» কানাইঘাটে প্রাঁণনাশের হুমকীদাতা তোতাকে গ্রেফতারের দাবী সাংবাদিকদের

প্রকাশিত: ১৬. আগস্ট. ২০২১ | সোমবার

কানাইঘাট প্রতিনিধি:-  কানাইঘাট প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক দৈনিক যুগভেরী পত্রিকার প্রতিনিধি মুমিন রশিদকে প্রাণঁনাশের হুমকি দিয়ে সুরইঘাটের বাদশা বাজারে লাঞ্চিত করে ক্যামেরা ছিনতাইকারী তোতা মিয়াকে গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় সাংবাদিকরা।

গতকাল সোমবার দুপুর ১২ টায় প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি আব্দুন নুর, সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন, সহ-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রশিদ, দপ্তর সম্পাদক মুমিন রশিদ, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহীন আহমদ, ক্রিড়া সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সাংবাদিক জয়নাল আজাদ সহ বিভিন্ন পত্রিকায় কর্মরত সাংবাদিকরা এ দাবী জানিয়েছেন। তারা অবিলম্বে এলাকার চিহিৃত মাদক ও চোরাকারবারী তোতাকে গ্রেফতার করে আইনের আওয়াতায় নিয়ে আসার দাবী জানান।

জানা যায় গত ২৭ জুলাই উপজেলার সীমান্তবর্তী লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউপির সুনাতনপুঞ্জি গ্রামের মৃত ফয়জুল হকের পুত্র তোতা মিয়ার ছোট ভাই আফতাব উদ্দিন পূবালী ব্যাংক কানাইঘাট শাখায় ৪৭ হাজার ৫’শ টাকার জাল নোট নিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। এ সংবাদ সিলেটের বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হলে তোতা মিয়া স্থানীয় সাংবাদিকদের উপর ক্ষিপ্ত হয়। সে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক সহ বিভিন্ন ভাবে সাংবাদিকদের হুমকি প্রদান করে।

গত ১১ আগস্ট কানাইঘাট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন ও দপ্তর সম্পাদক মুমিন রশিদ তোতা মিয়ার গ্রামের পাশের বাদশা বাজারে দুইপক্ষের সংঘর্ষের সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে তাদেরকে পেয়ে তোতা মিয়া ফের প্রাণঁনাশের হুমকি দিয়ে তার সহযোগীদের নিয়ে মুমিন রশিদকে লাঞ্চিত করে ক্যামেরা ছিনতাই করে নেয়। পরে ঐদিন রাত্রে মুমিন রশিদ বাদী হয়ে তোতা মিয়াকে আসামী করে কানাইঘাট থানায় মামলা দায়ের করেন। থানার মামলা নং ১৩ তাং ১৪/০৮/২১ ইং।

অনুসন্ধানে জানা যায় তোতা মিয়া এলাকার একজন চিহিৃত চোরাকারবারী ও মাদক ব্যবসায়ী। এমনকি সীমান্তবর্তী পাহাড়ী এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েমকারী। ইউপি আওয়ামীলীগের সভাপতি হওয়ার পর থেকে তোতা মিয়া পাহাড়ী এলাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। মাদক, জোয়া, জমি দখল কোনটি ছেড়ে যায়নি তাকে। এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে কানাইঘাট থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এরমধ্যে ২০১৯সালের ১১ সেপ্টেম্বর তোতা মিয়ার বিরুদ্ধে কানাইঘাট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে বিজিবি। থানার মামলা নং ১৪/১১৯। এরপূর্বে ২০১৭ সালের ৯জানুয়ারী তার বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে কানাইঘাট থানায় মামলা হয়। সেদিনকার থানার মামলা নং ০৬। এছাড়াও তোতা মিয়ার বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অপরাধের একাধিক মামলা। প্রতিটি মামলার এজহারে সে অভিযুক্ত রয়েছে।

স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন তোতা মিয়া ইউপি আওয়ামীলীগের সভাপতি হওয়ার পর থেকে আওয়ামীলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে নানা অপকর্মের সাথে জড়িয়ে পড়েছে। এমনকি চোরাকারবার করে তোতা মিয়া রাতারাতি কোটিপতি হয়েছে। তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যদের বিরুদ্ধে জাল টাকা সহ চোরা কারবারের অপরাধে কানাইঘাট থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। বর্তমানে তার ছোট ভাই জাল টাকা নিয়ে গ্রেফতারকৃত আফতাব উদ্দিনকে ২দিনের পুলিশি রিমান্ড শেষে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

জিরো থেকে হিরো এই তোতা মিয়া তার বাড়ির পাশে সীমান্তবর্তী বাদশা বাজারে প্রতিদিন রাত ১১টার পর হতে মদের আসর বসিয়ে বাজারে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। তার বিরুদ্ধে এলাকার কেউ কথা বলতে সাহস পায়নি। যার প্রমাণ স্বরূপ প্রকাশ্যে বাদশা বাজারে শত শত মানুষের উপস্থিতিতে সাংবাদিকদের প্রাঁণনাশের হুমকি দিয়ে লাঞ্চিত করে ক্যামেরা ছিনতাই করে তোতা বাহিনী।

স্থানীয় আওয়ামীলীগের তৃর্ণমূল পর্যায়ের অনেক নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন ২০১৪ সালে হঠাৎ করে আওয়ামীলীগে আবির্ভাব ঘটে তোতা মিয়ার। সে ইউপি আওয়ামীলীগের সভাপতি হওয়ার পর থেকে সুরইঘাট এলাকায় চোরাচালান সহ সীমান্ত এলাকায় বিভিন্ন ধরণের অপকর্ম চালিয়ে আওয়ামীলীগের ভাবমূর্তি মারাত্মক ভাবে ক্ষুন্ন করছে।

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

October 2024
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031