সর্বশেষ

» মওদুদের বর্ণাঢ্য জীবন: আইনজীবী থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১৬. মার্চ. ২০২১ | মঙ্গলবার

Manual2 Ad Code

চেম্বার ডেস্ক:: না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন দেশের প্রবীণ আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

Manual1 Ad Code

স্বাধীনতাপরবর্তী বাংলাদেশে যেসব রাজনীতিবিদ নানা কারণে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন তাদের একজন ছিলেন মওদুদ আহমদ। একজন খ্যাতিমান আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ হিসেবে তার ব্যাপক পরিচিতি ছিলো। এর বাইরে তিনি একজন লেখকও ছিলেন।

Manual4 Ad Code

এরশাদের আমলে অল্প সময়ের জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রী ও উপরাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন মওদুদ আহমদ। তিনি বিএনপি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম। পাঁচবারের সংসদ সদস্য। ছিলেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গেও মওদুদ আহমদের ঘনিষ্ঠতা ছিলো। ১৯৭১ সালে ইয়াহিয়া খান আহুত গোলটেবিল বৈঠকে তিনি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

মওদুদ আহমদ ১৯৪০ সালের ২৪ মে ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির (বর্তমান বাংলাদেশ) নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মাওলানা মমতাজ উদ্দিন আহমদ এবং মা বেগম আম্বিয়া খাতুন। ছয় ভাইবোনের মধ্যে মওদুদ আহমদ চতুর্থ।

Manual5 Ad Code

তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মান পাস করে ব্রিটেনের লন্ডনে লিঙ্কন্স ইন থেকে ব্যারিস্টার-অ্যাট-ল’ ডিগ্রি অর্জন করেন। লন্ডনে পড়াশোনা করে তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং হাইকোর্টে ওকালতি শুরু করেন। তিনি ব্লান্ড ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলনে।

১৯৭৭-৭৯ সালে তিনি রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সরকারের মন্ত্রী ও উপদেষ্টা ছিলেন। ১৯৭৯ সালে তিনি প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং তাকে উপ-প্রধানমন্ত্রী করা হয়। ১৯৮১ সালের মে মাসে জিয়াউর রহমান নিহত হন এবং এক বছরের ভেতর হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ রাষ্ট্রক্ষমতা গ্রহণ করেন।

Manual8 Ad Code

১৯৮৫ এর নির্বাচনে মওদুদ আহমদ আবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং সরকারের তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। এক বছর পর ১৯৮৬ সালে তাকে আবার উপ-প্রধানমন্ত্রী করা হয়। ১৯৮৮ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী হন। ১৯৮৯ সালে তাকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয় এবং এরশাদ তাকে উপ-রাষ্ট্রপতি করেন।

৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ সালে এরশাদ সরকার জনরোষের মুখে ক্ষমতা ছেড়ে দেয়। জাতীয় পার্টির মনোনয়ন নিয়ে ১৯৯১ সালে মওদুদ আহমদ আবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। তিনি দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হন। ২০০১ সালে তিনি বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং তাকে আইনমন্ত্রী করা হয়। তিনি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ আসন থেকে পাঁচবারের সংসদ সদস্য।

সবশেষ ২০০৮ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান। তবে ২০০৮ সালের নির্বাচনে নিজ আসন থেকে পরাজিত হওয়ার পর তাকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বগুড়ায় ছেড়ে দেয়া নিজের আসন থেকে বিজয়ী করে সংসদে আনেন।

ইংরেজি ও বাংলা ভাষায় তিনি বেশ কিছু বইও লিখেন। তার লেখা কিছু বইয়ে নির্মোহ বর্ণনার কারণে দলে চাপের মুখেও পড়েন।

           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031  
Manual1 Ad Code
Manual2 Ad Code