সর্বশেষ

» জুড়ীতে ব্যবসায়ীর সহযোগিতায় নতুন মন্দির পেল চা-শ্রমিকরা

প্রকাশিত: ০৫. ডিসেম্বর. ২০১৯ | বৃহস্পতিবার


Manual5 Ad Code

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার ‘সোনারুপা চা-বাগান’ এলাকায় দানশীল এক ব্যবসায়ীর সহযোগিতায় দৃষ্টিনন্দন ধর্মীয় উপাসনালয় (মন্দীর) নির্মিত হয়েছে। নতুন এ মন্দীর নির্মাণের মধ্য দিয়ে ঐ এলাকার চা-শ্রমিকদের দীর্ঘ দিনের একটি স্বপ্ন আলোর মুখ দেখলো।

জানা যায়,ধর্মীয় উপাসনালয় শূন্য ছিল ‘সোনারুপা চা-বাগান’ এলাকা। দীর্ঘ দিন থেকে একটি উপাসনালয় নির্মাণের জন্য শ্রমিকরা বাগান মালিক ও বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছেন। শ্রমিকদের এ আহবানে সাড়া দেন একই এলাকার মুসলিম দানশীল ব্যবসায়ী জায়েদ হাসান। তিনি বড় ধামাই গ্রামের মোঃফাতির আলীর ছেলে। তিনি চা-বাগানের পাশে মন্দিরের জন্য ৫ শতক জায়গা এবং নগদ ২ লক্ষ টাকা অনুদান প্রদান করেন৷ দানশীল এ ব্যবসায়ীর জায়গা এবং অনুদানে ঐতিহ্যবাহী এ চা-বাগানে নতুন এ মন্দিরটি নির্মিত হয়েছে। কাঙ্খিত উপাসনালয় নির্মিত হওয়ায় চা-শ্রমিকদের মাঝে আনন্দ বিরাজ করছে।

Manual3 Ad Code

শ্রমিকদের অনুভূতি জানতে এ প্রতিবেদক কথা বলেন চা-বাগানটির শ্রমিক নেতা ইন্দ্রের সাথে। তিনি মন্দির নির্মাণে সহযোগিতাকারী দানশীল ব্যক্তি জায়েদ হাসানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন,’জায়েদ হাসান একজন উদারপন্থী,মানবিক মানুষ। তিনি ধর্ম-বর্ণের ঊর্ধ্বে থেকে মানুষের কল্যাণে কাজ করেন। মন্দিরে ভূমি এবং টাকা দান তার একটি উৎকৃষ্ট প্রমাণ। তাঁর সহযোগিতার ফলে আমাদের দীর্ঘদিনের একটি স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছে। আমাদের সাথে অনেক খৃষ্টান ধর্মালম্বী শ্রমিক রয়েছেন,তাঁদেরও উপাসনালয় প্রয়োজন। আশাকরি,জায়েদ হাসানের মত বিত্তশালীরা খৃষ্টান ধর্মালম্বীদের জন্যও আরেকটি উপসনালয় নির্মানে এগিয়ে আসবেন।’

Manual8 Ad Code

শ্রমিক নেতা ইন্দ্র আরো বলেন,’এখন থেকে আমরা (হিন্দু ধর্মালম্বীরা) মন্দিরে উপাসনা করতে পারব। আমাদের এই মন্দির নির্মাণে সহযোগিতা করায় সকল শ্রমিকদের পক্ষ থেকে জায়েদ হাসানকে আমরা ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

Manual3 Ad Code

           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031  
Manual1 Ad Code
Manual3 Ad Code