- কানাইঘাটে ঝিংগাবাড়ী সমিতির ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও বৃত্তিপ্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা
- সিলেট ৬ : এমরান চৌধুরী ব্যতিক্রম, ব্যানার ফেস্টুন অপসারণে নিজেই মাঠে
- কানাইঘাটে সার ডিলারদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
- কানাইঘাট আইনজীবি ফোরামের কাউন্সিল সম্পন্ন! নেতৃত্বে এখলাছুর রহমান-আব্দুছ ছাত্তার
- কানাইঘাট প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের সাথে নবাগত অফিসার ইনচার্জের মতবিনিময়
- নির্বাচনের তফসিল আগামীকাল সন্ধ্যায়: ইসি সচিব
- সিলেট-৬ আসনে যোগ্য প্রার্থী বাছাই করেছেন তারেক রহমান, বিজয়ী করুন : মিফতাহ্ সিদ্দিকী
- খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে সৌদি’র জিদ্দায় জাতীয়তাবাদী ঐক্য পরিষদের দোয়া মাহফিল
- ইনশাআল্লাহ আগামীর সরকার হবে ইসলামের: কানাইঘাটে মুফতি আবুল হাসান
- আগামীকাল ১০ ডিসেম্বর সিলেট বিভাগীয় ট্রেড ইউনিয়ন কনভেনশন সফল করুন: স্কপ
» জাতির পিতার পথ ধরে আমরা মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছি : প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিত: ২৬. এপ্রিল. ২০২২ | মঙ্গলবার
চেম্বার ডেস্ক:: সবচেয়ে ভালো লাগে ঘর পাওয়া মানুষের মুখের হাসি। জাতির পিতা তো দুঃখী মানুষের মুখেই হাসি ফোটাতে চেয়েছেন। এই বাংলাদেশ যেন বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে, সে লক্ষ্যে কাজ করছি। উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। যে জাতি রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করে, সে জাতি পিছিয়ে থাকতে পারে না।
আজ মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আশ্রায়ণ-২ প্রকল্পের ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্যের শুরুতেই কান্নাজড়িত কণ্ঠে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে বার বার মনে পড়ছে আমার বাবার কথা। তিনি শুধু ভাবতেন, কীভাবে দেশের মানুষ অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান পাবে। কীভাবে তাদের ভাগ্য পরিবর্তন হবে। জাতির পিতার পথ ধরে আমরা মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছি। এটা দেখে নিশ্চয়ই জাতির পিতার আত্মা শান্তি পাবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে উঠবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সবসময় বলতেন, ‘আমার দেশের প্রতিটি মানুষ খাদ্য পাবে, আশ্রয় পাবে, উন্নত জীবনের অধিকারী হবে, এই হচ্ছে আমার স্বপ্ন।’ জাতির পিতা স্বাধীনতার পর দেশের ভূমিহীন-গৃহহীন, ছিন্নমূল মানুষের পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু করেন। তিনি সংবিধানের ১৫(ক) অনুচ্ছেদে দেশের প্রতিটি নাগরিকের বাসস্থান পাওয়ার অধিকারের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমিও তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে কাজ করে যাচ্ছি। কুষ্ঠুরোগী, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, চা শ্রমিক, ছিন্নমূলসহ সমাজের প্রতিটি অবহেলিত ভূমিহীন ও গৃহহীনদের বসস্থানের ব্যবস্থা করছি। এটা জাতির পিতার আদর্শের আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মীরও দায়িত্ব।
শেখ হাসিনা বলেন, সারাদেশে ৮ লাখের ওপর মানুষ পেয়েছি, যারা ছিন্নমূল। আমরা প্রতিটি মানুষকে ঘরবাড়ি করে দেবো। শুধু খাস জমি নয়, জমি কিনেও ঘর করে দিচ্ছি বিনামূল্যে। জানি না পৃথিবীর কেউ এই উদ্যোগ নিয়েছে কি না। আমি জাতির পিতার আদর্শের কর্মী, শুধু তার কন্যা নয়। আমরা বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের জন্য ঘরবাড়ি নিশ্চিত করব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা শেখ মুজিব যখন যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে গড়ে তুলছিলেন, তার চলার পথ বাধাগ্রস্ত করতে অনেক চেষ্টা হয়েছে। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা থামিয়ে দিতে তাকে তো সপরিবারে হত্যাই করলো। আমরা কিন্তু খুনি দুষ্কৃতকারীদের মুখে ছাই দিয়ে জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশকে এগিয়ে নিচ্ছি। আমি জানি, দুঃখী মানুষের মুখের এই হাসি দেখে আমার বাবার আত্ম শান্তি পাবে। আপনারা দোয়া করবেন, এই দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়াবেন, তাদের মুখে হাসি ফোটাবেন। এটাই একজন রাজনীতিকের জীবনে সবচেয়ে বড় পাওয়া। টাকা-পয়সা কোনো কাজে আসবে না। করোনায় তো প্রমাণ পাইছেন। ধন, সম্পদ, অর্থ কিছু না। সম্পদের পেছনে ছুটে নিজেকে মানুষের কাছে অসম্মানিত করার অর্থ হয় না। বরং মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারলে সেটা বড় পাওয়া।
তিনি বলেন, আমরা আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করি। বাংলাদেশের মতো দেশ, যেখানে অনেক সীমাবদ্ধতা আছে, যেখানে অনেক বড় দেশ কল্পনাও করতে পারে না, আমরা কিন্তু করেছি। করোনার টিকা থেকে শুরু করে সবকিছু। করোনার টিকা কেনার টাকা হিসেব শুধু তার করলে হবে না। এটা দেওয়ার পক্রিয়ায় কত হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। আমরা কিন্তু বিনা পয়সায় দিয়েছি। অনেক উন্নত দেশ এটা দিতে পারে নেই।
তিনি আরও বলেন, আমরা নিজের পায়ে দাঁড়াবো। কারো কাছে ভিক্ষা চেয়ে নয়। আত্মমর্যাদা নিয়ে বিশ্বে উন্নত সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে আমরা চলব।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এবং সরকারের পদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
৪৯২টি উপজেলায় একযোগে যুক্ত ছিল এই অনুষ্ঠানে। ভিডিও কনফারেন্সে চারটি উপজেলার আশ্রয়ণ প্রকল্পের উপকারভোগীরা সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। সেগুলো হলো- ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার পোড়াদিয়া বালিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্প, বরগুনা সদরের খাজুরতলা আশ্রয়ণ প্রকল্প, সিরাজগঞ্জ সদরের খোকশাবাড়ি আশ্রয়ণ প্রকল্প এবং চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার হাজীগাঁও আশ্রয়ণ প্রকল্প।
এদিন সারাদেশে ৩২ হাজার ৯০৪টি পরিবারকে একটি সেমিপাকা ঘরসহ দুই শতক জমির দলিল হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী।
সর্বশেষ খবর
- কানাইঘাটে ঝিংগাবাড়ী সমিতির ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও বৃত্তিপ্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা
- সিলেট ৬ : এমরান চৌধুরী ব্যতিক্রম, ব্যানার ফেস্টুন অপসারণে নিজেই মাঠে
- কানাইঘাটে সার ডিলারদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
- কানাইঘাট আইনজীবি ফোরামের কাউন্সিল সম্পন্ন! নেতৃত্বে এখলাছুর রহমান-আব্দুছ ছাত্তার
- কানাইঘাট প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের সাথে নবাগত অফিসার ইনচার্জের মতবিনিময়
সর্বাধিক পঠিত খবর
- সিলেট সরকারি মদন মোহন কলেজে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা
- সিলেট-৫ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী আশিক চৌধুরীর লিফলেট বিতরণ
- নিঃস্ব মানুষের দীর্ঘশ্বাস শুনতে ধসে পড়া কুশিয়ারাপারে অ্যাড. এমরান চৌধুরী
- কানাইঘাট প্রেসক্লাবে প্রবাসী কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের নিয়ে মতিবিনিময়
- কানাইঘাটে বিএনপির জনসভা: সিলেট-৫ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী চান নেতাকর্মীরা
এই বিভাগের আরো খবর
- কানাইঘাটে ঝিংগাবাড়ী সমিতির ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও বৃত্তিপ্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা
- সিলেট ৬ : এমরান চৌধুরী ব্যতিক্রম, ব্যানার ফেস্টুন অপসারণে নিজেই মাঠে
- নির্বাচনের তফসিল আগামীকাল সন্ধ্যায়: ইসি সচিব
- ইনশাআল্লাহ আগামীর সরকার হবে ইসলামের: কানাইঘাটে মুফতি আবুল হাসান
- বেগম রোকেয়া দিবসে মহিলা ফোরামের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

