সর্বশেষ

» আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিতে মামুনুল হক, যেকোনো সময় গ্রেপ্তার:পুলিশ

প্রকাশিত: ০৮. এপ্রিল. ২০২১ | বৃহস্পতিবার

চেম্বার ডেস্ক:: হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক যেকোনো সময় গ্রেপ্তার হতে পারেন। দুই দিনে ঢাকায় ও নারায়ণগঞ্জে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হওয়ার পর তাকে নজরদারিতে রেখেছে পুলিশ ও র‌্যাব। পাশাপাশি সাদা পোশাকে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও তার গতিবিধি নজরদারি করছেন।

 

সরকারের একাধিক মন্ত্রী গত দুই দিনে হেফাজতের তাণ্ডবের ব্যাপারে সরকারের কঠোর অবস্থানে যাওয়ার কথা বলেছেন। এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, ‘মামুনুল হককে গ্রেপ্তারে পদক্ষেপ নেয়া হবে। মামলা হয়েছে। শর্ট টাইমের মধ্যে আমরা গ্রেপ্তার অভিযান চালাব। আবার আসামিকে গ্রেপ্তারে সময় লাগতে পারে, খুঁজতে হবে, আসামি কোন ঠিকানায় আছেন তা জানতে হবে। তবে আমাদের সব ধরনের তৎপরতা চলছে।’

 

গত শনিবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ এলাকায় রিসোর্ট কাণ্ডের পর মামুনুল হক তার মোহাম্মদপুরের বাসায় আর ফেরেননি। এদিকে সন্তানদের নিয়ে তার স্ত্রী মোহাম্মদপুরের কাদেরাবাদ হাউজিং ১ নম্বর সড়কের ওই বাসা ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন।

 

মামুনুল হক শিক্ষকতা করেন মোহাম্মদপুরের জামিয়া রহমানিয়া মাদ্রাসায়। রিসোর্ট কাণ্ডের পর গত সোমবার ওই মাদ্রাসায় হেফাজত নেতারা জরুরি বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মামুনুল হক। এরপর আর তার দেখা পাওয়া যায়নি।

 

হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ফজলুল করিম কাসেমী বলেন, ‘তার (মামুনুল) সঙ্গে সর্বশেষ দেখা হয়েছে গত সোমবার। উনি মিটিংয়ে ছিলেন। এরপর আর তার সঙ্গে দেখা হয়নি। উনি কোথায় আছেন জানি না।’

 

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি সূত্র বলছে, শনিবার রাতে সোনারগাঁ থেকে ফিরে মামুনুল হক পল্টনে বোনের বাসায় যান। সেখান থেকে যান মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদ্রাসায়। সেখান থেকে বসিলায়। গত সোমবার তিনি জামিয়া রাহমানিয়ায় এসেছিলেন। তাকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। নির্দেশনা পেলেই তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।

 

বায়তুল মোকাররমে তাণ্ডবের ঘটনায় গত ৫ এপ্রিল রাতে পল্টন থানায় একটি মামলা হয়। মামুনুল হককে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনসহ কয়েকটি ধারায় আরিফ-উজ-জামান নামে এক ব্যবসায়ী মামলা করেছেন। মামলার এজাহারে এক নম্বর ও হুকুমের আসামি করা হয়েছে মামুনুল হককে।

 

এদিকে ৬ এপ্রিল রাতে সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ২৫০-৩০০ জনকে। মামলায় মামুনুল হককে প্রধান আসামি করা হয়েছে। সোনারগাঁয়ে ভাঙচুর, সহিংসতা ও সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে ওই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইয়াউর রহমান বাদি হয়েছে মামলাটি করেছেন।

 

এই দুই মামলা ছাড়াও সারাদেশে হেফাজতের তাণ্ডবের পেছনে মামুনুল হকের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে দেশের বিভিন্ন থানায় দায়ের হওয়া কোনো মামলায় তাকেসহ হেফাজত ইসলামের কোনো নেতৃবৃন্দকে আসামি করা হয়নি। পুলিশ বলছে, তাণ্ডবের পেছনে তাদের পরিকল্পনা থাকলে তদন্তের মাধ্যমে মামলায় তাদের নাম যুক্ত হবে।

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

May 2025
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031