সর্বশেষ

» শফীপুত্রের বহিষ্কার চেয়ে হাটহাজারী মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও ভাঙচুর

প্রকাশিত: ১৬. সেপ্টেম্বর. ২০২০ | বুধবার

চেম্বার ডেস্ক:: হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শফীর ছেলে আনাস মাদানীকে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষক পদ থেকে বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ করছে ওই মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা।

 

এ সময় মাদ্রাসায় বাইরে বিপুল সংখ্যক র‌্যাব, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের অবস্থান নিতে দেখা গেছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের তীব্রতা দেখে মাদ্রাসার আশপাশের দোকানদাররা তাদের দোকন-পাট বন্ধ করে দেয়।

 

বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টা থেকে মাদ্রাসার ভেতরে অবস্থান নিয়ে প্রথমে দুই দফা দাবীতে হাজার হাজার শিক্ষার্থী এ আন্দোলন শুরু করলেও বিকাল নাগাদ ওই দাবী বাড়তে থাকে। এ সময় তারা বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে।

 

এমনকি শিক্ষার্থীরা মাদ্রাসার বর্তমান পরিচালক ও হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা আহমদ শফীকে পরিচালক পদে থেকে সরিয়ে উপদেষ্টা বানানোসহ আরো ৫ দফা দাবির বিষয়টি শিক্ষার্থীরা মাদ্রাসার বড় মসজিদের মাইক থেকে এলাকাবাসী ও প্রশাসনের উদ্দেশ্যে ঘোষণা করতে থাকে।

 

সূত্র জানায়, হাটহাজারী মাদ্রাসা, হেফাজতে ইসলাম ও কওমি মাদ্রাসা বোর্ড নিয়ে (বেফাক) দীর্ঘদিন ধরেই অভ্যন্তরীণ সমস্যা চলছিল। এ নিয়ে হেফাজত আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফী ও সংগঠনটির মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরীর মধ্যে মতানৈক্য সৃষ্টি হয়।

 

এক্ষেত্রে বিরোধীদের অভিযোগ, হেফাজত আমীর আল্লামা আহমদ শফীর ছেলে আনাস মাদানী প্রভাব বিস্তার করে সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইছেন।

 

তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আহমদ শফী বর্তমানে বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছেন বলে মাদ্রাসা পরিচালনা করতে অক্ষম। নিজের বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় আহমদ শফী দাফতারিক কাজে ছোট ছেলে মাওলানা আনাস মাদানীর ওপর নির্ভর হয়ে পড়েন।

 

এ অবস্থায় আনাস মাদানী হুজুরকে ব্যবহার করে নিজের ইচ্ছে মত কোনো নিয়ম না মেনে মাদ্রাসা থেকে শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরিচ্যুতসহ নানা হটকারী সিদ্ধান্ত নিয়ে আসছিল।

 

সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, মাদ্রাসার সব গেট তালাবদ্ধ করে রাখার পাশাপাশি শিক্ষকদেরও অবরুদ্ধ করে রাখার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা মাদ্রাসায় আনাস মাদানীর কক্ষ ভাঙচুর চালায়।

 

তাছাড়া প্রশাসন যাতে মাদ্রাসার ভেতরে ঢুকে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ না করার জন্য শিক্ষার্থীরা মসজিদের মাইকে বারবার মাইকিং করছেন।

 

প্রসঙ্গত, আল্লামা আহমদ শফী দেশের প্রবীণ কওমি আলম এবং হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালকও। এছাড়া তিনি হেফজতের আমির ও বেফাকের চেয়ারম্যানের দায়িত্বেও রয়েছেন।

 

এদিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর বিপুল পরিমাণ সদস্য মাদ্রাসার মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেয়। অন্যদিকে মাদ্রাসার ভিতরে শিক্ষার্থীরাও তাদের আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে।

 

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ব্যাপারে জানতে চেয়ে মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষা পরিচালক মাওলানা আনাস মাদানী মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

 

চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার রাশেদুল হক জানান, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের আন্দোলন তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে বিনষ্ট না হয় সেজন্য আমাদের অবস্থান। তবে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিরসনকল্পে কাজ করছে বলে জানান তিনি।

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

October 2024
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031