সর্বশেষ

» অস্ট্রেলিয়া মাতালেন বাংলাদেশী নাশীদ শিল্পী ইকবাল হুসাইন জীবন

প্রকাশিত: ২১. নভেম্বর. ২০২২ | সোমবার

সুলায়মান আল মাহমুদ: নন্দিত নাশীদ শিল্পী ইকবাল হুসাইন জীবন আবারও দেশের গন্ডি পেরিয়ে এবার মাতালেন পুরো অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ার একটি স্বনামধন্য সংস্থা হিউম্যান আ্যপিল কর্তৃক আয়োজিত “ডিভাইন লেগেসি কনফারেন্স ট্যুর” এর ব্যানারে ৫টি শহরে ৫টি বড় আয়োজনে আমন্ত্রিত হন তিনি। কৈশোরে ইসলামী সংস্কৃতির বিকাশে যুক্ত হওয়া ইকবাল হুসাইন জীবন ইতোমধ্যে স্বদেশের বাইরে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড, সৌদি আরব, মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে তার সুরের মুর্ছনায় তুলে ধরে আসছেন শুদ্ধধারার সংস্কৃতি। সেই তালিকায় এবার যুক্ত হলো অস্ট্রেলিয়া। এই সফরে তার সাথে আমন্ত্রিত আর্টিস্ট হিসেবে পারফর্ম করেন বাংলাদেশের অন্যতম মিউজিক ডিরেক্টর পারভেজ জুয়েল।

অস্ট্রেলিয়ার এসব শো’তে ইকবাল হুসাইন জীবন ছাড়াও বিশ্বসেরা ইসলামিক স্কলার, বিশ্বসেরা ক্বারী ও নাশীদ শিল্পীগণ পারফর্ম করেন। শো’তে প্রধান অতিথি ছিলেন বর্তমান সময়ের সাড়া জাগানো ইসলামিক ব্যাক্তিত্ব জিম্বাবুয়ের জনপ্রিয় ইসলামিক স্কলার ইমাম মুফতি মেনক। পবিত্র কুরআন থেকে তিলাওয়াত করেন মিশরের ইসলামিক স্কলার প্রখ্যাত ক্বারী শেখ মোহাম্মদ জিব্রিল এবং তুরস্কের ইসলামিক স্কলার ইমাম ইসহাক দানিস। শিল্পী ইকবালের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক নাশীদ শিল্পী হিসেবে আরোও ছিলেন সিরিয়ার নাশীদ শিল্পী মুতাসিম আল আসালী, মেসেডোনিয়া থেকে আগত মাওলা ইয়া সাল্লি খ্যাত ওয়ার্ল্ড ফেমাস নাশীদ শিল্পী মেসুত কুর্তিস, অনুষ্ঠানে স্টান্ডআপ কমেডি করেন যুক্তরাষ্ট্রের কমেডিয়ান ওমর রিগ্যান।

জানা গেছে, দেশের সম্ভাবনাময় এই গুণী শিল্পী ৫টি শো’তে পারফর্ম করতে ৮ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমান। ১১ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে তিনি প্রথম পারফর্ম করেন। তারপর যথারীতি ১২ নভেম্বর মেলবোর্ন, ১৩ নভেম্বর সিডনি, ১৯ নভেম্বর অ্যাডিলেড-এ পৃথক নাশীদ শো’তে পারফর্ম করে শ্রোতাদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন। ২০ নভেম্বর পার্থ- এ পারফর্ম করার মাধ্যমে তার অস্ট্রেলিয়া শো’র সমাপ্তি ঘটে। প্রতিটি শো’তে তিনি শ্রোতাদের প্রশংসায় ভেসেছেন।

উপমহাদেশের অন্যতম নাশীদ শিল্পী ইকবাল হুসাইন জীবন ইসলামী সংস্কৃতিতে অসাধারণ অবদান রেখে যাচ্ছেন। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্বময় ইসলামী সংস্কৃতি ছড়িয়ে দিতে তিনি ছুটে চলছেন দুর-দিগন্তে। বাংলা, ইংরেজি, আরবি, উর্দু ভাষায় রচিত এবং আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ডে নির্মিত তাঁর বৈচিত্র্যময় নাশীদগুলো ইতোমধ্যে দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশের বিভিন্ন ভাষাভাষীদের মধ্যে ব্যাপক সুনাম কুড়িয়েছে। তাঁর “মেইক মি ইউর ফ্র্যান্ড” এবং “শো মি দ্যা ওয়ে” নামের অ্যালবাম দুটির সবগুলো নাশিদই সর্বমহলে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

তরুণ প্রজন্মের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় এই নাশীদ শিল্পী বিগত প্রায় ২ দশকের বেশি সময় ধরে ইসলামী সংস্কৃতিতে বিশেষ অবদানের জন্য দেশ-বিদেশে ব্যাপক সমাদৃত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পেয়েছেন সম্মান-খ্যাতিও। তিনি মানুষকে স্বপ্ন দেখান, প্রেরণা জোগান। উন্নত-সমৃদ্ধ একটি সংস্কৃতির জন্য নিরলস কাজ করে যান পরম নিষ্ঠা-আন্তরিকতায়। স্বপ্ন দেখেন সাংস্কৃতিক বিপ্লবের।

শিল্পী ইকবাল যদিও বিশ্ব সঙ্গীতের নাশীদ নিয়ে কাজ করে থাকেন। তবুও শান্তি, সম্প্রীতি ও ঐক্য নিয়ে কাজ করতে পেরে তিনি নিজেকে ধন্য মনে করেন। গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘তুমি যদি চেষ্টা ও সাধনা কর তাহলে মহান আল্লাহ অবশ্যই তোমার সফলতায় সাহায্য করবেন’

ইকবাল হুসাইন জীবন বাংলাদেশ তথা বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে থাকা সংস্কৃতি কর্মীদের জন্য অনুপ্রেরণার এক উজ্জল দৃষ্ঠান্ত। সত্যকে বুকে ধারণ করে সুন্দরের পথে নিজেকে পরিচালনা করার জন্য নিজের প্রচেষ্টাও প্রধান ভুমিকা পালন করে থাকে। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সুস্থ সংস্কৃতিকে তুলে ধরার তাগিদে দেশের গন্ডি পেরিয়েও নিজেকে তুলে ধরার যে চেষ্টা তিনি করেছেন তা নিঃসন্দেহে একটি মাইলফলক। শুদ্ধ সংস্কৃতির আন্দোলন বিশ্বময় ছড়িয়ে দিতে দেশে-বিদেশে অবস্থানরত ভাই-বোনদের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

July 2024
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031