সর্বশেষ

» ইতালিতে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রবেশের অনুমতি পাবে না বাংলাদেশিরা

প্রকাশিত: ১২. অক্টোবর. ২০২০ | সোমবার

চেম্বার ডেস্ক::বাংলাদেশিরা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ইতালি প্রবেশের অনুমতি পাবে না। এই পরিস্থিতির জন্য বাংলাদেশি প্রবাসীরাই দায়ী। কারণ তারা ইতালি সরকারের কোয়ারেন্টিন নিয়ম লঙ্ঘন করেছিল।

 

সোমবার মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন এসব তথ্য জানান।

 

এসময় ইতালিতে অবস্থানরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের আচরণের ব্যাপারে আক্ষেপও করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

 

ইতালি প্রবাসী কর্মীদের সে দেশে ফেরার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কোনও ভালো খবর নেই।’ আমাদের প্রবাসীরাই সমস্যা। আপনারা জানেন যে তারা ইতালির আইন মেনে চলেননি।’ ৪৮ জন বাংলাদেশি ইতালি যাওয়ার পর, তাদের করোনা আক্রান্ত সন্দেহ করে ইতালি কর্তৃপক্ষ তাদের একটি হোটেলে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলেছিল। কিন্তু, তাদের অনেকেই কোয়ারেন্টিন করেননি।’

 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ইতালির সরকার রোমে অবস্থানকারী ৩০ হাজার প্রবাসী বাংলাদেশিকে বাধ্যতামূলক কোভিড-১৯ (করোনাভাইরাস) পরীক্ষা করতে বলেছিল। কিন্তু, অনেক বাংলাদেশি পরীক্ষা এড়াতে শহর ছেড়ে পালিয়েছেন, যা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।

 

মোমেন বলেন, ‘দেশটিতে সব কিছু স্বাভাবিক হওয়ায়, এখন অনেক লোক ইতালিতে প্রবেশ করছে। তবে, প্রবাসী বাংলাদেশিদের পূর্ববর্তী আচরণ ও কোভিড-১৯ এর সেকেন্ড ওয়েভের আশঙ্কায় তারা শঙ্কায় আছে।’

 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই ইস্যুতে ইতালি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছি। কিন্তু, তাতে কোনো ফল আসেনি।

 

ইতালিগামী বাংলাদেশি অভিবাসী কর্মীদের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তারা ঢাকায় ইতালিয়ান মিশনের সামনে প্রতিবাদ জানালে ভালো হয়।

 

‘যদি তারা ইতালিয়ান মিশনের সামনে প্রতিবাদ জানায়, তবে বাংলাদেশিরা ইতালিতে ফিরে যেতে চাচ্ছে এমন তথ্য তারা তাদের দেশে জানাতে পারবে,’ যোগ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

 

মন্ত্রী বলেন, অনুরোধ ছাড়া আমরা কী পারি, জোর করে তো আর ইতালি পাঠিয়ে দিতে পারি না।

 

এদিকে, ইতালিগামী প্রবাসী শ্রমিকদের একটি প্ল্যাটফর্ম ‘ইতালি হেল্প সেন্টার’ আজ জানিয়েছে, দেশে আটকে থাকা বাংলাদেশি কর্মীদের ইতালিতে ফিরে যাওয়ার বিষয়ে কর্মীদের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বাংলাদেশে ইতালির রাষ্ট্রদূত ১৯ অক্টোবর কথা বলতে রাজি হয়েছেন।

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

May 2025
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031