সর্বশেষ

» বরগুনায় অতিরিক্ত বল প্রয়োগ করেছে পুলিশ : ডিআইজি

প্রকাশিত: ২৩. আগস্ট. ২০২২ | মঙ্গলবার

Manual1 Ad Code

চেম্বার ডেস্ক:: বরগুনায় ছাত্রলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষের পর ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোয় পুলিশ অতিরিক্ত বল প্রয়োগ এবং অপেশাদার আচরণ করেছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান।

তদন্ত কমিটির দেয়া প্রতিবেদনে এসব বিষয় উঠে এসেছে বলে সোমবার রাতে জানিয়েছেন তিনি।

তদন্ত প্রতিবেদনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহররম আলীসহ ১৯ পুলিশের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

 

Manual2 Ad Code

ডিআইজি বলেন, ‘ঘটনার দিন এসব পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যরা অতিরিক্ত বল প্রয়োগ ও অপেশাদার আচরণ করেছেন বলে তদন্তে প্রতীয়মান হয়েছে। সেক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার সুপারিশ করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ কর্মকর্তাদের বিষয়টি পুলিশ সদর দপ্তরে এবং কনস্টেবলদের ব্যাপারে জেলা পুলিশকে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হয়েছে।’

Manual5 Ad Code

পুলিশ কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান আরও জানান, মহররম ছাড়া অন্য ১৮ জনের মধ্যে একজন পুলিশ পরিদর্শক, ছয়জন উপপরিদর্শক (এসআই), চারজন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই), একজন নায়েক ও ছয়জন কনস্টেবল।

Manual2 Ad Code

বরগুনা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনের সামনে গত ১৫ আগস্ট দুপুরে জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের পর সরকার সমর্থক ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের বেধড়ক পেটায় পুলিশ।

 

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল কবির রেজা জানান, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শিল্পকলায় প্রবেশের সময় হামলাকারীরা ছাদ থেকে তাদের ওপর ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। এতে পুলিশের একটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করে।

 

বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর সামনেই এ ঘটনা ঘটে। তার সঙ্গে এক পর্যায়ে তর্কে জড়িয়ে পড়েন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলী।

 

এমপি শম্ভু পরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘পুলিশ বলেছিল, গাড়ি ভাঙচুরকারীকে তারা চিনতে পেরেছে। আমি বলেছি, যে ভাঙচুর করেছে, তাকে দেখিয়ে দিন। আমি তাকে আপনাদের হাতে সোপর্দ করব। আসলে তাদের (পুলিশের) উদ্দেশ্যই ছিল ছাত্রলীগের ছেলেদের মারবে। আমি তাদের মার ফেরানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু সেখানে এত পুলিশ আসছে যে কমান্ড শোনার মতো কেউ ছিল না।’

 

তিনি অভিযোগ করেন, ‘জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর নির্বিচারে লাঠিপেটা করেছে পুলিশ। পুলিশ কর্মকর্তা মহররম ছিলেন সেখানে। তিনি অনেক ভুল করেছেন।

 

‘যেখানে আমি উপস্থিত, সেখানে তিনি এমন কাজ করতে পারেন না। আমি তাকে মারপিট করতে নিষেধ করেছিলাম। তারা (পুলিশরা) আমার কথা শোনেননি।’

 

এ ঘটনায় বরিশাল রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি জিয়াউল হককে প্রধান করে তিন সদস্যর তদন্ত কমিটি করা হয়।

Manual6 Ad Code

           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031  
Manual1 Ad Code
Manual2 Ad Code