- জুলাই শহীদ দিবস উপলক্ষে সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের দোয়া মাহফিল
- কানাইঘাটে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পেট্রোল ঢেলে হত্যার চেষ্টা || মৃত সন্তানের জন্ম,স্বামী গ্রেফতার
- বিভিন্ন দাবিতে সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সংবাদ সম্মেলন
- কানাইঘাটে হাসপাতাল আছে, ডাক্তার নেই চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত তিন লক্ষ মানুষ
- আগামীর জাতীয় নির্বাচন গণতন্ত্রর জন্য চ্যালেঞ্জ স্বরূপ : আব্দুল হাকিম চৌধুরী
- কানাইঘাট সুরমা নদীর ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় অবৈধ বালু উত্তোলনের ঘটনায় উত্তেজনা
- কানাইঘাটে লটারির মাধ্যমে ওএমএস ডিলার নিয়োগ
- এসএসসিতে মুহিবুর রহমান একাডেমির শতভাগ সাফল্য
- বাণীগ্রাম ইউপির অস্বচ্ছল মেধাবীদের আর্থিক সহায়তা দিবে ফয়জুর রহমান স্মৃতি ফাউন্ডেশন
- লোভাছড়া পাথর কোয়ারীতে ইউএনও’র অভিযান, ৪টি ক্রাশার মেশিন ধ্বংস
» ছোটগল্প: রক্তে লেখা পিপাসা || সুলেমান চৌধুরী
প্রকাশিত: ০৫. জুলাই. ২০২৫ | শনিবার

সুলেমান চৌধুরী: কারবালার মরুর বালু গরম হয়ে উঠেছে আগুনের মতো। সূর্য মাথার ঠিক ওপরে। বালুর উপর পা রাখলেই যেন পুড়ে যায়। কারবালার সেই প্রান্তর, যেখানে সূর্য আলো নয়—জ্বলন্ত শাস্তি হয়ে নেমে এসেছে। আকাশও নীরব। বাতাস থেমে গেছে। যেন সমস্ত সৃষ্টিই চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে এক ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হতে।
ইমাম হুসাইন (রা.) দাঁড়িয়ে আছেন তাঁর ছিন্নভিন্ন তাঁবুর পাশে। চারদিকে নীরবতা, কিন্তু হৃদয়ের গভীরে চলছে এক রক্তক্ষরা যুদ্ধ—সত্যের সাথে অন্যায়ের, ভালোবাসার সাথে ঘৃণার।
তাঁর কোলে ছোট্ট শিশু আলী আসগর। মাত্র ছয় মাস। মুখ শুকনো, ঠোঁট ফাটা, চোখে জল নেই—শুধু শূন্য দৃষ্টিতে
নিঃশব্দে ফ্যাকাশে পিতার দিকে তাকিয়ে আছে। কোনো কান্না নেই, শুধু এক জিজ্ঞাসা—আমার কী দোষ?
হুসাইন (রা.) ধীরে ধীরে তাঁবু ছেড়ে এগিয়ে গেলেন শত্রু সেনাদের দিকে। শিশুটিকে তুলে ধরলেন আকাশের দিকে।
—এই শিশু তো তোমাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেনি। সে তো শুধু একটু পানি চায়। তোমরা কি ওর মুখের দিকে তাকাতে পারো?”
কিন্তু জবাব এলো না ভাষায়,এলো তীরের মুখে। এক নিষ্ঠুর তীর ছুটে এসে শিশুটির কচি গলা চিরে দিলো। ছোট্ট দেহটি নিস্তেজ হয়ে গেল পিতার বুকে।
হুসাইন (রা.) দাঁড়িয়ে রইলেন—চোখে জল, কিন্তু মুখে কোনো অভিযোগ নেই। ধীরে ধীরে ফিরে গেলেন তাঁবুতে। শিশুটির রক্তে নিজের জামা ভিজিয়ে রাখলেন। যেন ইতিহাস একদিন ভুলে না যায়, কে কাকে খুন করেছিল।
এরপর তিনি প্রস্তুত হলেন। সত্যের পথে একাকী যাত্রা করতে হবে তাঁকে। বন্ধু নেই, সেনা নেই। কিন্তু তাঁর কাছে ছিলো যা সবচেয়ে বড়—আদর্শ।
তিনি জানতেন,এই যুদ্ধ জেতা যাবে না অস্ত্র দিয়ে। তাঁর বিরুদ্ধে যারা, তারা সংখ্যায় বহু, কিন্তু চিন্তায় শূন্য। মৃত্যু অনিবার্য, তবু পিছু হটলেন না।
কারণ তিনি জানতেন – এই যুদ্ধ জেতা যাবে আত্মত্যাগ দিয়ে, ন্যায়ের অটল বিশ্বাস দিয়ে। তিনি তলোয়ার হাতে তুলে নিলেন। কারো বিরুদ্ধে নয়, বরং মিথ্যার রাজত্বের বিরুদ্ধে।
শেষ বিকেলে, রক্তে ভিজে গেলো বালুরাশি। তিনিও শহীদ হলেন। তাঁর রক্তে ভিজে গেল কারবালার বালুকণা। তবে তিনি রেখে গেলেন এক প্রশ্ন—কে ছিলো বিজয়ী?
সর্বশেষ খবর
- জুলাই শহীদ দিবস উপলক্ষে সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের দোয়া মাহফিল
- কানাইঘাটে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পেট্রোল ঢেলে হত্যার চেষ্টা || মৃত সন্তানের জন্ম,স্বামী গ্রেফতার
- বিভিন্ন দাবিতে সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সংবাদ সম্মেলন
- কানাইঘাটে হাসপাতাল আছে, ডাক্তার নেই চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত তিন লক্ষ মানুষ
- আগামীর জাতীয় নির্বাচন গণতন্ত্রর জন্য চ্যালেঞ্জ স্বরূপ : আব্দুল হাকিম চৌধুরী
সর্বাধিক পঠিত খবর
- কানাইঘাটে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ১০ জন আহত, গ্রেফতার-১
- ফের বাংলাদেশ থেকে ব্রিটিশ ভিসা দেওয়া শুরু, রয়েছে নানা শর্ত
- আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি মাহফুজের, ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম
- কানাইঘাটে পরকীয়ায় বাঁধা দেয়ায় যুবককে কুপিয়ে আহত,থানায় অভিযোগ দায়ের
- কানাইঘাটে ৫০ উর্ধ্ব মহিলার যৌন হেনেস্থার ভিডিও যে ভাবে ধারণ করে বখাটেরা