সর্বশেষ

» ঢামেকে মৃত ঘোষণার পর আজিমপুর কবরস্থানে জীবিত নবজাতক!

প্রকাশিত: ১৬. অক্টোবর. ২০২০ | শুক্রবার

চেম্বার ডেস্ক:: ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মৃত ঘোষণার পর আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করার সময় হঠাৎ জীবিত হয়ে উঠেছে এক নবজাতক। তাকে আবার ঢামেকের নবজাতক বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।

আলোচিত ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সকালে।

জানা গেছে, ছয় মাস ১৬ দিনের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী শাহিনুর বেগমকে গত বুধবার ঢামেক হাসপাতালের গাইনি বিভাগে ভর্তি করেন স্বামী বাসচালক ইয়াসিন। ঢাকা মেডিকেলের ২১২ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করার পর সেখানকার চিকিৎসকরা তার স্ত্রীকে দেখেন এবং জানান তার প্রেশার অনেক হাই।

চিকিৎসকদের পরামর্শ ছিল, বাচ্চাটি ডেলিভারি না করালে তার প্রেশার কমবে না। চিকিৎসকদের কথায় সম্মতি দেওয়ার পর বুধবার রাতেই তাকে লেবার রুমে নিয়ে নরমাল ডেলিভারির চেষ্টা করা হয়। ডেলিভারি না হওয়ায় তাকে ১১০ নম্বর ওয়ার্ডে রাখা হয়। সেখানে চিকিৎসকরা দুদিন চেষ্টার পরও ডেলিভারি হয়নি।

শুক্রবার ভোরে শাহিনুরের আবার ব্যথা শুরু হয়। এরপর পৌনে ৫টার দিকে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তিনি। চিকিৎসকরা জানান বাচ্চাটির মৃত অবস্থায় জন্ম হয়েছে।

ইয়াসিন বলেন, এরপর হাসপাতালের আয়া বাচ্চাটিকে প্যাকেট করে বেডের নিচে রেখে দেন এবং কোথাও নিয়ে দাফন করার জন্য বলেন।

সকাল ৮টার দিকে ইয়াসিন নবজাতক আজিমপুর কবরস্থানে নিয়ে যান। সেখানে ১,৫০০ টাকা সরকারি ফী দিতে না পারায় তাদের পরামর্শে রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে নিয়ে যান।

সেখানে ৫০০ টাকা ফ্রি ও কিছু বকশিশ দেওয়ার পর নবজাতকটির জন্য কবর খোঁড়া শুরু হয়। কবর খোঁড়া প্রায় শেষ পর্যায়ে তখন কান্নাকাটি শব্দ শুনতে পান। তিনি আশপাশে কোথাও কিছু না পেয়ে পরে পাশে রাখা নবজাতকটির দিকে খেয়াল করেন। এরপর প্যাকেট খুলে দেখেন বাচ্চাটি নড়াচড়া করছে, কান্নাকাটি করছে।

এরপরই তাকে দ্রুত আবার ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসেন এবং তাকে চিকিৎসকরা দেখে পরে নবজাতক বিভাগে ভর্তি করেন বলে জানান তার বাবা।

তিনি বলেন, এটি তার দ্বিতীয় সন্তান। ইসরাত জাহান নামে তার ১০ বছরের আরেকটি মেয়ে রয়েছে। তাদের বাড়ি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মালঙ্গা গ্রামে। তুরাগ ধউর নিসাতনগর এলাকায় থাকেন তারা। তার স্ত্রী গৃহিণী ও তিনি বিআরটিসি বাস চালক।

চিকিৎসকদের এমন ভুল সিদ্ধান্ত ও পরামর্শের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইয়াসিন।

হাসপাতালটির গাইনি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. নিলুফা সুলতানা বলেন, ‘আমি দু’দিনের ছুটিতে আছি। নবজাতকটির বিষয়ে হাসপাতাল পরিচালক আমাকে জানিয়েছেন। আমি আমার বিভাগের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জকে নবজাতকটি বিষয়ে জানিয়েছি। তারা সবকিছু দেখছেন।’

এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘নবজাতকটি জীবিত আছে, ভালো আছে। তাকে ভর্তি রাখা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা একটা তদন্ত কমিটি করবো। তদন্ত করে বের করার চেষ্টা করবো কেন এমনটি হয়েছে।’

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

May 2025
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031