- চোরাচালান নিয়ে কলরেকর্ড ভাইরাল হওয়ায় কানাইঘাটে দুই ছাত্রদল নেতাকে দল থেকে অব্যাহতি
- বায়তুন নাযাত জামে মসজিদে ২য় সীরাত প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত
- বিয়ের আয়োজনকে নতুন মাত্রা দিতে সিলেটে প্রথমবারের মতো “ম্যাগনিফিসেন্ট ওয়েডিং কার্নিভাল”
- জাতীয় নির্বাচনে ডাকসু নির্বাচনের ফলাফল কোন প্রভাব বিস্তার করবেনা : ড.এনামুল হক চৌধুরী
- কানাইঘাট থানা পুলিশের হাতে আন্তঃবিভাগ সিএনজি চোর চক্রের ২ সদস্য গ্রেফতার
- কানাইঘাটে বাজার মনিটরিং, ব্যবসায়ীকে জরিমানা
- মেধাবী শিক্ষার্থীর পাশে কানাইঘাটের ইউএনও || ভর্তি করে দিলেন কলেজে
- রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা’ কানাইঘাটে লিফলেট বিতরণে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ভিপি মাহবুব
- সিলেট-৫ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী আশিক চৌধুরীর লিফলেট বিতরণ
- এম. সাইফুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে মহানগর বিএনপির কর্মসূচি
» অপরাধীদের খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করুন : প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিত: ২৬. জুলাই. ২০২৪ | শুক্রবার

চেম্বার ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত ও শিবির দেশের উন্নয়নকে ক্ষতিগ্রস্ত করার পাশাপাশি বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করার জন্যই দেশব্যাপী তান্ডব চালিয়েছে।
তিনি এই ধ্বংসযজ্ঞের সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে সহায়তা করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
মেট্রোরেল, বিটিভিসহ বিভিন্ন স্থাপনা ধ্বংসের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা এ সবের সঙ্গে জড়িত, সারা বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে যে যেখানে আছে তাদের খুঁজে বের করুন। তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করার জন্য সহযোগিতা করুন। আমি দেশবাসীর কাছে এই আহ্বান জানাচ্ছি।’
আজ শুক্রবার সকালে গত ১৮ জুলাই কোটা বিরোধী আন্দোলনকে পুঁজি করে রামপুরাস্থ বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবনে (বিটিভি) চালানো ধ্বংসযজ্ঞ পরিদর্শন শেষে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বিএনপি-জামায়াতের দূর্বৃত্তদের তান্ডবলীলায় ক্ষতিগ্রস্ত মিরপুর-১০ মেট্রোরেল স্টেশন পরিদর্শনের একদিন পর প্রধানমন্ত্রী বিটিভি ভবন পরিদর্শন করলেন।
’৯৬ সালে ২১ বছর পর সরকারে এসে এবং দ্বিতীয় মেয়াদে ২০০৯ সালে সরকার গঠন করার পর থেকে তাঁর সরকার বিটিভির প্রভূত উন্নয়ন ও আধুনিক যন্ত্রপাতি সজ্জিত করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আজকে এত বছর পর এসে দেখা গেল সেই ’৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর যে নারকীয় তান্ডব তারই যেন একটা বীভৎস রূপ বাংলার মানুষ দেখছে।
প্রধানমন্ত্রী ২০১৩ সালে তথাকথিত আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামায়াতের তান্ডবলীলা ও ধ্বংসযজ্ঞে ৩ হাজার ৮০০ যানবাহন, ২৮টি ট্রেন ও ট্রেনের বগি, লঞ্চ ও সরকারি স্থাপনায় অগ্নিসংযোগের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, এবার কোটা সংস্কার আন্দোলনকে পুঁজি করে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হলো।
তিনি বলেন, ‘তবে, এবারের আগুন লাগানোর ধরন আগের গুলোর তুলনায় আলাদা। তারা এবার আগুন লাগাতে গান পাউডার ব্যবহার করেছে এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কিন্তু টেলিভিশনের ওপর হাত দেয়নি বা কেউই কখনো দেয়নি। কিন্তু আজকে এই টেলিভিশন সেন্টারকে যারা এইভাবে পোড়ালো, একটা কিছু নেই যে তাদের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। তাহলে এরা কারা? এরা কি এদেশেরই মানুষ? এদের কি এই দেশেই জন্ম ? একটা দেশকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করার চিন্তা নিয়েই যেন তাদের এই আক্রমণ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মেট্রোরেল যেটা ছিল সারাবিশে^র প্রতিটি বাঙালির কাছে একটা সম্পদ, সেটাকে ধ্বংস করল। যার মাধ্যমে মানুষ অল্প সময়ে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে পারতো। আজ সেটা বন্ধ। আবার সেই ট্রাফিক জ্যাম, আবার সেই পূর্বের অবস্থায় মানুষকে ফেলে দিল। আর এই টেলিভিশন সেন্টারে তারা যেভাবে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে যেসব জিনিস মানুষের সেবা করে মানুষের জন্য কাজ করে সেই জায়গাগুলোতেই আঘাত।
তিনি বলেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতেও আগুন দিয়ে পোড়ালো। গাড়িগুলো, এমনকি জাপান থেকে আনা অত্যাধুনিক সিটি কর্পোরেশনের ময়লার গাড়িগুলো পুড়িয়েছে, পানি শোধনাগারে হামলা করতে গেছে, পয়ঃশোধনাগারে হামলা, এটা কি হচ্ছে? কি তাদের মানসিকতা?
শেখ হাসিনা বলেন, আমি তাই দেশবাসীকে বলবো এই ঢাকাবাসীকেই বলবো, আজ আপনাদের এই দুর্ভোগ, আমি তো লাঘব করে দিয়েছিলাম। কিন্তু যারা এটা ধ্বংস করলো আর যাদের জন্য এই দুর্ভোগ আর যাদের জন্য আজ বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে আমি তাদের বিচারের ভার এ দেশের জনগণের ওপরই দিয়ে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, যারা এ দেশের মানুষের রুটি-রুজির ওপর হাত দিয়েছে, রুটি-রুজির পথ বন্ধ করে দিয়েছে, তাদের বিচার জনগণকেই করতে হবে। কারণ, এ দেশের জনগণই একমাত্র শক্তি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিভ্রান্তি ছড়িয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে কাউকে যেন বিভ্রান্ত করতে না পারে। আসল সত্যটা জানুন। যারা এসবের সাথে জড়িত সারা বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে যে যেখানে আছে তাদের খুঁজে বের করুন। তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করার জন্য সহযোগিতা করুন। দেশবাসীর কাছে আমি সেই আহ্বানই জানাই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই দেশ আমরা অনেক কষ্ট করে পাকিস্তানিদের কাছ থেকে স্বাধীন করেছি। আজ বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। সেই মর্যাদাকে ধ্বংস করার জন্যই এই ধ্বংসযজ্ঞ।
শেখ হাসিনা বিটিভির ধ্বংসযজ্ঞ আর আগুনে পোড়া অবস্থা দেখে স্মৃতি রোমন্থন করে বলেন, আজ অতীতের কথা মনে পড়ে আমি কতবার এখানে এসেছি। প্রত্যেক নির্বাচনের আগে এখানে ভাষণ দিতে এসেছি। নানা অনুষ্ঠানে এসেছি। আজ যে ধ্বংসযজ্ঞ দেখলাম এরপর এটা আবার কবে আবার প্রতিষ্ঠা করা যাবে, জানি না।
তিনি বিটিভির কর্মকর্তা-কর্মচারিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, আপনারা জীবনের ঝুঁকি নিয়েও অনেক চেষ্টা করেছেন। এই সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে পার পাওয়া অত্যন্ত কষ্টকর ছিল। তবুও আপনারা এই জাতীয় সম্পদকে রক্ষার চেষ্টা করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় অত্যন্ত আবেগাপ্লুত কন্ঠে বলেন, ‘এইগুলো দেখে আমি আসলে আর কথা বলতে পারছি না। এক একটা জিনিস যখন গড়ে তুলতে অনেক কষ্ট করতে হয়।’
তিনি বলেন, দেশের জনগণের উন্নয়নের জন্য দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করি। সেটা আমার দেশের মানুষেরই জন্য। একটা জিনিস এমনভাবে তৈরি করার চেষ্টা করি যাতে এগুলো শুধু দেশে নয়, বিদেশিদের কাছেও দৃষ্টিনন্দন হয়। আমরা দেশের যে উন্নতি করছি তার প্রতীক হিসেবে ব্যবহার হবে। প্রতিটি ক্ষেত্রে সেই জায়গাগুলো একে একে ধ্বংস করা হচ্ছে। এত দিনের কষ্টের ফসল সব শেষ করে দিতে চাচ্ছে। এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় কষ্টের। দেশবাসীর কাছে এর বিচার চাই, আমি তাদের সহযোগিতা চাই।
প্রধানমন্ত্রী আজ সকাল ৯টা ১৩ মিনিটের দিকে বিটিভি ভবনে প্রবেশ করেন এবং কোটা-সংস্কার আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে বিএনপি-জামায়াত চক্রের তান্ডবে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত সমস্ত বিভাগ পরিদর্শন করেন।
বিটিভি ভবনে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ প্রত্যক্ষ করে প্রধানমন্ত্রীকে হতাশ ও অসন্তুষ্ট দেখা গেছে।
বিটিভি ভবনে ধ্বংসযজ্ঞ দেখে কর্মকর্তারা তাদের চোখের পানি ধরে রাখার চেষ্টা করার সময় বাতাস ভারী হয়ে উঠলে তাঁকেও অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়তে দেখা যায়।
বিটিভির সদর দপ্তর ও ভবনে ভাঙচুরের একটি ভিডিও চিত্রও প্রধানমন্ত্রীকে দেখানো হয়।
বিটিভির পরিসংখ্যান অনুযায়ী তান্ডবলীলায় বিটিভির বিভিন্ন অবকাঠামো, সম্প্রচার সরঞ্জাম, নকশা বিভাগ, অফিস ভবন এবং বিভিন্ন কক্ষ ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়।
সন্ত্রাসীদের তান্ডবলীলায় ১৯৬৪ সাল থেকে সংরক্ষিত অমূল্য প্রাচীন জিনিস দিয়ে সজ্জিত টেলিভিশন জাদুঘর এবং মুজিব কর্নার, মুক্তিযুদ্ধের স্মারক, প্রায় ৪০টি কম্পিউটার, ১০০টি টেলিভিশন সেট এবং কম্পিউটার ল্যাবের আসবাবপত্র, প্রশিক্ষণ কক্ষ ও প্রিভিউ রুম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনটি তলায় আগুন দিয়ে পোড়ানো এবং যন্ত্রাংশ লুটপাট, একটি সম্প্রচার ওবি ভ্যান. ১৭টি গাড়ি ও ২১টি মোটর সাইকেলে আগুন এবং ৯টি গাড়ি ভাঙচুর করাসহ সম্পূর্ণ স্থাপনাটির ব্যাপক ক্ষতি সাধন করা হয়েছে।
সর্বশেষ খবর
- চোরাচালান নিয়ে কলরেকর্ড ভাইরাল হওয়ায় কানাইঘাটে দুই ছাত্রদল নেতাকে দল থেকে অব্যাহতি
- বায়তুন নাযাত জামে মসজিদে ২য় সীরাত প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত
- বিয়ের আয়োজনকে নতুন মাত্রা দিতে সিলেটে প্রথমবারের মতো “ম্যাগনিফিসেন্ট ওয়েডিং কার্নিভাল”
- জাতীয় নির্বাচনে ডাকসু নির্বাচনের ফলাফল কোন প্রভাব বিস্তার করবেনা : ড.এনামুল হক চৌধুরী
- কানাইঘাট থানা পুলিশের হাতে আন্তঃবিভাগ সিএনজি চোর চক্রের ২ সদস্য গ্রেফতার
সর্বাধিক পঠিত খবর
- সিলেট সরকারি মদন মোহন কলেজে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা
- সিলেট-৫ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী আশিক চৌধুরীর লিফলেট বিতরণ
- কানাইঘাট প্রেসক্লাবে প্রবাসী কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের নিয়ে মতিবিনিময়
- কানাইঘাটে বিএনপির জনসভা: সিলেট-৫ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী চান নেতাকর্মীরা
- জাতির প্রত্যাশা পূরণে জামায়াতের পথ চলা অব্যাহত থাকবে : মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন
এই বিভাগের আরো খবর
- ডাকসু ভোটে অংশ নিতে বাধা নেই জিএস পদপ্রার্থী এস এম ফরহাদের: আপিল বিভাগ
- নিবার্চনে শুধু সেনাবাহিনী নয়, বিমান-নৌবাহিনীকেও কাজে লাগাব: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- ডাকসু নির্বাচন নিয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছে চেম্বার আদালত
- কানাইঘাট সুরইঘাট সীমান্তে বেপরোয়া চোরাকারবারী চক্র || ভারতীয় চা পাতা ধরতে গিয়ে আহত বিজিবি সদস্য
- Tarique Rahman meets Khaleda Zia