেছে। বহুদিন অতিবাহিত হয়ে গেল চার্জশিট দেয়া হয়নি। কারণ ওই হত্যাকারীদের বাঁচাতে চায় সরকার।

 

মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিতে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খানের পরিচালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন- মহিলা দলের নেওয়াজ হালিমা আরলি, নিলোফার চৌধুরী মনি, শাম্মী আখতার, অপর্না রায় প্রমুখ।

           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

November 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
Manual1 Ad Code
Manual2 Ad Code