মেয়র আরিফের ৫ বছর: ২৭ মাসেই নগরীর ব্যাপক উন্নয়ন

প্রকাশিত: ০১. জুন. ২০১৭ | বৃহস্পতিবার

Manual4 Ad Code
  • জাহাঙ্গীর আলম:
    ২০০৩ সালের নির্বাচনে জনপ্রতিনিধি হিসেবে অভিষেক হয় আরিফুল হক চৌধুরীর। ওই নির্বাচনে তিনি কাউন্সিলর হন। তার বর্তমান প্রতিদ্বন্দ্বী কামরান তখন মেয়র নির্বাচিত হন। নানা রাজনৈতিক মেরুকরণে আরিফুল হক চৌধুরীকে তখন নগর উন্নয়ন কমিটির সভাপতি করা হয়। তখন ক্ষমতায় বিএনপি। অর্থমন্ত্রী ছিলেন এম সাইফুর রহমান।

নগর উন্নয়নের জন্য কোটি কোটি টাকা ব্যয় করেন তিনি। সিলেটবাসী আরিফুলের সেই ভূমিকা শুধু প্রত্যক্ষই করেননি, মনেও রেখেছেন। ২০০৮ সালে হয় সিটির দ্বিতীয় নির্বাচন। আরিফুল হক কারাগারে থাকায় তিনি নির্বাচনের বাইরে ছিলেন। তবে কারাগারে থেকেও ভোট করে কামরান টানা দ্বিতীয়বার মেয়র হন।

কিন্তু ২০১৩ সালের নির্বাচনে দৃশ্যপটে ফিরে আসেন আরিফুল হক চৌধুরী। বদর উদ্দিন কামরানকে হারিয়ে মেয়র হন আরিফুল হক। ৫ বছরের জন্য মেয়র নির্বাচিত হলেও আরিফুল মাত্র ২৭ মাস কাজ করতে পেরেছেন। বাকি সময় কাটে তার জেল ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের বহিষ্কারাদেশের বৃত্তে। তবে এই ২৭ মাসেই নগরীর ব্যাপক উন্নয়ন কাজ করেন।

Manual5 Ad Code

নগরের ভয়াবহ জলাবদ্ধতা দূরীকরণ, রাস্তাঘাট প্রশস্ত করা, দখল হওয়া ছড়া-খাল উদ্ধারের মাধ্যমে তিনি নগরবাসীর কাছে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দেন।

Manual6 Ad Code

নগরবাসী জানান, আরও কিছু কারণে আরিফ জনগণের প্রিয়ভাজনে পরিণত হন। এর মধ্যে আছে, সন্ধ্যা বাজারের নানা অসামাজিক কার্যকলাপের আখড়া উচ্ছেদ, ফুটপাত হকারমুক্ত রাখা, ভাসমান হকার পুনর্বাসনের উদ্যোগও সমাদৃত হয়েছে।

Manual2 Ad Code

এসব কারণে আলেমসমাজ, ব্যবসায়ী, নতুন ও নারী ভোটারসহ সমাজের অধিকাংশ মানুষের প্রিয় পাত্রে পরিণত হন আরিফ। নগরীর মাছিমপুরের মণিপুরী পাড়ায় মন্দির সংস্কার এবং মণিপুরীদের প্রিয়ভাজন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মুর‌্যাল তৈরির মাধ্যমে আরিফ ওই সব সম্প্রদায়েরও প্রিয়পাত্রে পরিণত হন।

Manual8 Ad Code

অন্যদিকে, কামরান ১৯৭৭ সাল থেকে এই নগরের জনপ্রতিনিধি। ২০১৩ সাল পর্যন্ত তিনি যথাক্রমে পৌর কমিশনার, পৌর চেয়ারম্যান ও মেয়র হন। এর মধ্যে টানা দু’বার মেয়র ছিলেন। জনপ্রতিনিধি হিসেবে ৩৬ বছরের মধ্যে ১৮ বছরই ছিলেন নগরপিতার পদে। বারবার নির্বাচিত হওয়ার পরও নগরীর সমস্যা নিরসনে আন্তরিকতার ঘাটতি স্পষ্ট বলে মনে করেন নগরবাসী।

নগরের মৌলিক সমস্যা দূর না করে জিইয়ে রাখার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। অথচ মাত্র ২৭ মাসে সেসব সমস্যা দূর করতে সক্ষম হন আরিফুল। উন্নয়নে এ দৃশ্যমান পার্থক্য কামরানের জনপ্রিয়তা রাতারাতি তলানিতে গিয়ে ঠেকে। কামরানের ব্যক্তিগত ইমেজও মানুষের কাছে সন্তোষজনক নয়। নগরীর গুলশান হোটেলের আড্ডা নিয়ে তার ব্যাপারে জনমনে বিরূপ ধারণা আছে।

সিটি কর্পোরেশনের জায়গায় এ ভবন নির্মাণের বিষয়টিও মানুষ ভালো চোখে দেখছে না। লালদীঘিপাড়ে হকার মার্কেট নির্মাণ নিয়েও তার বিরুদ্ধে নয়ছয়ের অভিযোগ আছে ব্যবসায়ীদের। যদিও তার মৌখিক ব্যবহার নিয়ে কারও আপত্তি নেই।

এক সময়ের জরাজীর্ণ সিলেট এখন অনেকটা ঝলমলে পর্যটন নগরী। চারদিকে জ্বলছে উন্নয়নের আলোর শিখা। সন্ধ্যা হলেই বদলে যায় নগরজীবনের চিত্র। জ্বলতে থাকে রং-বেরংয়ের ঝলকানো বাতি। এ যেন ছোট্ট আয়তনের এক লন্ডনসিটি। অবকাঠামো উন্নয়নে এশিয়ার ক্ষদ্রাকৃতির অনেক নগরকেও হার মানিয়েছে সিলেট সিটি। আর এ কারনেই মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী হয়ে উঠেছেন উন্নয়নের আইকন।

আসন্ন সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী আবারও চমক দেখাতে পারেন বলে মনে করেন নগরবাসী।

           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

November 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
Manual1 Ad Code
Manual3 Ad Code