মার্চে হচ্ছে না ইউপি নির্বাচন, ভোটগ্রহণ হবে দলীয় প্রতীকে

প্রকাশিত: ০৪. ফেব্রুয়ারি. ২০২১ | বৃহস্পতিবার


Manual7 Ad Code

চেম্বার ডেস্ক:: ভোটার তালিকা প্রকাশ নিয়ে আইনি জটিলতার কারণে পিছিয়ে যেতে পারে সারাদেশের ইউনিয়ন পরিষদগুলোর (ইউপি) সাধারণ নির্বাচন।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামী মার্চ মাস থেকে এ নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও তা শুরু করা যাচ্ছে না।

কারণ ২ মার্চ হালনাগাদ ভোটার তালিকা  চূড়ান্তভাবে প্রকাশ করা হবে। এক্ষেত্রে তফসিল ফেব্রুয়ারিতে হলে নতুন যারা ভোটার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবেন, তারা ভোট দিতে পারবেন না।

সেক্ষেত্রে মামলা সংক্রান্ত জটিলতা দেখা দেবে। তাই ২ মার্চের পরেই তফসিল ঘোষণা হবে ইউপি ভোটের।এছাড়া গতবারের মতো আসন্ন ইউপির ভোটগ্রহণ হবে দলীয় প্রতীকে।

অন্যদিকে রমজানের কারণেও পুরোদমে শুরু করা যাবে না ইউপি ভোট। তাই এপ্রিলে কিছু সংখ্যক ইউপিতে ভোট হতে পারে। বর্তমানে ইউপির সংখ্যা হচ্ছে ৪ হাজার ৪৮৩টি। এরমধ্যে গতবার ছয় ধাপে ভোট হয়েছে ৪ হাজার ৩২১টিতে। বাকি ১৬২টিতে অন্যান্য সময়ে ভোট হয়েছে।

আইন অনুযায়ী, ইউপিতে নির্বাচন করতে হয় আগের নির্বাচন থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে। আর পরিষদের মেয়াদ হচ্ছে নির্বাচনের পর প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর।

সর্বশেষ নির্বাচন অনুযায়ী, ২১ মার্চের মধ্যে নির্বাচনী সময় শেষ হচ্ছে ৭৫২ ইউপিতে। ৩০ মার্চ সময় শেষ হবে ৬৮৪ ইউপির। ২২ এপ্রিল সময় শেষ হবে ৬৮৫ ইউপির। ৬ মে সময় শেষ হবে ৭৪৩ ইউপিতে। ৭৩৩ ইউপিতে ভোটের সময় শেষ হবে ২৭ মে। আর ৩ জুন শেষ হবে ৭২৪ ইউপির মেয়াদ।

ভোটার তালিকা ও রমজানের কথা চিন্তা করে ইতোমধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে ভোট পেছানোর সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে ইসি। এক্ষেত্রে ছোট পরিসরে এপ্রিলে ২৫টির মতো ইউপিতে ভোট নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।

Manual5 Ad Code

কর্মকর্তারা বলছেন, ভোট পেছানোর সুযোগ আইনে রয়েছে। এক্ষেত্রে নব্বই দিনের মতো পেছানো যাবে।

ইউপি নির্বাচনের আইনে বলা হয়েছে- ‘দৈব-দুর্বিপাকজনিত বা অন্যবধি কোনো কারণে নির্ধারিত ৫ বছর মেয়াদের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব না হলে, সরকার লিখিত আদেশ দ্বারা, নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত কিংবা অনধিক ৯০ দিন পর্যন্ত, যা আগে ঘটবে, সংশ্লিষ্ট পরিষদকে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ক্ষমতা দিতে পারে’।

Manual3 Ad Code

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেন, ‘আগামী ২ মার্চ ভোটার তালিকার সিডি হওয়ার কথা। এই কাজটা সঠিকভাবে করতে পারলে, মে মাসে যেগুলোর মেয়াদ শেষ হবে, সেগুলোর মধ্যে কিছু নির্বাচন হতে পারে। তবে নির্বাচন কমিশন সভা করে সেই সিদ্ধান্ত নেবে।

ইউপি নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমরা দু’টি বিষয় দেখব। প্রথমতো রমজান মাস, দ্বিতীয়ত ভোটার তালিকা প্রস্তুত আছে কি-না। হালনাগাদ ভোটার তালিকা ও আগের তালিকার একসঙ্গে করে আমরা যদি ভোটার তালিকা প্রস্তুত করতে পারি। তবে রমজান মাস দেখে আমরা কিছু নির্বাচনের তফসিল দিতে পারি। এক্ষেত্রে মার্চ মাসে তফসিল হতে পারে। এই সময়ের মধ্যে প্রায় ৪ শতাধিক ইউপি নির্বাচন উপযোগী হবে। তবে সবগুলোতে একসঙ্গে নির্বাচন করতে পারব কিনা, সন্দেহ আছে’।

Manual5 Ad Code

তিনি আরও বলেন, ‘রমজান মাসে তো নির্বাচন করতে পারব না। আবার ভোটার তালিকা প্রস্তুত না হলেও আমরা নির্বাচন করতে পারব না। এই দুইটি বিষয়ে যদি বাধা না হয়, তবে আমরা যতগুলো পারব, নির্বাচন করব’।

এবার ব্যালট পেপারের পাশাপাশি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনেও ভোটগ্রহণ করা হবে। এক্ষেত্রে সদর উপজেলার ইউপিগুলো প্রাধান্য পেতে পারে।

সর্বশেষ ২০১৬ সালে ছয় ধাপে ৪ হাজারের বেশি ইউপিতে ভোট করেছিল ইসি। সে সময় ২২ মার্চ, ৩১ মার্চ, ২৩ এপ্রিল, ৭ মে, ২৮ মে এবং ৪ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

Manual5 Ad Code

           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

November 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
Manual1 Ad Code
Manual4 Ad Code