সর্বশেষ

» যৌন হয়রানির মামলায় কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাস কারাগারে

প্রকাশিত: ১৪. অক্টোবর. ২০২১ | বৃহস্পতিবার


Manual7 Ad Code

চেম্বার ডেস্ক:: এক নারীকে যৌন হয়রানির মামলায় ঢাকা সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাসের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠিয়েছেন সিএমএম আদালত।

Manual1 Ad Code

বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরা শুনানি শেষে জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

Manual3 Ad Code

এর আগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর চিত্তরঞ্জন দাস আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মাহমুদা আক্তার ধার্য তারিখ পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন।

Manual1 Ad Code

বৃহস্পতিবার ধার্য তারিখে চিত্তরঞ্জন দাস আদালতে হাজির হয়ে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি কাজী নজিব উল্লাহ হিরুর মাধ্যমে জামিন স্থায়ীর আবেদন করেন।

অন্যদিকে বাদীপক্ষে অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান, নিয়াজ মোর্শেদ নোমান জামিন বাতিলের আবেদন করে বলেন, আসামি জামিন পাওয়ার পর মামলা তুলে নিতে বাদিনীকে হুমকি দিচ্ছেন। সে বিষয়ে থানায় ডিজিও হয়েছে। শুনানি শেষে আদালত জামিন বাতিল করে আসামি চিত্তরঞ্জন দাসকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

Manual2 Ad Code

এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর রাতে চিত্তরঞ্জনের নারীর শ্লীলতাহানির ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপর গত ১১ সেপ্টেম্বর ওই নারী সবুজবাগ থানায় মামলা করেন।

মামলায় অভিযোগে বলা হয়, সবুজবাগ কালীবাড়ি রাস্তা সংলগ্ন ওই নারীর শ্বশুরের দোকান রয়েছে। তার পাশের দোকানদার দোকান সংস্কার করতে গেলে কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাস গরিব চা দোকানদারের কাছে ৪০ হাজার টাকা দাবি করেন। চাঁদার ব্যাপারে সত্যতা যাচাই করার জন্য ওই নারী রাত পৌনে ৮টার দিকে চিত্তরঞ্জন দাসকে মোবাইলে ফোন দেন। চিত্তরঞ্জন দাস তাকে রাত ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে তার রাজারবাগ কালীবাড়ি কার্যালয়ে যেতে বলেন। রাত পৌনে ১০টার দিকে ওই নারী স্বামীসহ সেখানে যান। চাঁদার বিষয়ে জানতে চাইলে চিত্তরঞ্জন দাস দুই চারটি কথা বলে তাকে পাশের কক্ষে বসতে বলেন। একটু পরে চিত্তরঞ্জন দাস ওই কক্ষে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। ওই নারীকে বসা থেকে উঠে দাঁড়ানোর জন্য বলেন। ওই নারী উঠে দাঁড়ালে চিত্তরঞ্জন দাস তাকে জড়িয়ে ধরেন এবং তার স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন। নানা রকম অঙ্গভঙ্গি করে তাকে কুপ্রস্তাব দেন।

মান-সম্মানের ভয়ে ওই নারী কোনো চিৎকার করেননি। চিত্তরঞ্জন দাস তাকে পরের প্রস্তাব দেন। ওই নারী হ্যাঁ বলে কোনো রকম নিজেকে রক্ষা করে ফিরে আসেন বলে মামলায় অভিযোগ করেন।

তবে এ বিষয়ে চিত্তরঞ্জন দাসের দাবি, ‘ওই সময় নাটকের রিহার্সাল দিচ্ছিলাম। নাটকের নাম ‘ঢাকার অসুখ ডাক্তার চাই।’ নারীর অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, মন্দিরের সম্পত্তি দখল নিয়ে তার শ্বশুরের সঙ্গে বিরোধ রয়েছে। মামলাকে তিনি ষড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

 

           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031  
Manual1 Ad Code
Manual2 Ad Code