সর্বশেষ

অব্যাহতি পেলো জৈন্তাপুরের শিশু, ক্ষমা চাইলেন জৈন্তাপুর বিজিবির নায়েক

প্রকাশিত: ০৭. অক্টোবর. ২০২০ | বুধবার

চেম্বার ডেস্ক:: মহিষ পাচারের মামলায় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রের বয়স ১৯ দেখিয়ে মামলা এজাহারভুক্ত (এফআইআর) করায় সিলেটের জৈন্তাপুর বিজিবি ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার মো. সাহাব উদ্দিন হাইকোর্টে সশরীরে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন।

 

আদালতের তলবের প্রেক্ষিতে হাজির হওয়ার নির্ধারিত দিনে বুধবার (৭ অক্টোবর) হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে সশরীরে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে নিঃশর্ত ক্ষমা চান তিনি।

 

সকালে বিজিবি সদস্য শাহাবুদ্দিন আদালতে হাজির হয়ে ক্ষমা প্রাথর্নার পর শিশুটিকে মামলার হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

 

এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের একই বেঞ্চ তাকে তলব করে আদেশ দেন। ৭ অক্টোবর তাকে সশরীরে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে আদেশে বলা হয়েছিল।

 

একই সঙ্গে ওই শিশুসহ মামলার ১৭ আসামির মধ্যে ১০ জনকে জামিন দেন আদালত। তারা হলেন-সামছুল হক, শফিক মিয়া, সমিরুন নেছা, আবিদুল ইসলাম ওরফে আব্দুল, সাইদুল ইসলাম, শায়না বেগম, রুনা বেগম, সিদ্দিক মিয়া, ফয়জুর রহমান ওরফে কুটই এবং নাহিদ।

 

ওই দিন আসামিপক্ষে জামিন আবেদনকারী আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।

 

চতুর্থ শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী আবিদুল ইসলাম ওরফে আব্দুল জানায়, সে বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক পরিচালিত ‘শিখন স্কুল’ এর চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র।

 

জানা গেছে, জৈন্তাপুরের খিলাতৈল এলাকার ব্যবসায়ী সাইদুল ব্যাপারী বৈধভাবেই ২০টি মহিষ কিনে বাড়ি আনেন। কিন্তু বিজিবি সদস্যরা গত ১৩ সেপ্টেম্বর মহিষগুলো আটক করে নিয়ে যায়। এরপর বিজিবির নায়েব সুবেদার সাহাব উদ্দিন জৈন্তাপুর থানায় মামলা করেন।

 

মামলায় আবিদুল, তার বাবা শফিক মিয়া, ভাই শামসুল হক, ভাবি রুনা বেগম, বোন শায়না বেগমসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৮/১০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।

 

মামলায় বলা হয়, আসামিরা ১৫টি মহিষ ছিনিয়ে নেয়। আসামিরা তাদের কাজে বাধা দান করে। এ অবস্থায় আবিদুলসহ ১০ জন হাইকোর্টে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। এরপর তাদের জামিন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।

           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

November 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930