সর্বশেষ

» মৌলভীবাজারে হাসপাতালে প্রসুতির মৃত্যু, ভুল চিকিৎসার অভিযোগে স্বজনদের ভাঙচুর : হামলা

প্রকাশিত: ১৮. সেপ্টেম্বর. ২০২৩ | সোমবার

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় প্রসুতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এতে ক্ষুব্ধ রোগীর স্বজনরা হাসপাতালে ভাঙচুর ও হামলা চালিয়েছেন। গতকাল রবিবার রাতে এই ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, গতকাল রবিবার রাতে প্রসবব্যাথা নিয়ে মৌলভীবাজারের সেবা প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি হন মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি সাঈদ সুমনের স্ত্রী। এরপর সেখানে চিকিৎসা শুরু করেন দায়িত্বরত চিকিৎসক ও নার্সরা। কিন্তু রাত ১০টার দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় রোগী মৃত্যুবরণ করেছেন। তখন রোগীর স্বজনরা ক্ষুব্ধ হয়ে হাসপাতালে ভাঙচুর চালায় এবং দায়িত্বরত নার্স প্রিয়ানা আক্তার মুমুকে মাধর করে।

নিহতের স্বামী সাঈদ সমুন বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবহেলা ও ভুল চিকিৎসা করে আমার স্ত্রীকে মেরে ফেলেছে। তারা ডাক্তার ছাড়া একজন নার্সকে দিয়ে ভুল ইঞ্জেকশন পুশ করেছে। যার ফলে গর্ভের সন্তানসহ আমার স্ত্রী মৃত্যু বরণ করেছেন। আমি ঐ নার্সের বিরুদ্ধে মামলা করব। আমি আমার স্ত্রী ও সন্তান হত্যার বিচার চাই।

অভিযুক্ত নার্স মুমুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, গতকাল রাতে গুরুত্বর অবস্থায় একজন গর্ভবর্তী মহিলা আমাদের হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনি আমাদের হাসপাতালের চিকিৎসক ডাক্তার ফারজানা বেগমের রেফারেন্সে ভর্তি হন। তাই আমরা ডা. ফারজানাকে সাথে সাথে অবহিত করি। তিনি তখন চেম্বারে রোগী দেখছিলেন। আমাদের বলেন, যেহেতু রুগীর ওয়াটার ব্রেকিং হচ্ছে তাই রোগীকে একটি স্যালাইন দেওয়ার জন্য যাতে প্রসব ব্যথা শুরু হয়। তখন ডক্টর ফারজানার কথামতো রোগীকে একটি স্যালাইন দেই। স্যালাইন দেওয়ার পর কোন প্রসব ব্যথা উঠছিল না। তখন ডক্টর ফারজানা বলেন রুগীকে একটি ইনজেকশন দেওয়ার জন্য। যাতে দ্রুত প্রসব ব্যথা শুরু হয়। আমরা ডাক্তার ফারজানার কথামতো তার বলে দেয়া ইনজেকশন রুগীর শরীরে পুশ করি। ইনজেকশন পুশ করার পর রোগীর অবস্থা আরও খারাপ হলে তিনি বলেন, রোগীকে দ্রুত অপারেশন করতে হবে। তিনি বলেন তোমরা অপারেশনের ব্যবস্থা করো আমি আসছি। দুইজন নার্স ও একজন ওয়ার্ড বয় রুগীকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায়। তারা রোগীকে অপারেশন রুমে নিয়ে অনেকক্ষণ ডাক্তার ফারজানার জন্য অপেক্ষা করে। আমি তখন অপারেশন রুমে ছিলাম না। কিছুক্ষণ পর রোগীর অবস্থা আরও খারাপ হলে তিনি ব্যথায় চিৎকার করতে থাকেন। আমি চিৎকার শুনে অপারেশন রুমে আসি। এসে দেখি তিনি নড়াচড়া করছেন না। আমরা চেক করে দেখি তিনি মারা গেছেন। তার সাথে সাথে গর্ভে থাকা সন্তানও মারা গেছে। মূলতঃ ডাক্তার ফারজানা দেরিতে আসার কারণে রোগীকে সঠিক সময়ে অপারেশন করতে না পারার কারণে অতিরিক্ত রক্তকরণে রোগীর মৃত্যু হয়। কিন্তু ডাক্তার ফারজানা এসে সম্পূর্ণ দোষ আমার উপর দিয়ে দেন। তখন রোগীর স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন বিক্ষুব্ধ হয়ে হাসপাতালে ভাঙচুর করে ও আমাকে মারধর করে। আমি কোন মতে সেখান থেকে পালিয়ে বাঁচি।

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

May 2025
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031