সর্বশেষ

» সিলেটে প্রথম ধাপে ৪৫ হাজার টিকা আসছে

প্রকাশিত: ২৭. জানুয়ারি. ২০২১ | বুধবার

চেম্বার ডেস্ক::আগামী ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যে সিলেটে আসবে করোনা ভাইরাসের টিকা। প্রথম ধাপে সিলেট অঞ্চলে প্রায় সাড়ে ১০ লাখ করোনা ভাইরাসের টিকা দেওয়া হবে। এরপর ধাপে ধাপে বাকি টিকা আসবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ডিস্ট্রিবিউশন পরিকল্পনা সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে টিকা দেওয়ার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বুধবার বেলা সাড়ে ৩টায় ভিডিও কনফারেন্সে টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন।

এর পর দেশব্যাপী ব্যাপক টিকাদান কর্মসূচি আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে।

গত সোমবার ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে দেশে এসেছে প্রায় ৫০ লাখ ডোজ করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন । এর মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে প্রায় ৪৫ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন আসবে সিলেট বিভাগে। এগুলো বিতরণ করা হবে পুরো বিভাগে।

সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান জানান, সিলেট বিভাগের চার জেলার জন্য ৩৭ কার্টন ভ্যাকসিন আসবে। প্রতি কার্টনে থাকবে ১ হাজার ২০০ করে ভ্যাকসিন। এর মধ্যে মৌলভীবাজারে ৫ কার্টন, হবিগঞ্জে ৬ কার্টন ও সুনামগঞ্জে যাবে ৭ কার্টন ভ্যাকসিন। বাকি ১৯ কার্টন ভ্যাকসিন বরাদ্দ থাকবে সিলেট জেলার জন্য। করোনা আইসোলেশন সেন্টার শহীদ ডা. শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে প্রথমে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।

এদিকে, টিকাদান কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নে সিলেট জেলা ও মহানগর এলাকার জন্য পৃথক দুটি কমিটিও করা হয়েছে। নগর এলাকায় ২২ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির আহ্বায়ক সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এবং সদস্য সচিব প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম।

জেলা পর্যায়ে করা ৮ সদস্যের কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে আছেন জেলা প্রশাসক এম কাজি এমদাদুল ইসলাম এবং সদস্য সচিব হিসেবে আছেন সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মন্ডল।

টিকাদানে সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে ৪টি ও সদর হাসপাতালে ৮টি কেন্দ্রের মাধ্যমে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। প্রতি টিকাদান কেন্দ্রে থাকবেন ২ জন স্বাস্থ্যকর্মী ও ৪ জন স্বেচ্ছাসেবক। টিকাদান পরবর্তী পর্যবেক্ষণের জন্য ৭ সদস্যের মেডিকেল টিম থাকবে।

জানা যায়, প্রাথমিকভাবে আসা ভ্যাকসিন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পাবেন ফ্রান্টলাইনার যুদ্ধাসহ ১৫ ক্যাটাগরিতে। এরমধ্যে সরকারি হাসপাতালে কোভিড-১৯ চিকিৎসায় জড়িত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী, বেসরকারি স্বাস্থ্যকর্মী, মুক্তিযোদ্ধা ও বীরঙ্গনা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী, সরকারি সচিবালয়ে, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী, পৌর-সিটি কর্পোরেশনের সম্মুখসারির কর্মকর্তা-কর্মচারী, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিদ্যুৎ-পানি-গ্যাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, কবরখনন ও মৃত ব্যক্তির সৎকারকারীরা রয়েছেন এর আওতায়।

এব্যাপারে সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মন্ডল জানান, টিকা রাখার জন্য সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্প্রসারিত টিকাদান প্রোগ্রাম (ইপিআই) ভবন প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এখানে সব ধরনের টিকা রাখা হয়। টিকা রাখার জন্য এটি আদর্শ ভবন।

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

October 2024
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031