পাথর ও কয়লা আমদানি ব্যবসাকে বন্ধ করার পাঁয়তারা করছে একটি মহল

প্রকাশিত: ০৬. জানুয়ারি. ২০২১ | বুধবার


Manual8 Ad Code

চেম্বার ডেস্ক: 

Manual3 Ad Code

একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত “শুল্ক ফাঁকিতে কয়লা পাথর আমদানি” শীর্ষক সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন সিলেট কয়লা আমদানীকারক গ্রুপ, তামাবিল পাথর, চুনাপাথর ও কয়লা আমদানীকারক গ্রুপ এবং ভোলাগঞ্জ পাথর আমদানীকারক গ্রুপের নেতৃবৃন্দ। বুধবার সিলেট নগরীর মেন্দিবাগস্থ কয়লা আমদানীকারক গ্রুপের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন করে তারা এ প্রতিবাদ জানান।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভোলাগঞ্জ পাথর আমদানীকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান মিন্টু বলেন, সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার ৬টি স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে দীর্ঘদিন থেকেই কয়লা ও পাথর আমদানি হয়ে আসছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট কাষ্টমস কর্র্তৃপক্ষের তত্বাবধানে নির্ধারিত অগ্রিম রাজস্ব পরিশোধ করে আমদানীকারকগণ কয়লা ও পাথর আমদানি করেন। কয়লা ও পাথর পরিমাপের জন্য শুধূমাত্র তামাবিল স্থলবন্দরে পরিমাপক যন্ত্র রয়েছে। সিলেট ও সুনামগঞ্জের অন্য কোন স্থল শুল্ক স্টেশনে বাংলাদেশ ও ভারতের উভয় দিকেই পরিমাপক যন্ত্র নেই। শুধু তামবিল স্থল বন্দরে পরিমাপক যন্ত্রের মাধ্যমেই আদানীকৃত কয়লা ও পাথর পরিমাপ করা হয়। যে সকল স্থল শুল্ক স্টেশনে পরিমাপক যন্ত্র নেই সেগুলোতে ফিতার মাধ্যমে আমদানীকৃত কয়লা ও পাথরের বোঝাইকৃত ট্রাকের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা নির্ণয় করে পরিক্ষিত হারে মে. ট্রন হিসাব করে শুল্ক ও করাদি আমদানীকারকগণ পরিশোধ করে আমদানীকার্য সম্পাদন করেন।

Manual4 Ad Code

তিনি বলেন, আমদানীকৃত কয়লা ও পাথর মাটির নিচ থেকে উত্তোলন করে উন্মুক্ত স্থানে স্তুপ করে রাখার ফলে এতে মাটি, বালি ও পানির মিশ্রন থাকাটাই স্বাভাবিক। এটাকে কোনভাবেই রিফাইন করে আমদানি করা যাবে না। তাই উভয় দেশের কাষ্টম্স কর্তৃপক্ষ, আমদানীকারক ও রপ্তানীকারক নেতৃবৃন্দ বসে মাটি, বালি ও পানির মিশ্রনের পরিমাণ নির্ধারণ করে তা বাদ দিয়ে কয়লা ও পাথরের নীট পরিমাণ নির্ধারণ করেন। বাস্তব অবস্থার প্রেক্ষিতে দেশের সকল স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়েই রাজস্ব আদায় ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সংরক্ষণ করেই কয়লা ও পাথর আমদানীর শুল্ক কর মুসক নির্ধারণপূর্বক জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আমদানীর অনুকূল পরিবেশ অব্যাহত রাখেন।

Manual6 Ad Code

তিনি আরও বলেন, একটি কুচক্রি মহল বাস্তব অবস্থা যাচাই না করে শোনা কথার উপর ভিত্তি করে মনগড়া যুক্তি দাঁড় করিয়ে বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ পরিবেশন করেছে। করোনা মহামারীর কারণে দীর্ঘদিন কয়লা ও পাথর আমদানী বন্ধ থাকার কারণে ব্যবসার লাভে-মূলে সব হারিয়ে সকল ব্যবসায়ীক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় সরকার বিভিন্ন প্রণোদনা ও সহযোগিতা করে অর্থনৈতিক চাকাকে সচল করার প্রয়াস চালাচ্ছে। দীর্ঘদিন কয়লা আমদানী বন্ধ থাকার কারণে লক্ষ লক্ষ শ্রমিক কর্মচারি বেকার হয়ে পড়েছে। সম্প্রতি বড়ছড়া, চারগাঁও ও বাগলি সীমান্ত দিয়ে কয়লা আমদানি চালু হলে একটি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে। যেখানে কয়লা আমদানি বন্ধ রয়েছে সেখানে সিন্ডিকেট করার প্রশ্নই উঠে নাং বরং ইন্দোনেশিয়া, রাশিয়া ও সাউথ আফ্রিকা হতে কয়লা আমদানি অব্যাহত রাখতে এবং একতরফা ফায়দালোভী সিলেট বিদ্বেষী একটি মহল সিলেটের সম্ভাবনাময় পাথর ও কয়লা আমদানি ব্যবসাকে চিরতরে বন্ধ করার পাঁয়তারা করছে। আমরা এই অপপ্রচারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে সিলেটের লাখ লাখ শ্রমিক কর্মচারি ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থে অপপ্রচার বন্ধে গণমাধ্যম, প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সহযোগিতা কামনা করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট কয়লা আমদানীকারক গ্রæপের সাবেক সভাপতি হাজী শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক আতিক হোসেন, সহ-সভাপতি আব্দুল হামিদ, যুগ্ম সম্পাদক জয়ন্ত, সদস্য পিন্টু চক্রবর্তী, তামাবিল পাথর, চুনাপাথর ও কয়রা আমদানীকারক গ্রæপের সভাপতি লিয়াকত আলী, সাধারণ সম্পাদক সরোয়ার হোসেন সেদু, সহ-সভাপতি জালাল উদ্দিন, ভোলাগঞ্জ চুনাপাথর আমদানীকারক গ্রুপের সভাপতি হাজী শাহাব উদ্দিন, সহ-সভাপতি বশির আহমদ, উপদেষ্টা আফতাব আলী কালা চেয়ারম্যান ও উপজেলা চেয়ারম্যান শামীম আহমদ প্রমুখ।

Manual1 Ad Code

           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

November 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
Manual1 Ad Code
Manual7 Ad Code