সর্বশেষ

» সিলেট টেক্সটাইল মিলস পুনঃ চালু করার লক্ষ্যে স্টেকহোল্ডাদের নিয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত: ২৫. নভেম্বর. ২০২৩ | শনিবার

Manual3 Ad Code

চেম্বার ডেস্ক: সিলেট টেক্সটাইল মিলস দীর্ঘ মেয়াদী লীজ পদ্ধতিতে পুনঃ চালু করার লক্ষ্যে স্টেকহোল্ডাদের নিয়ে ‘দিনব্যাপী কর্মশালা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

Manual2 Ad Code

আজ শনিবার সকাল ১১টা থেকে সিলেটের জেলা প্রশাসকে সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস্ কর্পোরেশন (বিটিএমসি) এ কর্মশালা আয়োজন করে।
সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান এর সভাপতিত্বে
এতে প্রধান অতিথি ছিলেব বস্ত্র ও পাট মন্ত্রনালয়ে সচিব মোঃ আব্দুর রউফ,বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস্ কর্পোরেশন (বিটিএমসি) চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ জিয়াউল হক এনডিসি,এফডব্লিউসি,পিএসসি।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রনালয়ে সচিব মোঃ আব্দুর রউফ বলেন, বর্তমান সিলেট নগরীতে অবস্হিত প্রাচীনতম সরকারী প্রতিষ্ঠান সিলেট টেক্সটাইল মিলস বেসরকারী বিনিয়োগ ও দীর্ঘস্থায়ী লীজের মাধ্যমে বন্ধথাকা মিলটি সরকার পুনরায় চালু করতে চায়। দেশে অন্যান্যস্হানে বন্ধথাকা মিলগুলো চালুর মতো সরকারের এমন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে যেনীতি অনুসরণ করা হচ্চে সে অনুসারে সিলেটে দীর্ঘদিন যাবত বন্ধথাকা ‘সিলেট টেক্সটাইল মিলস’ বেসরকারীভাবে পুনরায় চালু করতে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেক্ষেত্রে সরকারের সিদ্ধান্ত ও নীতি অনুসরণ করে সিলেটের স্হানীয় দেশ ও প্রবাসী উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগ কারীদেরকে এগিয়ে আসতে তিনি আহবান জানান। তিনি বলেন,এখানে বেশি করে যাতে মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়,দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে এমন উদ্যোগকে সরকার স্বাগত জানায়,যারা এখানে বিনিয়োগ করতে এগিয়ে আসবেন তাদেরকে সেখানে শিল্প ও বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশের সহায়ক প্রয়োজনীয় সকল সহযোগিতা সরকার করবে বলে তিনি জানান। এসময় উম্মোক্ত আলোচনায় সিলেটের ব্যাবসায়ী ও পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য যে, সরকারি উদ্যোগে সিলেটে খাদিমনগরে ১৯৭৮ সালে সিলেটে শিল্প সম্প্রসারণের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় সিলেট টেক্সটাইল মিলস। এডিবি ঋণ এবং বিশ্বব্যাংকের অর্থ সংস্থা আইডিএ’র অর্থায়নে ১৯৭৭ সালের ১৭ আগস্ট সিলেট টেক্সটাইল মিলের জন্য ২৮ দশমিক ৮১ একর জমি ক্রয় করা হয়। পরের বছর তৎকালীন বাণিজ্য উপদেষ্টা এম সাইফুর রহমান এই মিলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ১৯৮০-৮১ অর্থবছরে মিলটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়। ১৯৮৩ সালের জুনে মিলটি পরীক্ষামূলক উৎপাদনে যায়। এরপর কয়েক বছর মিলটি লাভের মুখ দেখলেও অব্যবস্থাপনার কারণে ধীরে ধীরে লোকসান গুণতে থাকে।
অব্যাহত লোকসানের কারণে ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এসে মিলটি বন্ধ করে দেয়। এসময় শতাধিক শ্রমিককে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হলেও পুণরায় চালুর আশায় কর্মরত থেকে যান ৭৭৩ জন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর আবারো চালু হয় টেক্সটাইল মিলটি। ২০০১ সালে আবারো বন্ধ হয়ে যায় সিলেট টেক্সটাইল মিল। এরপর শ্রমিকদের বেতনও বকেয়া পড়তে থাকে। অবশেষে  ২০০৩ সালের ৩০ জুন বকেয়া বেতন পরিশোধ না করেই অনেকটা জোর করে সাড়ে সাত শতাধিক শ্রমিককে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিল কর্পোরেশন (বিটিএমসি)। পরে আন্দোলন করে বকেয়া বেতন আদায় করে নেন শ্রমিকরা। কিন্তু শ্রমিকদের কল্যাণ তহবিলের টাকা পরিশোধ করা থেকে বিরত থাকে বিটিএমসি। এখনো কল্যান তহবিলের প্রায় সাত কোটি টাকা প্রতিষ্ঠানটির কাছে শ্রমিকদের পাওনা রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এরআগে বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে মিলটি বিক্রির জন্য দুবার টেন্ডারও আহ্বান করা হয়। কিন্তু কাগজপত্রে ত্রুটির কারণে প্রথম দফা টেন্ডার বাতিল করা হয়। দ্বিতীয় দফায় মাত্র ১৫ কোটি টাকা দর উঠায় বিক্রির উদ্যোগ এগোয়নি।
পরে ২০০৮ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসারপর বেসরকারী উদ্যোগে মিলটি পুনরায় চালু করার উদ্যোগের অংশ হিসেবে বর্তমান কার্যক্রম চলছে।

Manual3 Ad Code

           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031  
Manual1 Ad Code
Manual5 Ad Code