সর্বশেষ

» প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাবে আরও ৬৫ হাজার পরিবার, ঘর নির্মাণে বাজেট বৃদ্ধি

প্রকাশিত: ০১. এপ্রিল. ২০২২ | শুক্রবার

চেম্বার ডেস্ক:: মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর আওতায় তৃতীয় ধাপে দেশের ৬৫ হাজার ৪৭৪টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে ২ লাখ ৫৯ হাজার টাকা মূল্যের আধা-পাকা ঘর উপহার হিসেবে দিতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আসন্ন ঈদের পর কিংবা আগে প্রধানমন্ত্রী গৃহহীন মানুষের হাতে এ ঘর তুলে দেবেন।

 

প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায় থেকে তৃতীয় ধাপের এ ঘরগুলোর নকশা ও পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। যার ফলে ঘরগুলো অধিক টেকসই ও দুর্যোগ সহনীয় হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এতে প্রতিটি ঘর নির্মাণে বাজেট বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৯০ হাজার টাকা।

 

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ঘর নির্মাণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৭ হাজার ৩২৯টি। তৃতীয় পর্যায়ে আরও ৬৫ হাজার ৪৭৪টি ঘর নির্মাণকাজ চলছে। ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালে আশ্রয়ণ নামে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়, যা প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে।

 

রঙিন টিনশেডের প্রতিটি একক ঘরে ইটের দেয়াল, কংক্রিটের মেঝে এবং টিনের ছাউনি দিয়ে তৈরি দুটি করে শোয়ার ঘর, একটি রান্নাঘর, টয়লেট ও সামনে খোলা বারান্দা রয়েছে।


প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা জানান, গৃহহীন মানুষের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর আওতায় তৃতীয় ধাপের নির্মিত ঘরগুলো আরও মজবুত ও দীর্ঘস্থায়ী করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ইটের ভিত ও কলামের পরিবর্তে এবার ব্যবহার করা হবে আরসিসি ঢালাইয়ের গ্রেট বিম ও কলাম। ঘরের চালা মজবুত করতেও কাঠামো নির্মাণে পরিবর্তন আনা হয়েছে।

 

আগের দুই পর্যায়ের কাজের অভিজ্ঞতায় মুজিববর্ষের উপহারের এসব ঘরকে অধিকতর টেকসই করতে নকশায় আনা হয়েছে পরিবর্তন। জমি নির্বাচনের ক্ষেত্রেও নেওয়া হচ্ছে বিশেষ সতর্কতা। নতুন একক গৃহ নির্মাণের ব্যয় বরাদ্দও বেড়েছে। প্রথম দুই ধাপের বাড়িতে বেশ কিছু ত্রুটি পেয়েছে সরকার। বর্ষার শুরুতেই কয়েকটি স্থানে ঘর ভেঙে পড়ে, কোথাও দেয়াল ফেটে যায় আর মাটি দেবে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে।

 

আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর প্রকল্প পরিচালক আবু সালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান বলেন, প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের কাজের অভিজ্ঞতার আলোকে তৃতীয় ধাপে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। দুর্যোগ সহনীয় মাত্রায় ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। এবারের ঘরগুলো আরও অধিক টেকসই হবে। ঘরের ভিতে দেওয়া হয়েছে আরসিসি ঢালাই। বাইরে যে তিনটি পিলার আছে, সেগুলো আগে ইটের তৈরি ছিল। এবার আরসিসি ঢালাই দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে এবার যে ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে, তা অনেক বেশি মজবুত ও দীর্ঘস্থায়ী হবে।

 

প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা বলছেন, তৃতীয় ধাপে ৬৫ হাজার ৪৭৪ পরিবার পাবে বাড়ি। চরাঞ্চলের জন্য করা হয়েছে ভূমিকম্প সহনীয় বিশেষ ডিজাইন। নদীভাঙন এলাকার জন্য পোর্টেবল হাউজের নকশা তৈরি করা হয়েছে। তৃতীয় ধাপে চরে ১ হাজার ৪২টি বাড়ি নির্মাণ হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসাবে ঈদুল ফিতরের পর এসব বাড়ি হস্তান্তর করা হবে বলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে।

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

October 2024
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031