সর্বশেষ

» লকডাউন বাস্তবায়নকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র ফরিদপুরের সালথা

প্রকাশিত: ০৫. এপ্রিল. ২০২১ | সোমবার

চেম্বার ডেস্ক:: ফরিদপুরের সালথায় লকডাউন কার্যকর করাকে কেন্দ্র করে থানা ও উপজেলা কমপ্লেক্স ঘেরাও করে রেখেছে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও জনতা। এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।

 

জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সালথা উপজেলা সদর থেকে আনুমানিক সাড়ে তিন কিলোমিটার দূরে সোনাপুর ইউনিয়নের ফুকরা বাজার থেকে এ সংঘাতময় পরিস্থিতির সুত্রপাত হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ওই সময় অস্ত্রধারী আনসার সদস্য ও পিএকে নিয়ে এসিল্যান্ড মারুফা সুলতানা ফুকরা বাজারে যান। এসময় বাজারে লোক সমাগম ও দোকানপাট খোলা দেখতে পেয়ে এসিল্যান্ডের সহকারী একজনকে লাঠিপেঠা করে। আর এনিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে স্থানীয়ারা।

 

স্থানীয়দের প্রতিরোধের মুখে এসিল্যান্ড তার টিম নিয়ে উপজেলা সদরে ফিরে যান।
পরে সালথা থানার পুলিশ ফুকরা বাজারে গিয়ে জনতার সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় এসআই মিজান ও দুই কনস্টেবল আহত হন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ফুকরা বাজারে এলে জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এবং পুলিশের উপর হামলা চালায়। পুলিশ থানায় চলে যায়।

 

সোনাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান মো. খায়রুজ্জামান বলেন, এসিল্যান্ড ফুকরা বাজারে লকডাউন কড়াকড়ি করতে আসার পর আগে বাজার কমিটির সভাপতিসহ অন্যদের সাথে বসা উচিত ছিল। তাদের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের বুঝিয়ে লকডাউন কার্যকর করা হলে এ ঘটনা ঘটতো না।

 

ওই বাজার বণিক সমিতির সভাপতি কাওসার খান বলেন, তিনি ওই সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন না। তবে পরে শুনেছেন জাকির হোসেন নামে এক ব্যাক্তিকে মারপিট করায় এ ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে।

 

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, পরে বিভিন্ন ইউনিয়নে মোবাইলে যোগাযোগ করে ‘পুলিশের গুলিতে দুইজন নিহত হয়েছে’ এ জাতীয় গুজব ছড়িয়ে সালথায় লোক জড়ো করা হয়। পরে সন্ধ্যার পর হাজার হাজার জনতা থানা ও উপজেলা কমপ্লেক্স ঘেরাও করে রাখে। একপর্যায়ে জনতা উপজেলা কমপ্লেক্স এর প্রধান ফটক ও থানার ফটকের সামনে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে উপজেলা কমপ্লেক্সের ভিতরে এবং গাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে।

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

May 2025
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031