সর্বশেষ

» দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি হওয়ায় ভাল নেই খেটে খাওয়া মানুষ

প্রকাশিত: ২৮. জানুয়ারি. ২০২০ | মঙ্গলবার

Manual2 Ad Code

সাইফুল আলম:: দ্রব্য মূল্যের উদ্ধগতিতে ভাল নেই বানিয়াচং খেটে খাওয়া মানুষ। আয়ের সাথে ব্যয়ের নেই কোন সমন্বয়, বিপাকে আছে নিম্ন আয়ের মানুষের জীবন ব্যবস্থা। নিত্য পন্যের দাম লাগামহীন ভাবে বেড়ে যাওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে অসহায় জীবন যাপন করছেন বলে অনেকের অভিযোগ।

Manual5 Ad Code

খাদ্য সামগ্রী এবং জ্বালানি তেলের দাম অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে গেছে। এর প্রভাব পড়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের উপর।

আর এসব জিনিসপত্রের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির ফলে ভাল নেই খেটে খাওয়া সিলেটের শ্রমজীবী মানুষ। সেই সাথে বিপাকে আছে নিন্ম আয়ের এবং মধ্যবিত্ত মানুষজন ও।
যে সব মানুষ সারাদিন কাজ করে ৩শ থেকে ৪শ টাকা মজুরী পায়, দিনশেষে সেই টাকা দিয়ে আয়ের সাথে মিল রেখে সংসার চালানো খুবই  কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়েছে।

আবার অনেক সময় শ্রমিক শ্রেণীর মানুষের প্রতিদিন কাজ থাকে না। আর কাজ না থাকলে  বাজার সদায় করা হয় না। হয়তো ধারকর্জ করে বাজার করতে হয়। অন্যদিকে ৩শ টাকার মজুরি পেলেও সংসার চলে না তাদের।

একজন মানুষ চাইলেও সপ্তাহে ৭ দিন কাজ করতে পারে না। মাঝে মাঝে রেষ্ট থাকতে হয় আবার অনেক সময় কাজ থাকে না। আর পুরো সপ্তাহ কাজ না করলে সংসার চালাতে হিমসিম খেতে হয় তাদের। অনেক সময় বাধ্য হয়ে কোন না কোন এনজিও সংস্থার কাছে থেকে উচ্চ হারে সুদে ঋণ নিয়ে সংসারে খরচ চালাতে হয়।

এমনও দেখা যায় একজন মানুষ কয়েকটা এনজিও সংস্থা থেকে একের পর এক ঋণ নিয়ে থাকে। পরবর্তীতে ঋণের বোঝা এত হয়,তখন বাধ্য হয়ে ভিটামাটি বিক্রির করার অনেক প্রমান পাওয়া যায়। আবার অনেক ঋণের কারনে দেশান্তরি হয়েছেন এমন অনেক নজির আছে। তাই সব মিলিয়ে ভাল নেই এসব নিম্ন আয়ের মানুষ গুলো।

Manual4 Ad Code

আবার গ্রামের কিছু মানুষ সিলেটের বাহিরে রাজমিস্ত্রী বা অন্য কাজে যুক্ত থাকেন।
জ্বালানি তেলের দাম অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধির ফলে বেড়ে গেছে সকল পরিবহনের ভাড়া। তার সাথে সাথে ভাড়া বেড়ে গেছে সকল পন্যবাহী  যানবাহনের। ফলে নিত্যপণ্যে মূল্য অস্বাভাবিক বেড়ে যায়। এবং তার প্রভাব পড়ছে বাজারে সকল নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের উপর।

বাজারে এমন কোন জিনিস নাই যেটার দাম বাড়েনি। মাছ তরকারি সহ সকল পণ্যের লাগামহীন ভাবে দাম বেড়ে যায়। বাজারে প্রতিটি জিনিসের দাম অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধির ফলে ক্রয়ক্ষমতা সাধারণ মানুষের নাগালের বাহিরে চলে যাচ্ছে।

Manual2 Ad Code

প্রতিটি পণ্যের লাগামহীন ভাবে দাম বেড়ে গেছে। এখন আর ব্যাগ ভরে বাজার করার ক্ষমতা সাধারণ মানুষের নেই। আয়ের সাথে ব্যয়ের সংকুলান না হওয়ায় প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার ক্ষমতা নেই অনেকেই।

আপাতত পেয়াজ রসুন এবং আদা জাতীয় মসলার বাজার কিছুটা স্বস্তিতে আছে। আটা ময়দা চিনি পেকেটজাত দুধ সেমাই নুডলস এবং বিস্কুট এখন আর গরীব মানুষের খাবারের তালিকায় রাখার সুযোগ নেই। যদিও এসব নিত্য খাবার নয়। তবে বাড়িতে শিশু বাচ্চা বা অতিথি আসলে এগুলো দিয়ে আপ্যায়ন করার রীতি আমাদের। বাজারে সয়াবিন তেল তো আর কেনার মত সামর্থ্য অনেকেই হারিয়েছেন, এখন অনেক মানুষ সয়াবিন তেল কিনতে হলে পকেটের দিকে আগে তাকিয়ে দেখেন তেল কেনার বাজেট পকেটে আছ তো! তার সাথে পামওয়েল এবং সরিষা তেল অস্বাভাবিক ভাবে দাম বেড়েছে। তেল কেনার পর অন্য জিনিস পত্র কেনার চিন্তা করতে হয়।

বর্তমান বাজার পরিস্থিতির এমই হাল।
একজন শ্রমজীবী মানুষ ৩ শত থেকে ৪টাকা দৈনিক আয় করলে এই বাজার মূল্যের উর্ধগতিতে কি ভাবে সংসার চালাবে এটা এখন বড় প্রশ্ন?। আয়ের সাথে ব্যয়ের সংকুলান না হওয়ায় চরম বিপাকে আছে নিম্ন এবং মধ্যবিত্তশ্রেণির মানুষজন। সবার একটা দাবী, কবে মিলবে মুক্তি। এখন সেই সুদিনের আশায় বসে আছে শ্রমজীবী মানুষ।

Manual1 Ad Code

লেখকঃ সাংবাদিক, লেখক ও সমাজকর্মী।

           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

November 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
Manual1 Ad Code
Manual4 Ad Code