সর্বশেষ

» সিলেটে বাস চলাচল শুরু

প্রকাশিত: ০৭. নভেম্বর. ২০২১ | রবিবার

স্টাফ রিপোর্টার : টানা তিনদিন পর অবশেষে সিলেট থেকে বাস চলাচল শুরু হয়েছে। রোববার সন্ধ্যার পর থেকে দুরপাল্লার ও আন্তঃজেলা বাস চলাচল শুরু হয়। ডিজেলের দাম বৃদ্ধির কারণে গত বৃহস্পতিবার থেকে ধর্মঘট ডেকেছিলেন বাস মালিকরা। ফলে বন্ধ হয়ে যায় সব ধরণের বাস চলাচল।

রোববার দুপুরে বাস মালিকদের সাথে বৈঠক করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। বৈঠকে বাসের ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। এরপর সন্ধ্যা থেকে সিলেটে বাস চলাচল শুরু হয়।
সিলেট সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম বলেন, বিআরটিএ আমাদের দাবি মেনে নেওয়ায় ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। এরফলে সন্ধ্যা থেকে বাস চলাচল শুরু হয়েছে। বাস চলাচল শুরু হলেও আজ ভাড়া বাড়ানো হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ঢাকার মালিক সমিতির নেতাদের সাথে আলোচনা করে নতুন ভাড়া নির্ধারণ করা হবে। ফলে কাল থেকে ভাড়া বাড়বে। বাস চলাচল শুরু হলেও আজ যাত্রী সংখ্যা তুলনামূলক কম বলে জানিয়েছেন তিনি।
রাতে সিলেটের কদমতলী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, তিনদিন পর খুলেছে প্রায় সবগুলো বাসের কাউন্টার। টার্মিনাল থেকে নিধারিত গন্তব্যে বাস ছেড়েও যাচ্ছে। তবে রাতে যাত্রী সংখ্যা ছিলো অনেক কম।
এনা বাস সার্ভিসের সিলেট অফিসের ইনচার্জ ও সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন সিলেটের সভাপতি সেলিম আহমদ ফলিক বলেন, আজ যাত্রীর চাপ কম থাকায় বাসও কম ছেড়ে যাচ্ছে। কাল থেকে পুরোপুরি বাস চলাচল শুরু হবে।
বিআরটিএ’র সাথে বাস মালিকদের বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দূরপাল্লার বাসে প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া ১ টাকা ৪২ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১ টাকা ৮০ পয়সা করা হয়েছে।
এদিকে, বাস চলাচল শুরু হওয়ায় স্বস্থি ফিরেছে যাত্রীদের মধ্যে। তবে বাসের ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্তে ক্ষোভ জানিয়েছেন তারা।
রোববার ঢাকা যাওয়ার জন্য ইউনিক বাসের কদমতলী কাউন্টারে অপেক্ষমান ছিলেন আশিকুর রহমান। তিনি বলেন, দ্রব্যমূেল্যর উর্ধগিতর কারেণ এমনিতেই আমাদের খুব কষ্টে চলতে হচ্ছে। এখন বাসের ভাড়াও বাড়ানোর কারণে আরও দুর্ভোগে পড়তে হবে। আমাদের মতো নিম্ম আয়ের মানুষদের জন্য জীবনযাপন আরও কষ্টকর হবে।
একাধিক যাত্রী অভিযোগ করেছেন, দুরাপাল্লার বাসে আগের ভাড়া নেওয়া হলেও আন্তঃজেলা বাসগুলোতে ইচ্ছেমত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
এরআগে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত টানা ধর্মঘট পালন করে বাস মালিকরা। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হয় যাত্রীদের। জরুরী প্রয়োজনেও নির্ধারিত গন্তব্যে যেতে পারেননি অনেকে।

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

August 2025
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031