সর্বশেষ

» জানুয়ারির প্রথম দিকেই ভ্যাকসিন পাবে বাংলাদেশ : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১০. ডিসেম্বর. ২০২০ | বৃহস্পতিবার


Manual7 Ad Code

চেম্বার ডেস্ক:: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, এমপি বলেছেন, ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকেই ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে অক্সফোর্ডের অ্যাস্ট্রোজেনিকা টিকা আমদানী করা হবে। এই টিকা আনার জন্য অনেক আগেই চুক্তি করেছে সরকার। বিশ্বের অনেক দেশরই চুক্তি না থাকায় টিকা নিতে বিলম্ব হবে। কিন্তু আমাদের দেশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের ফলে এবং দ্রুত অর্থনৈতিক যোগান দেয়ায় বিশ্বের অনেক দেশের আগেই টিকা চলে আসছে বাংলাদেশে। এর পাশাপাশি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও বাংলাদেশকে কিছু টিকা দিবে। সেগুলিও সরকার সময় মতো হাতে পেয়ে যাবে। আশা করা হচ্ছে, এই প্রাপ্ত টিকাগুলি থেকে ক্রমান্বয়ে দেশের প্রায় ২৭ ভাগ মানুষের টিকা প্রাপ্তি ঘটবে।

 

আজ সকালে রাজধানীর মহাখলিস্ত বিসিপিএস ভবনে হাম-রুবেলা টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২০ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, এমপি।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী টিকাদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নানা সাফল্যের চিত্র তুলে ধরেন। সঠিক নিয়মে ও দক্ষতার সাথে টিকা দেয়ার ফলে হাম-রুবেলা, পোলিওসহ ১০ প্রকারের কঠিন সংক্রমন ব্যধি দেশ থেকে নির্মূলের পথে রয়েছে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান। স্বাস্থ্যখাতের সফলতায় দেশের প্রায় ৯০ ভাগ শিশুকে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।

 

টিকাদান কর্মসূচি প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, “অতীতে বেশ কয়েকবার দেশব্যাপী হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন পরিচালিত হওয়া সত্ত্বেও বিগত কয়েক বছরে দেশে হাম ও রুবেলা রোগের প্রকোপ ও আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পরিস্থিতি হতে উত্তোরণকল্পে এবং ২০২৩ সাল নাগাদ দেশ হতে হাম-রুবেলা দূরীকরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের নিমিত্তে সরকার আগামী ১২ ডিসেম্বর ২০২০ হতে ২৪ জানুয়ারি, ২০২১ সারাদেশে আরো একটি হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন-২০২০ পরিচালনা করতে যাচ্ছে। এই ক্যাম্পেইনের আওতায় দেশব্যাপী ৯ মাস থেকে ১০ বছরের নিচের প্রায় ৩ কোটি ৪০ লাখ শিশুকে এক ডোজ এমআর টিকা প্রদান করা হবে। তিনি আরো জানান যে এই ক্যাম্পেইনের মূল উদ্দেশ হল- ৯ মাস থেকে ১০ বছরের শতকরা ৯৫ ভাগের বেশি শিশুকে এক ডোজ এমআর টিকা প্রদান। চলমান কোভিড-১৯ মহামারী বিবেচনা করে নিরাপদ পরিবেশে জনগণ বা স্বাস্থ্যকর্মী কারও ক্ষতি সাধন না করে গুণগত মানসম্পন্ন একটি টিকাদান ক্যাম্পেইন পরিচালনা নিশ্চিতকরণ।

 

উল্লেখ্য যে, ক্যাম্পেইনটি গত ১৮ মার্চ ২০২০ তাখি হতে শুরু হওয়ার কথা ছিল কিন্তু কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে তা শেষ মুহূর্তে স্থগিত করা হয়। বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে ক্যাম্পেইনটি পরিচালনার জন্য নতুন একটি কর্মকৌশল নির্ধারণ করা হয়েছে। এই নতুন কর্ম কৌশল অনুযায়ী-

 

ক্যাম্পেইনটি সারাদেশে কমিউনিটি পর্যায়ে পরিচালিত হবে।

Manual4 Ad Code

 

ক্যাম্পেইনটি চলাকালীন সময় নিয়মিত টিকাদান কার্যক্রমও চালু থাকবে।

 

পূর্বে পরিকল্পিত ৩ সপ্তাহের পরিবর্তে ক্যাম্পেইনের সময়কাল বাড়িয়ে ৬ সপ্তাহ করা হয়েছে।

 

টিকাকেন্দ্রে ভিড় এড়াতে টিকাকেন্দ্রের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে।

Manual3 Ad Code

 

Manual3 Ad Code

প্রতিটি ইউনিয়নের একেকটি ওয়ার্ডে ক্যাম্পেইন টিকাদান কার্যক্রম সম্পন্ন করতে দুই সপ্তাহ সময় লাগবে। (সপ্তাহে ২ দিন নিয়মিত টিকাদান কার্যক্রম পরিচালিত হবে)।

 

সারাদেশের স্থায়ী, আউটরিচ তথা অস্থায়ী এবং সৃষ্ট অতিরিক্ত নতুন ক্যাম্পেইন টিকাদান কেন্দ্রসমূহের মাধ্যমে ক্যাম্পেইন টিকা প্রদান করা হবে।

 

২ বছরের নিচের কোন শিশু নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচির কোন টিকা না পেয়ে থাকলে ক্যাম্পেইন চলাকালে তাদেরকে শনাক্ত করে উক্ত টিকা প্রদানের ব্যবস্থাও করা হয়েছে যা নিয়মিত টিকাদান কার্যক্রমকেও জোরদার করবে।

 

ক্যাম্পেইন চলাকালে টিকাদান কেন্দ্রসমূহ শুক্রবার ও অন্যান্য সরকারি ছুটি ব্যতীত একযোগে সকাল ৮টা হতে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

 

দুর্গম ও ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের জন্য অতিরিক্ত টিকা দলের ব্যবস্তা থাকবে এবং প্রয়োজনে দুর্গম ও ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের জন্য গঠিত টিকা দল স্বাস্থ্যকালীন সেশন পরিচালনা করবে।

 

প্রাত্যহিক ক্যাম্পেইন কার্যক্রম ও টিকা পরবর্তী বিরুপ প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থাপনা পর্যবেক্ষণের নিমিত্তে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ এবং এলজিআডি মন্ত্রণালয়ের অধীন সকল প্রশাসনিক স্তরে যথাক্রমে সার্বক্ষণিক কন্ট্রোল রুম চালু ও এইএফআই ব্যবস্থাপনা দল নিয়োজিত থাকবে।

Manual3 Ad Code

 

বাজার-হাটে বসবাসরত শিশু, কারখানায় কর্মরত মা’দের শিশু, বেদেবহরসহ অন্যান্য ভ্রাম্যমান জনগোষ্ঠীর শিশু, রেলস্টেশন/ বাস টার্মিনালে বসবাসকারী সুবিধাবঞ্চিত শিশু, হাসপাতাল ও জেলখানায় অবস্থারত মা’দের শিশু, পতিতালয়ে বসবাসরত শিশু, বস্তিতে বসবাসরত শিশুদের টিকা নিশ্চিত করতে সরকার অতিরিক্ত টিকাদান কেন্দ্রের ব্যবস্থা করেছে।

 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান, অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমএনসিঅ্যান্ডএইচ অপারেশনাল প্ল্যানের লাইন ডাইরেক্টর ডা. মো. শামসুল হক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মওলা বকস চৌধুরী, ইউনিসেফের বাংলাদেশ প্রতিনিধি তমু হজুমি এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশের প্রতিনিধি ড. ভুপিন্দর কাউল প্রমূখ।

           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

November 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
Manual1 Ad Code
Manual4 Ad Code