সর্বশেষ

» দেশবাসীকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দানবীর প্রবাসী শাকুর সিদ্দিকী

প্রকাশিত: ১৪. ডিসেম্বর. ২০২০ | সোমবার

চেম্বার ডেস্ক:: বীরের জাতি হিসেবে বাঙালির আত্মপ্রকাশ ও পৃথিবীর মানচিত্রে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অস্তিত্ব প্রকাশের দিন ১৬ই ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিনে বিজয়ের সূর্য উদিত হয়েছিল বাংলার আকাশে। পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মাতৃভূমিকে মুক্ত করতে প্রাণ উৎসর্গ করা যুদ্ধজয়ের আনন্দ অতুলনীয়। ৪৮ বছর আগে এই দিনে বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী হাতের অস্ত্র ফেলে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়েছিল বিজয়ী বাঙালির সামনে। তারা স্বাক্ষর করেছিল পরাজয়ের সনদে।
সারা দেশের মানুষের পাশাপাশি পৃথিবীজুড়ে ছড়িয়ে থাকা বাঙালিরা ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে আনন্দে মেতে উঠবে। একই সঙ্গে স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গ করা অকুতোভয় বীর সন্তানদের গভীর বেদনা ও পরম শ্রদ্ধায় স্মরণ করবে কৃতজ্ঞ জাতি। শ্রদ্ধা জানাবে সম্ভ্রম হারানো মা-বোনদের।
শ্রদ্ধা-ভালোবাসা নিয়ে শহীদদের উদ্দেশে পুষ্পাঞ্জলি নিবেদন করবে লাখো মানুষ। বঙ্গবন্ধুর বজ্রকণ্ঠের ভাষণ আর মুক্তিযুদ্ধের সময়ের জাগরণী গানে মুখরিত হবে পাড়া-মহল্লা, গলি থেকে রাজপথ।

এ উপলক্ষে দেশবাসীকে মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন লন্ডন প্রবাসি দানবীর এম এ শাকুর সিদ্দিকী চৌধুরী। গণমাধ্যমকে প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এই বার্তা পাঠান।
তিনি বলেন, বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এ মাসেই অর্জিত হয় মহান স্বাধীনতা। বিশ্বের মানচিত্রে জন্ম নেয় স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।
পাকিস্তানকে পর্যুদস্ত করে অর্জিত এ বিজয় ছিল আনন্দ ও গৌরবের এবং একই সঙ্গে ছিল প্রিয়জন হারানোর গভীর শোক। স্বাধীনতা যুদ্ধে বাঙালি জাতি দৃঢ় শপথ নিয়েছিল স্বাধীনতা অর্জনের। ২৫ মার্চের নির্মম নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর বাঙালি জাতি রুখে দাঁড়িয়েছিল শোষণের বিরুদ্ধে। ৩০ লাখ প্রাণ আর দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে বীর বাঙালি জাতি বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল ১৬ ডিসেম্বর।
১৯৭১ সালে ডিসেম্বরের শুরু থেকেই বাঙালি বীর সন্তানদের সঙ্গে যুদ্ধে একের পর এক পরাজিত হতে থাকে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী। মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা আক্রমণ আর ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত যৌথ বাহিনীর জল, স্থল ও আকাশপথে সাঁড়াশি অভিযানের মুখে ক্রমাগত পরাজিত হতে থাকে পাকিস্তানী বাহিনী এবং এর ফলে মুক্তিকামী বাঙ্গালীর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয় ১৬ ডিসেম্বর।
নভেল করোনাভাইরাস (কভিড-১৯)-এর মহামারীর এই কঠিন সময়েও মাসব্যাপী উৎসাহ-উদ্দীপনায় এবং নানা কর্মসূচির মাধ্যমে বিজয়ের ৪৯ বছর উদযাপন করবে এ দেশের মানুষ। এছাড়াও দেশের জন্য জীবন উৎসর্গকারী বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন শাকুর সিদ্দিকী।

উল্লেখ্য, সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার নিজ বাউরভাগ পশ্চিম গ্রামের হাজি শওকত আলী চৌধুরী ও খাদিজা বেগম চৌধুরী দম্পতির সন্তান লন্ডন প্রবাসি দানবীর এম. এ. শাকুর সিদ্দিকী চৌধুরী। তিনি ‘কানাইঘাট এসোসিয়েশন ইউকে’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এ সংগঠনের কাজই শুধু অসহায় মানুষের মূখে হাসি ফুটানো।
নিজের কষ্টে অর্জিত তিলে তিলে গড়া নিজ অর্থ ব্যায়ে গড়ে তুললেন হাজি আব্দুল হামিদ সড়ক ও হাজি শওকত আলী সেতু এবং বড় দুটি কালভার্ট নির্মাণ করেন। এ কর্মকান্ডগুলোতে বেশ প্রশংসীতও হয়েছেন বার বার।
এরই ধারাবাহিকতায় গড়ে তুলেন ‘কানাইঘাট এডোকেশন ট্রাষ্ট ইউকে’ নামে সংগঠন। যার মাধ্যমে সিলেট জেলার বিভিন্ন উপজেলায় পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের অনুদান দিয়ে আসছেন।

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

July 2024
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031