সর্বশেষ

» বানিয়াচংয়ে দুইপক্ষের সংঘর্ষে নিহত ৩

প্রকাশিত: ০৯. মে. ২০২৪ | বৃহস্পতিবার

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে সিএনজিচালিত অটোরিক্সা স্ট্যান্ড দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অর্ধশত। এসময় বাড়িঘরে ব্যাপক লুটপাট ও ভাঙচুর করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুর ১টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টাব্যাপী এই সংঘর্ষ হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

নিহত দুজন হলেন- বানিয়াচং উপজেলার আগুয়া গ্রামের শুকুর মিয়ার ছেলে কাদির মিয়া (৩৫) ও একই গ্রামের বজলু মিয়ার ছেলে সিরাজ মিয়া (৩৬)। তারা দুজনই অটোরিকশাচালক।
হাসপাতালে নেওয়ার পর বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে চিকিৎসারত অবস্থায় আরেকজন অটোচালক মারা যান। তিনি আগুয়া গ্রামের আলী রাজার ছেলে লিুল মিয়া (৩৭)।

বানিয়াচং সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ রঞ্জন দে জানান, উপজেলার আগুয়া গ্রামে সিএনজি স্ট্যান্ডে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে। তবে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। হাঙ্গামাকারীদের ধরতে অভিযান শুরু হয়েছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, উপজেলার আগুয়া গ্রামের বাসিন্দা সিএনজি স্ট্যান্ড ম্যানেজার বদির মিয়া ও অটোরিকশাচালক আব্দুল কাদিরের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। একই বিষয় নিয়ে বৃহস্পতিবার তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষ পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুর ১২টার দিকে আগুয়া অটোরিকশা স্ট্যান্ডে গাড়ির সিরিয়াল নিয়ে ম্যানেজার বদির মিয়ার সঙ্গে কাদির মিয়ার কথা কাটাকাটি হয়। বিষয়টি নিয়ে উত্তেজনা বাড়তে থাকে এবং দুপুর ১টার দিকে বদির ও কাদিরের পক্ষ নেওয়া এবং তাদের দুজনের গোষ্ঠীর লোক দুই গ্রুপ হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। দুই ঘণ্টাব্যাপী তুমুল সংঘর্ষে বল্লম ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ঘটনাস্থলেই কাদির ও সিরাজের মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালে মারা যান লিলু মিয়া। এ সংঘর্ষে দুপক্ষের প্রায় ৫০ জন আহত হয়েছেন।

সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। আগুয়া বাজারে এখনো থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তবে আর যাতে সংঘর্ষ না হয় সেজন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ের করে রাখা হয়েছে।

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

September 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  

Please continue to proceed