সর্বশেষ

» বিশ্বনাথের দূর্নীতিবাজ সুপার রায়হানুদ্দীনের খুঁটির জোর কোথায়?

প্রকাশিত: ২১. সেপ্টেম্বর. ২০২৪ | শনিবার

চেম্বার ডেস্ক: বিশ্বনাথের আমতৈল পঞ্চগ্ৰাম মোহাম্মদীয়া দাখিল মাদ্রাসার দূর্নীতিবাজ, অবৈধ ও নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে কোটি টাকা আত্মসাৎকারী সুপার রায়হানুদ্দীনের অপসারণের দাবিতে গতকাল শুক্রবার দুপুর ২ ঘটিকার সময় সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী আমতৈল গ্রামের স্থানীয় আমতৈল বাজারে বৃহত্তর আমতৈল এলাকার আপামর ছাত্র-জনতার উদ্যোগে এলাকার বিশিষ্ট মুরব্বি মাস্টার মনোহর আলীর সভাপতিত্বে এক বিশাল মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন- বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী মাওলানা আ ন ম মাসুম, ইঞ্জিনিয়ার সালেহ আহমদ, মাওলানা মুহাম্মদ জাকারিয়া, মাস্টার মোহাম্মদ রেনু মিয়া, মাস্টার সিদ্দিকুর রহমান, মাদ্রাসার সাবেক ছাত্র হাঃ আলীম উদ্দিন, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ তোফায়েল আহমদ, আইন উদ্দিন, মাহতাব উদ্দিন, দেলাওয়ার হোসেন, সিরাজুল ইসলাম, জিয়াউল হক, সিরাজুল হক প্রমূখ।

বৃহত্তর আমতৈল গ্রাম ৪নং রামপাশা ইউনিয়নের ইঞ্জিনিয়ার সালেহ আহমদ তার বক্তব্য বলেন, একাধিক প্রতিবাদ, মানববন্ধন ও স্মারক লিপি প্রদানের পরও সুপার রায়হানের বিষয়টি ক্লিয়ার হয়নি,তাহলে জানতে হবে তাহার খুটির জোর কোথায়??

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট মুরব্বি শেরুজ্জামান, মাসুক মিয়া, গৌছ উদ্দিন, ইমাম উদ্দিন,সমাজ সেবক হারুন রশিদ।
আরও উপস্থিত ছিলেন সায়েক মিয়া, আলহাজ্ব নুর উদ্দিন, এনাম শাহ, মকসদ আলী, মনাই মিয়া, নাজিম উদ্দিন, ইদ্রিস আলী, কফিল উদ্দিন, এনামুল হক, মুহিবুর রহমান, হুসাইন আহমদ, আকমল হোসেন, মুজাম্মিল হোসেন সহ এলাকার আপামর ছাত্র-জনতা।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, ২০১৯ সালে এমপিওভুক্ত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত প্রায় ২০ বছর এলাকার পঞ্চায়েতের টাকায় মাদ্রাসা পরিচালিত হয়ে আসছিলো। এমপিওভুক্ত হওয়ার পর মাদ্রাসার দূর্নীতিবাজ সুপার রায়হানুদ্দীন এলাকার কিছু অসাধু ব্যক্তিদের নিয়ে গোপনীয়ভাবে সকল কাগজপত্র জালিয়াতি করে একেক জন থেকে ৫ লক্ষ টাকা থেকে ১৫ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়ে ১৬ জনকে ২০০৩, ২০০৯ এবং ২০১৫ সালের কাগজপত্র দেখিয়ে অযোগ্য শিক্ষক-কর্মচারীকে অবৈধ নিয়োগ দেয়। এসকল অবৈধ নিয়োগ প্রাপ্তদের ২০১৯ সালের পূর্বে এলাকার কোন মানুষ ও সাবেক-বর্তমান ছাত্র-ছাত্রী মাদ্রাসায় দেখেনি। ২০০৩ সালে জাল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখিয়ে সহঃ সুপার শফিকুল ইসলাম বর্তমানে ময়মনসিংহর নান্দাইল উপজেলার আউলিয়া পাড়া দাখিল মাদ্রাসায় এখনো ইনডেক্স রয়েছে এবং সরকারী বেতন নিচ্ছে। সুপারের এসকল গোপনীয় অবৈধ নিয়োগপ্রাপ্তদের কাউকেই এলাকাবাসী কখনো মেনে নিবে না।
দূর্নীতিবাজ অবৈধ সুপার রায়হানুদ্দীনের অপসারণ এবং পূর্বের সকল অবৈধ নিয়োগ বাতিলের জন্য এলাকাবাসী উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানান।

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

December 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031