সর্বশেষ

» জাতীয় সংসদে ‘বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড বিল-২০২০’ বিল পাস

প্রকাশিত: ১৯. নভেম্বর. ২০২০ | বৃহস্পতিবার

চেম্বার ডেস্ক:: মাদ্রাসা শিক্ষা অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করতে জাতীয় সংসদে ‘বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড বিল-২০২০’ নামে একটি বিল পাস হয়েছে।

 

বৃহস্পতিবার রাতে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সংসদে বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।

 

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া সংসদ অধিবেশনে বিলটি পাসের আগে জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করেন বিরোধী দলীয় সদস্যরা। তাদের ওই প্রস্তাব ও সংশোধনী গৃহীত হয়নি।

 

গত ৮ নভেম্বর বিলটি সংসদে উত্থাপনের পর তা অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

 

পাস হওয়া বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে বলা হয়, এবতেদায়ি, দাখিল এবং আলিম পর্যায়ের সব শিক্ষা, গবেষণা ও প্রশিক্ষণ এবং সম্প্রসারণ কার্যক্রমের অগ্রগতিকল্পে এবং এ বোর্ড হতে প্রাপ্ত ইসলামি সনদধারী শিক্ষার্থীরা দেশ ও বিদেশে নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও কর্মসংস্থান সম্প্রসারণ করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তরের লক্ষ্যে বিদ্যমান অধ্যাদেশ রহিতক্রমে বিলটি অনুমোদন করা অতীব জরুরি ও যুক্তিযুক্ত।

 

সংসদে উত্থাপিত বিলে অধ্যাদেশে উল্লিখিত ‘বোর্ড’ শব্দের পরিবর্তে ‘পরিচালনা পর্ষদ’ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। বোর্ডের সদস্য সংখ্যা ১৩ জনের পরিবর্তে ১৫ জন করা হয়েছে। আর রেজিস্ট্রারকে সদস্য সচিব হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য শিক্ষা বোর্ডের মতো মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবসরের বয়সসীমাও ৬০ বছর করার প্রস্তাব করা হয়েছে বিলে।

 

উল্লেখ্য, এতদিন মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড চলে আসছিল ১৯৭৮ সালের অধ্যাদেশ অনুসারে। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুসারে সামরিক শাসন আমলে প্রণীত যেসব আইন বা অধ্যাদেশের এখনও প্রয়োজন রয়েছে, সেগুলোকে পরিমার্জন করে বাংলায় রূপান্তরের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। যে কারণে এই বিলটি আনা হয়েছে।

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

September 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  

Please continue to proceed