সর্বশেষ

সাবেক সাংসদ বদিকে বাবা দাবি, আদালতের দ্বারস্থ যুবক

প্রকাশিত: ১৪. ডিসেম্বর. ২০২০ | সোমবার

Manual1 Ad Code

চেম্বার ডেস্ক:: কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদিকে বাবা দাবি করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন এক যুবক। সাবেক এই সাংসদকে বাবা প্রমাণে ডিএনএ টেস্টের দাবিও করেছেন তিনি।

রোববার (১৩ ডিসেম্বর) টেকনাফ সহকারী জজ জিয়াউল হকের আদালতে আবেদনটি করেন মো. ইসহাক (২৬) নামের ওই যুবক। পরে অভিযোগ আমলে নিয়ে আদালত বদির বিরুদ্ধে সমন জারি করেন।

Manual2 Ad Code

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দীন বলেন, অভিযোগ আমলে নিয়ে আদালত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে সমনের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯২ সালের ৫ এপ্রিল ইসহাকের মা সুফিয়া খাতুনকে কালেমা পড়ে বিয়ে করেন আবদুর রহমান বদি। বিয়ে পড়ান বদিদের পারিবারিক আবাসিক হোটেল নিরিবিলিতে তখন কর্মরত মৌলভী আবদুস সালাম। বিয়ের সাক্ষী ছিলেন হোটেলের দারোয়ান এখলাছ।

Manual4 Ad Code

মো. ইসহাক জানান, ছোটবেলা থেকে তিনি মায়ের কাছে শুনে এসেছেন তার বাবা আবদুর রহমান বদি। কিন্তু কখনো তিনি বাবার স্নেহ-ভালোবাসা পাননি। বাবার স্বীকৃতির দাবিতে মায়ের সঙ্গে তিনি অসংখ্যবার বদির কাছে যান। কিন্তু আবদুর রহমান বদি তার রাজনৈতিক শত্রু ও সামাজিক অবস্থানসহ নানা সমীকরণ দেখিয়ে তাকে এবং তার মাকে বিয়ের বিষয়টি গোপন রাখতে বলেন। এ কারণে তার মাও স্বামীর (আবদুর রহমান বদি) কথার অবাধ্য হননি। তার মা সুফিয়া খাতুন এতদিন চুপ ছিলেন। দীর্ঘ এই সময় ধরে তারা মা-ছেলে মৌলভী আবদুস সালামের কাছে আশ্রিত আছেন। অভাব-অনটনে চলছে তাদের জীবন। তবুও নিষ্ঠুর বাবার মন গলছে না।

Manual1 Ad Code

ইসহাক জানান, বিষয়টি নিয়ে তারা মা-ছেলে আবদুর রহমান বদির ছোট বোন শামসুন নাহারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তারা ঘরোয়াভাবে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেন। কিন্তু বদি কৌশলে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। সম্প্রতি দুদকের মামলায় হাজিরা দিয়ে টেকনাফে ফুলেল সংবর্ধনা গ্রহণকালে বদি তার একমাত্র ছেলে শাওন ছাড়া আর কোনো ছেলে নেই দাবি করে বক্তব্য দেন। এরপর ইসহাক সিদ্ধান্ত নেন তিনি আর চুপ থাকবেন না। তিনি আদালতের আশ্রয় নেন। এছাড়া এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর অভিযোগ করেন তিনি।

এ বিষয়ে আবদুর রহমান বদির কোনো বক্তব্য এখনও পাওয়া যায়নি। তবে মামলায় বদির পক্ষে আদালতে উপস্থিত থাকা অ্যাডভোকেট কফিল উদ্দীন মামলার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

Manual7 Ad Code

সূত্র : জাগো নিউজ

           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

November 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
Manual1 Ad Code
Manual7 Ad Code