সর্বশেষ

» ভয়ংকর ডেঙ্গু বিদায় নিয়েছে, আরেক ডেঙ্গু হাজির হয়েছে : রিজভী

প্রকাশিত: ১৯. অক্টোবর. ২০২৪ | শনিবার

Manual2 Ad Code

চেম্বার ডেস্ক: শেখ হাসিনাকে ভয়ংকর ডেঙ্গু আখ্যা দিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ভয়ংকর ডেঙ্গু বিদায় নিয়েছে। আরেক ডেঙ্গু হাজির হয়েছে।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) ঢাকার জুরাইনে বিক্রমপুর প্লাজার সামনে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

Manual4 Ad Code

রিজভী বলেন, এই এলাকায় (জুরাইন) অনেক জলাবদ্ধতা রয়েছে। শেখ হাসিনার উদ্দেশ্য জনসেবা ছিল না, তার উদ্দেশ্য ছিল জনগণের টাকা মার আর বিদেশে পাচার কর। ম্যান পাওয়ার সিন্ডিকেট করে আওয়ামী সিন্ডিকেটবাজরা হাজার কোটি টাকা মেরে দিয়েছে। শেখ হাসিনা কিংবা তার পরিবারের বিরুদ্ধে কথা বললে তাদের কারাগারে পাঠানো হতো।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, প্রতিরাতে কারওয়ান বাজারে ৫০ কোটি টাকার চাঁদাবাজি হয়, সেখানে নিত্যপণ্যের দাম বাড়বে স্বাভাবিক। আপনারা কী করেন? এতদিনেও সিন্ডিকেট ভাঙতে পারছেন না। জনগণ তো বলবেই, শেখ হাসিনার সময়ে জিনিসপত্রের দাম বাড়ত এখনো বাড়ছে। তফাৎটা কী? ঢাকা শহরের মধ্যে যাত্রাবাড়ী-জুরাইন এলাকায় সবচাইতে বেশি ডেঙ্গু।

রিজভী বলেন, দেশের প্রতিটি কারাগার ছিল শেখ হাসিনার আয়নাঘর। তার বিরুদ্ধে যারা কথা বলবে, গণতন্ত্রের পক্ষে যারা কথা বলবে তাদের সে ঘরে বন্দি করে রাখা হতো। শুধু বিএনপি নেতাকর্মী নয়, এ দেশের জনগণ যারা গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলেছে তাদের উপর জুলুম-নির্যাতন চলেছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, জনগণ আওয়ামী লীগকে বিদায় করে একটু মুক্ত হয়েছে। একটু শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের দুর্বৃত্তদের কালো টাকার মালিকরা এখনো আমাদের সমাজের আনাচে-কানাচে আছে, গভীরে ছড়িয়ে আছে। তারা নাশকতা করে যাচ্ছে, করবে। আমরা আগে বলেছিলাম তারা নাশকতা করবে। কারণ সরকারি সংস্থায় আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের লোক রয়েছে, তারা এসব করবে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, পল্লী বিদ্যুৎবোর্ড করেছেন স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, আওয়ামী লীগ এটাকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা করছে। তারা ৫০টি পল্লী বিদ্যুৎকেন্দ্র শাটডাউন করল তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে। তা হলে হাসিনার আমলে কেন করল না? আপনাদের ন্যায্য দাবি থাকতে পারে কিন্তু শাটডাউন করলেন কেন? কার স্বার্থে করলেন? হাসিনাকে প্রত্যাবর্তন করাতে চান? আবার বাংলাদেশ ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক লুট করার ব্যবস্থা করতে চান?

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে রিজভী আরও বলেন, আপনারা যদি হাসিনার দোসরদের মেইন মেইন জায়গায় বসান, তা হলে নাশকতা তো হবেই। ঘুরেফিরে দেখছি দুটো শক্তিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বসাচ্ছে। একটা স্বাধীনতা বিক্রি করার শক্তি আর একটা স্বাধীনতার বিরুদ্ধের শক্তি। এদের বসানোর কারণেই যারা স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করে তারা ঠিকমতো কাজ করতে পারছে না। যার কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বাড়ছে।

Manual7 Ad Code

তিনি বলেন, গড়িমসি না করে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন। নির্বাচন হলে নির্বাচিত সরকারের জনগণের কাছে দায়বদ্ধতা থাকবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমরা ১৬ বছর যুদ্ধ করেছি। আমাদের কথা হলো যেই ক্ষমতা আসুক জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হোক।

Manual4 Ad Code

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক এমপি সালাহ উদ্দিন আহমেদ, বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম ও সহ-স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. পারভেজ রেজা কাকন। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন।

Manual7 Ad Code

           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031  
Manual1 Ad Code
Manual4 Ad Code