সর্বশেষ

» ঈদে গণপরিবহন চালু রাখার পরামর্শ ব্যবসায়ী ও পুলিশের

প্রকাশিত: ০৯. জুলাই. ২০২১ | শুক্রবার

Manual3 Ad Code

চেম্বার ডেস্ক:: ঈদ যাত্রায় ঘরমুখো মানুষ যাতে সুষ্ঠুভাবে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে সেজন্য ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চালু রাখার দাবি জানিয়েছেন গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা। পুলিশের আইজি ড. বেনজীর আহমেদ ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শফিকুল ইসলামও একই কথা মত দিয়েছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাস ও রেল যোগাযোগ সচল থাকলে সংক্রমণের হার কম হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন ডিএমপি কমিশনার।

 

Manual2 Ad Code

পবিত্র ঈদুল আজহায় (কোরবানির ঈদে) শিল্পাঞ্চলসহ দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের এক সভায় তারা এসব কথা বলেন। জুনের শেষ সপ্তাহে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা ছাড়াও বিজিএমইএ, বিটিএমএ, বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্ক্রিনন মার্চেন্টস এসোসিয়েশন, অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল যাত্রী পরিবহন সমিতি, বাংলাদেশ ফিনিসড লেদার গুডস্ অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থেকে তাদের মতামত তুলে ধরেন।

Manual1 Ad Code

সভায় আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, করোনার কারণে গত ঈদ-উল-ফিতরের সময় তিন দিন ছুটি দেয়া হয়েছিল। যাতে ঢাকা থেকে মানুষ গ্রামমুখী না হয়। সেজন্য সড়ক ও মহাসড়কে বাধা দেয়া হলেও ঈদের ছুটিতে মানুষের যাতায়াত বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। ঈদের ছুটিতে মানুষের মধ্যে নিজ গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার একটা প্রবণতা রয়েছে। তাই মানুষের নিরাপদে যাতায়াতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া প্রয়োজন।

 

Manual5 Ad Code

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, ঈদের সময় গণপরিবহন বন্ধ থাকলে মানুষ গাদা-গাদি করে যাতায়াত করবে। এতে সংক্রমণের হার অধিক হতে পারে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাস ও রেল যোগাযোগ সচল থাকলে সংক্রমণের সংখ্যা কম হতে পারে। স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক মনিরুল ইসলাম বলেন, গার্মেন্টস শিল্প কারখানাগুলোর শ্রমিকদের ছুটি পর্যায়ক্রমে নির্ধারণ করলে যাতায়াতে সুবিধা হবে। কারণ, ২৩৬টি গার্মেন্টস শিল্প কারখানা রয়েছে।

Manual5 Ad Code

 

ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান বলেছেন, ঈদের সময় গণপরিবহন বন্ধ থাকলে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি বাড়বে। ভেঙ্গে ভেঙ্গে বিভিন্ন যানবাহনে গাদা গাদি করে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে চলাচল করে থাকে তারা। এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকি আরও বেড়ে যেতে পারে। তিনি গার্মেন্টস ও শিল্প কারখানার শ্রমিকদের ছুটি পর্যায়ক্রমে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান। গত ঈদুল ফিতরের সময় গাদাগাদি করে ফেরি পারাপারের সময় প্রচন্ড গরমে এবং চাপে পড়ে চার জন মানুষের মৃত্যু হয়।

 

নিট গার্মেন্ট ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি সেলিম ওসমান এমপি বলেছেন, গত ঈদ-উল-ফিতরের সময় শ্রমিকদের বেতন, বোনাস ও ভাতা দিতে কোন সমস্যা হয়নি। এ ঈদেও আশা করি সমস্যা হবে না। কিন্তু গত ঈদে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় দুই-তিন গুণ অধিক ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করতে হয়েছে তাদের। এর ফলে এসব শ্রমজীবি মানুষ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছে। তাই এবারের ঈদ যাত্রায় ঘরমুখো মানুষ যেন সুষ্ঠুভাবে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেন, সে লক্ষ্যে ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চালু রাখা প্রয়োজন।

           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031  
Manual1 Ad Code
Manual5 Ad Code