সর্বশেষ

» শাহবাগে আন্দোলনরত মেডিকেল শিক্ষার্থীদের পুলিশের লাঠিপেটা

প্রকাশিত: ০৮. নভেম্বর. ২০২০ | রবিবার

চেম্বার ডেস্ক: রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনরত মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করেছে পুলিশ।

সেশনজট নিরসনসহ চার দাবিতে রোববার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে ওই এলাকায় চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

পরে বেলা সোয়া ১টার দিকে পুলিশ লাঠিপেটা করে তাদের সরিয়ে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাক্কাধাক্কিও হয়।

দাবি আদায়ে ‘সাধারণ মেডিকেল এবং ডেন্টাল শিক্ষার্থীদের ব্যানারে গত ১ নভেম্বর থেকে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।

তাদের দাবিগুলো হলো– করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে প্রফ পরীক্ষা না নেয়া, সেশনজট নিরসন করে যথাসময়ে কোর্সসম্পন্ন করার ব্যবস্থা, বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ৬০ মাসের বেশি বেতন না নেয়া ও মহামারীর সময় পরীক্ষা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হলে দায়ভার কর্তৃপক্ষকে নেয়া।

এসব দাবি নিয়ে গত বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. শাহরিয়ার নবীর সঙ্গে দেখা করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

সেদিন পাওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দাবি পূরণের নোটিশের আশায় বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা আজ সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জড়ো হন। সেখান থেকে তারা ডিনের কার্যালয়ে যান।

কিন্তু নোটিশ না পেয়ে বেলা ১১টার দিকে শত শত মেডিকেল শিক্ষার্থী মিছিল করে শাহবাগের দিকে রওনা হন।

শাহবাগ থানার সামনে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে মিছিল থামানোর চেষ্টা করে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা বাধা উপেক্ষা করে শাহবাগ মোড়ে চলে আসেন এবং সেখানে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে শুরু করেন।

এর পর বেলা সোয়া ১টার দিকে পুলিশ আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দিতে অগ্রসর হলে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। পরে পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করলে শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড় থেকে সরে গিয়ে জাতীয় গণগ্রন্থাগারের সামনে অবস্থান নেন।

আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, দাবি মেনে নিয়ে লিখিত আকারে নোটিশ না দেয়া পর্যন্ত তারা রাস্তা ছাড়বেন না।

এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. হারুনুর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ডিনের সঙ্গে কথা বলেছি, ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপালের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলেছেন পরীক্ষা না নেয়ার সুযোগ নেই।

‘এর পর আমরা তাদের বোঝানোর চেষ্টা করছি, ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করছি। নগরবাসীর চলাচল স্বাভাবিক করার জন্য যা পদক্ষেপ নেয়া দরকার আমরা নেব।’

শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. শাহরিয়ার নবী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, শিক্ষার্থীরা যদি ডিসেম্বরে পরীক্ষা দিতে না চায়, তা হলে জানুয়ারির শেষে বা ফেব্রুয়ারিতে দিতে পারবে।

তিনি বলেন, পরীক্ষা না নিয়ে পরবর্তী ধাপের ক্লাস নেয়া সম্ভব না। বিএমডিসির কারিকুলামে এ ধরনের কোনো সুযোগ নেই।

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

June 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30