সর্বশেষ

» পরীক্ষার সময়ও দুই মেয়েকে অনৈতিক কাজে বাধ্য করেন মা মৌসুমী

প্রকাশিত: ২২. জুন. ২০২১ | মঙ্গলবার

চেম্বার ডেস্ক:: সম্প্রতি রাজধানীর কদমতলীতে বাবা-মা ও বোনকে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার হয়ে রিমান্ডে রয়েছেন পরিবারের বড় মেয়ে মেহজাবিন ইসলাম মুন।  পাশাপাশি এ মামলায় অন্যতম আসামি শফিকুল ইসলামকেও রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। রিমান্ডে এ হত্যাকাণ্ডের দায় একাই নিজের কাঁধে নিয়েছেন মেহজাবিন ইসলাম মুন। তবে তার স্বজনরা মেহজাবিনের এমন দাবি মানতে চাইছেন না। তারা বলছেন, মেহজাবিন ও তার স্বামী মিলেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। আর খুনের পরিকল্পনা করেছেন শফিকুল

এদিকে পুলিশের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, পড়ালেখায় ভালো ছিলেন মুন। এসএসসি পরীক্ষায় তার জিপিএ-৫ পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার মা আগেই দুই মেয়েকে অসামাজিক কার্যকলাপে যুক্ত হতে বাধ্য করেছেন। এমনকি পরীক্ষা চলাকালেও তাদের ছাড় দেওয়া হয়নি, বাসায় আসা পুরুষদের সঙ্গে সময় কাটাতে হয়েছে। এ কারণে এসএসসিতে জিপিএ ৪.৮ পান মুন।

কৈশোরে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত করায় মেহজাবিন মুন মায়ের ওপর ক্ষুব্ধ হতে থাকেন। আবার তার বাবা মাসুদ রানা প্রবাসে আরেকটি বিয়ে করেছেন, দুই মেয়ের ব্যাপারে তিনি কোনো মনোযোগ দেননি। মায়ের নির্যাতন থেকে মেয়েদের বাঁচাতে কোনো ভূমিকা না রাখায় তার প্রতিও ক্ষোভ জমতে থাকে মুনের।

এদিকে মুনের স্বামী শফিকুল শ্যালিকা জান্নাতি মোহিনীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে যাওয়ায় সংসার ভাঙার উপক্রম হয়। যে কারণে ছোট বোনকেও দুনিয়া থেকে সরানোর পরিকল্পনা করেন বড় বোন মুন।

গত শনিবার সকালে কদমতলীর মুরাদপুর রজ্জব আলী সরদার রোডের পাঁচতলা বাড়ির দ্বিতীয় তলা থেকে মাসুদ রানা (৫০), তার স্ত্রী মৌসুমী ইসলাম (৪০) ও মেয়ে জান্নাতুল ইসলাম মোহিনীর (২০) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

অচেতন অবস্থায় মেহজামিনের স্বামী শফিকুল ইসলাম ও মেয়ে তৃপ্তিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ ঘটনায় মেহজাবিন ও তার স্বামী শফিকুলের বিরুদ্ধে কদমতলী থানায় মামলা হয়েছে। রোববার মেহজাবিনের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

গতকাল সোমবার মেহজাবিনের স্বামী শফিকুলকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। তবে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি দাবি করেছেন, সেই রাতের ঘটনায় তার কোনো ভূমিকা ছিল না।

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

September 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  

Please continue to proceed