সর্বশেষ

» এমসি ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ : সাইফুর, রবিউল ও অর্জুনের দায় স্বীকার

প্রকাশিত: ০২. অক্টোবর. ২০২০ | শুক্রবার

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঐতিহ্যবাহী এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধুকে গণধর্ষণের মামলায় আদালতে নিজেদের সম্পৃক্ততা থাকার কথা স্বীকার করেছে ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর, অর্জুন ও রবিউল। সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-১ জিয়াদুর রহমানের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করে আলোচিত গণধর্ষণ মামলার এই তিনজন আসামী। এর আগে রিমান্ডেও তারা দোষ করেছে।

মামলা তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, প্রথম দিকে তারা একে অন্যের উপর দোষ চাপাতে ব্যস্ত ছিলো। নানা বিভ্রান্তিকর তথ্য দিলেও অবশেষে সাইফুর, অর্জুন ও রবিউল এ ঘটনা স্বীকার করে। তারা আদালতকে জানায়, রাজন, আইনুদ্দিন তাদের নিয়ে এসেছিলো।

সুত্র জানায়, মামলার চতুর্থ আসামী অর্জুন লস্কর আদালতে প্রথমেই নিজের দোষ স্বীকার করে। সে জানায়, বাইরে থেকে ওই মহিলাকে হোস্টেলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ভেতরে স্বামীকে আটকে রেখে গাড়িতেই ধর্ষণ করা হয়েছে।

অর্জুন লস্করের পর আদালতের জবানবন্দি দেয় প্রধান আসামী ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর রহমান। সে আদালতে ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করেছে। তবে সাইফুর ঘটনার মুল হোতা হিসেবে রাজন, আইনুদ্দিন ও তারেকের নাম উল্লেখ করেছে। সর্বশেষ জবানবন্দি গ্রহণ করা হয় রবিউলের। সেও একই ভাবে ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করেছে বলে আদালত পুলিশ জানিয়েছে।

এর আগে শুক্রবার বিকেলে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আসামীদের সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-১ আদালতে হাজির করে শাহপরাণ থানা পুলিশ। এ সময় আসামীরা আদালতে জবানবন্দী দিতে সম্মত হয়। পরে একে একে তিনজনের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর ধর্ষণের ঘটনার পরপরই সিলেট ছাড়ে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসের ধর্ষণ মামলার আসামিরা। ঘটনার ৩৬ ঘন্টা পর রোববার ভোরে ভারত পালিয়ে যাওয়ার পথে সুনামগঞ্জের ছাতক থেকে গ্রেপ্তার করা হয় প্রধান আসামি সাইফুর রহমানকে। একই সময় হবিগঞ্জের মনতলা সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আসামি অর্জুন লস্করকে। রাতে হবিগঞ্জের ইনাতগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিলো রবিউলকে।

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

May 2025
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031