- কানাইঘাটে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন || মাছের পোনা অবমুক্ত
- বিএনপি নেতা মামুনুর রশীদের বক্তব্য মিথ্যা প্রপাগাণ্ডা: জমিয়ত সভাপতি
- শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে কানাইঘাটে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা
- পাথর লুটপাট কারীদের বিরুদ্ধে স্বোচ্চার হতে হবে :অ্যাডভোকেট জুবায়ের
- ফ্যাসিস্ট আমলে ব্যাপক লুটপাট হলেও বিয়ানীবাজার ছিল উন্নয়ন বঞ্চিত : এনামুল হক চৌধুরী
- গোয়াইনঘাট এসোসিয়েশন অব মিশিগানের সভা ও বার্ষিক পিকনিক সম্পন্ন
- কানাইঘাট-জকিগঞ্জে ১৪ আগস্ট থেকে মাসব্যাপী ফ্রি চক্ষু সেবা ক্যাম্পেইন শুরু, ব্যাপক প্রচারণা
- কানাইঘাটে বিএনপির জনসভা: সিলেট-৫ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী চান নেতাকর্মীরা
- জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যুবকদের আত্মত্যাগ ছিল একটি দৃশ্যমান পরিবর্তনের জন্য : ফখরুল ইসলাম
- একজন সু-সন্তানের চাইতে মূল্যবান সম্পদ আর কিছুই হওয়া হতে পারে না: কয়েস লোদী
» ডিপো মালিকের খুঁটির জোর কোথায়, সংসদে রুমিন ফারহানার প্রশ্ন
প্রকাশিত: ০৭. জুন. ২০২২ | মঙ্গলবার

চেম্বার ডেস্কবিএনপি দলীয় সংসদ-সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোর ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ মুজিবুর রহমান। দলের এমন একটি পদে থেকে তিনি ডিপো তৈরিতে কোনো ধরনের নিয়ম-কানুন মানার প্রয়োজনীয়তা বোধ করেননি।
সোমবার একাদশ জাতীয় সংসদের অষ্টাদশ অধিবেশনে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এমন অভিযোগ করেন। একইসঙ্গে ডিপো মালিকের খুঁটির জোর নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।
বিএনপি দলীয় এই সংসদ-সদস্য আরও বলেন, তিনি (মালিক) অনুমোদন ছাড়া ডিপো তৈরি করেছেন। সেই ডিপোতে অনুমোদন না নিয়ে কেমিক্যাল রেখেছেন। এমনকি যখন সেখানে আগুন লেগেছে, তখন অগ্নিনির্বাপণের জন্য যারা গেছেন, তাদের কেমিক্যালের বিষয়ে অবহিত করেননি। এই খুঁটির জোর তিনি কোথা থেকে পেলেন?
তিনি বলেন, এ খুঁটির জোর তিনি পেলেন এ কারণেই যে, এ কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) মুজিবুর রহমান চট্টগ্রাম দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ। ক্ষমতাসীন দলের এমন একটি পদে থেকে কোনো নিয়ম-কানুন মানার প্রয়োজনীয়তা সম্ভবত তিনি বোধ করেননি।
ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, আশুলিয়ার তাজরিন ফ্যাশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২০১২ সালে মারা যান ১১১ জন পোশাককর্মী। সেই ঘটনার মূল আসামি তাজরিনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমডি দেলোয়ার হোসেন। এ মামলার ১০ বছর হয়ে গেল। এখনো সুরাহা হয়নি। বরং এ দেলোয়ার হোসেনকে সম্প্রতি ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, দুদিন পার হয়ে গেছে। কিন্তু এখনো বিএম কনটেইনার ডিপোর মালিকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অথচ আইন ভঙ্গ করে তিনি ডিপোতে হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডের মতো দাহ্য পদার্থ বিশেষ কোনো অবকাঠামো ছাড়াই স্টোর করেছিলেন। ফায়ার সার্ভিসের কাউকে প্রথমে জানানো হয়নি এখানে দাহ্য পদার্থ আছে। তাহলে অগ্নিনির্বাপণের জন্য ভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হতো। এতগুলো প্রাণ আমাদের হারাতে হতো না। আমি আপনার (স্পিকার) মাধ্যমে অনুরোধ জানাব, যাতে অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
নিমতলী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা স্মরণ করে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, ২০১০ সালে নিমতলীর অগ্নিকাণ্ডে মারা যান ১২৪ জন। শুনতে খুব অবাক লাগলেও সত্য যে, এ ঘটনায় কোনো মামলা দায়ের হয়নি। হয়েছে শুধু মাত্র একটি জিডি।
প্রথম আলোর যে ফলোআপ প্রতিবেদন সেটা বলছে, এই জিডির তদন্ত কাজ এখনো চলমান। যেহেতু নিমতলীর ঘটনায় কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি, কোনো মামলা হয়নি, কোনো বিচার হয়নি, তারই ফলে ঠিক ৯ বছর পরে আবারও একই ধরনের ঘটনা ঘটে চুড়িহাট্টায়, যেখানে আগুনে পুড়ে ৭৭ জন মারা যান। এ দুটি ঘটনার কারণ একই, কেমিক্যাল গুদাম।
তিনি বলেন, তখন সরকার বলেছিল, কেমিক্যাল গুদাম সরিয়ে ফেলা হবে পুরান ঢাকা থেকে। এখনো সরানো হয়নি। প্রায় ১৫ হাজার কেমিক্যাল গুদাম বা দোকানের নামে যেখানে বারুদের স্তূপ, সেখানে অসংখ্য মানুষ বসবাস করেন। সীতাকুণ্ডের ঘটনায় একটা কথা আমি খুব পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, এটি দুর্ঘটনা নয়, এটা হত্যাকাণ্ড। কেন আমি এটাকে হত্যাকাণ্ড বলছি?
আমি বলছি এ কারণেই, বিস্ফোরক পরিদপ্তর চট্টগ্রামের পরিদর্শক তোফাজ্জল জানান, বিএম কন্টেইনার ডিপোতে দাহ্য পদার্থ রাখা হয় এটি তাদের জানানো হয়নি। এ ধরনের পণ্য সংরক্ষণের জন্য বিশেষ ধরনের কাঠামো প্রয়োজন। কিন্তু ডিপোতে সে ধরনের কোনো ব্যবস্থা ছিল না।
রুমিন ফারহানা বলেন, অনিয়মের কথা মিডিয়ার কাছে স্বীকার করেছেন নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রীও। বাংলাদেশে যেহেতু দায়িত্ব স্বীকার করে নিয়ে পদত্যাগের কোনো সংস্কৃতি নেই, সেজন্য আমি নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রীর পদত্যাগ চাইছি না।
এদিকে ফায়ার সার্ভিসের একজন পরিচালক লে.ক. রেজাউল করিম স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, সেই ডিপোর দায়িত্বশীল কেউ বা মালিকপক্ষের কেউ তাদের জানাননি এখানে কেমিক্যাল রাখা আছে। সেটা জানা থাকলে অগ্নিনির্বাপণের জন্য ব্যবস্থা হতো একেবারেই ভিন্ন। তাতে বিস্ফোরণের সম্ভাবনা অনেক কমে যেত। কনটেইনার থেকে নিরাপদ দূরত্বে না থেকে বিস্ফোরণের কারণে ফায়ার সার্ভিসের যে ১২ জন মারা গেছেন, তা হয়তো হতো না। এই জীবনগুলো ঝরে গেছে স্রেফ কনটেইনার ডিপো মালিকের চরম উদাসীনতায়।
সর্বশেষ খবর
- কানাইঘাটে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন || মাছের পোনা অবমুক্ত
- বিএনপি নেতা মামুনুর রশীদের বক্তব্য মিথ্যা প্রপাগাণ্ডা: জমিয়ত সভাপতি
- শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে কানাইঘাটে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা
- পাথর লুটপাট কারীদের বিরুদ্ধে স্বোচ্চার হতে হবে :অ্যাডভোকেট জুবায়ের
- ফ্যাসিস্ট আমলে ব্যাপক লুটপাট হলেও বিয়ানীবাজার ছিল উন্নয়ন বঞ্চিত : এনামুল হক চৌধুরী
সর্বাধিক পঠিত খবর
- সিলেট সরকারি মদন মোহন কলেজে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা
- জাতির প্রত্যাশা পূরণে জামায়াতের পথ চলা অব্যাহত থাকবে : মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন
- গণঅভ্যুত্থানের আশা আকাঙ্খা পূরণে বিএনপি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: হাকিম চৌধুরী
- গণঅভ্যূত্থানের বর্ষপুর্তি উপলক্ষে কানাইঘাটে জামায়াতের বিশাল গণমিছিল
- অনলাইন প্রেসক্লাবের ‘শহীদ সাংবাদিক এটিএম তুরাব বেস্ট রিপোর্টিং এওয়ার্ড’ পাচ্ছেন মৃদুল