- নতুন বাংলাদেশে কোন মোড়লীপনা কিংবা জমিদারী চলবে না :সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাব
- এসো আলোর সন্ধানে যুব সংগঠনের সিলেট বিভাগীয় কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা
- সাংবাদিক নুরুল ইসলামের মাতৃবিয়োগে সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের শোক
- নির্বাচিত সরকার ছাড়া কাঙ্ক্ষিত সংস্কার সম্ভব নয় : মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক
- কানাইঘাট প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন পুণরায় নিজাম সভাপতি- মাহবুব সম্পাদক
- গোয়াইনঘাট এসোসিয়েশন অব মিশিগান এর নবগঠিত কমিটির পরিচিতি সভা ও ঈদ পূর্ণমিলনী অনুষ্টিত
- কানাইঘাটে ছাত্রদল নেতা মুমিন হত্যা মামলার আসামী নুরুল আমীনকে পুলিশে সোপর্দ
- সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে কুরবানী ও মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন
- কানাইঘাটের গাছবাড়ী বাজারে ১২ জুন জমিয়তের গণ-সমাবেশ
- ইউকে যুবদলের সহ সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বুলবুলের ঈদ শুভেচ্ছা
» আমাদের বিচার চাইতেও বাধা দেওয়া হয়েছে : জাতিসংঘের হাইকমিশনারকে প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিত: ১৭. আগস্ট. ২০২২ | বুধবার

চেম্বার ডেস্ক:: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ডের পর দীর্ঘ সামরিক শাসনামলে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন প্রত্যক্ষ করেছে। আমাদের বিচার চাইতেও বাধা দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার (১৭ আগস্ট) জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল বাশেলে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার সময় তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
তিনি যোগ করেন যে তিনি এবং তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা ১৯৭৫ সালের হত্যাযজ্ঞ থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন কারণ তাঁরা তখন বিদেশে ছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ওই হত্যাকা-ের বিচার বন্ধ করতে তৎকালীন সেনা সমর্থিত সরকার ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেছিল।
জোরপূর্বক নির্বাসন থেকে দেশে ফেরার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওই অধ্যাদেশের কারণে তাদের বিচার চাইতে বাধা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, তৎকালীন সামরিক সরকার বঙ্গবন্ধুর খুনি ও যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করেছিল।
দু’বার চিলির প্রেসিডেন্ট থাকা বাশেলে বলেন, তাঁর পরিবারকেও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মতো অমানবিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে যখন তাঁর দেশে একটি অত্যাচারী সরকার ক্ষমতায় ছিল।
জাতিসংঘের হাইকমিশনার বলেন, তিনি বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করে ‘গভীরভাবে আলোড়িত’ হয়েছেন, যেখানে জাতির পিতাকে তাঁর পরিবারের অধিকাংশ সদস্যের সঙ্গে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল।
বৈঠকে তাঁরা বর্তমান বিশ্ব সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন এবং একমত হন যে চলমান কোভিড-১৯ মহামারী, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞা বিশ্বজুড়ে সংকট তৈরি করেছে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা তাদের নাগরিক তা মিয়ানমার অস্বীকার করে না। তবে, তারা এখনও তাদের বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের প্রত্যাবাসনে সাড়া দেয়নি।
তিনি বলেন, মিয়ানমারকে তাদের নাগরিকদের তাদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ কখনো কারো সঙ্গে যুদ্ধ চায় না।
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই চুক্তির পর ৬২ হাজার শরণার্থী বাংলাদেশে ফিরেছে এবং ১৮শ’ সশস্ত্র ক্যাডার আত্মসমর্পণ করেছে।
ব্যাশেলে কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের জন্য শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন।
প্রধানমন্ত্রী জবাবে বলেন, ভাসান চরে রোহিঙ্গাদের জন্য তাঁরা সেই সুযোগের ব্যবস্থা করতে পারেন।
জাতিসংঘের হাইকমিশনার বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে জাতিসংঘ আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করছে এবং এ লক্ষ্যে কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, তিনি বিষয়টি জানেন এবং যোগ করেন যে বাংলাদেশ কাউকে সন্ত্রাসবাদের জন্য তার মাটি ব্যবহার করতে দেবে না।
তিনি বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলো সংক্ষেপে তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের উন্নয়নে অবদান রাখছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প স্থাপনের পাশাপাশি দেশের উন্নয়নের জন্য কৃষির ওপর জোর দিচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে ১ দশমিক ৮৭ লাখেরও বেশি পরিবার বিনামূল্যে বাড়ি পেয়েছে। কারণ, সরকার প্রতিটি গৃহহীন এবং ভূমিহীন মানুষকে আবাসন প্রকল্পের আওতায় আনার জন্য কাজ করছে।
ব্যাশেলে বৈষম্য দূর করার জন্য বাংলাদেশের এসডিজি বাস্তবায়নের অগ্রগতি এবং কাজের প্রশংসা করেন।
তিনি বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।
উভয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়েও আলোচনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা উপকূলীয় অঞ্চলে বনায়নের ওপর জোর দিয়েছেন কারণ তারা জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এবং ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গুয়েন লুইস উপস্থিত ছিলেন।
ব্যাচেলেট চারদিনের সফরে গত রোববার সকালে বাংলাদেশে এসেছেন ।
সর্বশেষ খবর
- নতুন বাংলাদেশে কোন মোড়লীপনা কিংবা জমিদারী চলবে না :সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাব
- এসো আলোর সন্ধানে যুব সংগঠনের সিলেট বিভাগীয় কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা
- সাংবাদিক নুরুল ইসলামের মাতৃবিয়োগে সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের শোক
- নির্বাচিত সরকার ছাড়া কাঙ্ক্ষিত সংস্কার সম্ভব নয় : মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক
- কানাইঘাট প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন পুণরায় নিজাম সভাপতি- মাহবুব সম্পাদক
সর্বাধিক পঠিত খবর
- কানাইঘাটে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ১০ জন আহত, গ্রেফতার-১
- ফের বাংলাদেশ থেকে ব্রিটিশ ভিসা দেওয়া শুরু, রয়েছে নানা শর্ত
- আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি মাহফুজের, ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম
- কানাইঘাটে পরকীয়ায় বাঁধা দেয়ায় যুবককে কুপিয়ে আহত,থানায় অভিযোগ দায়ের
- কানাইঘাটে ৫০ উর্ধ্ব মহিলার যৌন হেনেস্থার ভিডিও যে ভাবে ধারণ করে বখাটেরা
এই বিভাগের আরো খবর
- নতুন বাংলাদেশে কোন মোড়লীপনা কিংবা জমিদারী চলবে না :সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাব
- নির্বাচিত সরকার ছাড়া কাঙ্ক্ষিত সংস্কার সম্ভব নয় : মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক
- কানাইঘাট প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন পুণরায় নিজাম সভাপতি- মাহবুব সম্পাদক
- কানাইঘাটে ছাত্রদল নেতা মুমিন হত্যা মামলার আসামী নুরুল আমীনকে পুলিশে সোপর্দ
- সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে কুরবানী ও মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন