সর্বশেষ

শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় সি আর দত্তকে চিরবিদায়

প্রকাশিত: ০১. সেপ্টেম্বর. ২০২০ | মঙ্গলবার


Manual7 Ad Code

চেম্বার ডেস্ক:: মুক্তিযুদ্ধকালীন ৪ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার ও বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) চিত্ত রঞ্জন দত্ত (সি আর দত্ত) বীরউত্তমের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর রাজারবাগ কালীমন্দির শ্মশানে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয় জাতির এই কৃতী সন্তানের।

Manual1 Ad Code

মেজর জেনারেল (অব.) সি আর দত্তের মরদেহ সেখানে পৌঁছলে সেনাবাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে। পরে সেখানেই তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়।

Manual7 Ad Code

এর আগে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে তার মরদেহের প্রতি ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে এই বীর উত্তমকে রাষ্ট্রীয় সম্মান জানায় পুলিশের একটি চৌকস দল।

ঢাকেশ্বরী মন্দিরে সি আর দত্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ। তিনি বলেন, সি আর দত্ত একজন মুক্তিযোদ্ধাই ছিলেন না, মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক ছিলেন। দেশের যেকোনো ক্রান্তিকালে জাতিকে সঠিক পথনির্দেশক হিসেবে সবসময় দিকনির্দেশনা দিয়েছেন, দায়িত্ব পালন করেছেন।

Manual1 Ad Code

বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মেজর জেনারেল (অব.) চিত্ত রঞ্জন দত্ত (সি আর দত্ত) বীর উত্তম। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর।

সোমবার (৩১ আগস্ট) সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায় সি আর দত্তের মরদেহ।

১৯২৭ সালের ১ জানুয়ারি আসামের রাজধানী শিলংয়ে জন্মগ্রহণ করেন সি আর দত্ত। বাবা উপেন্দ্র চন্দ্র দত্ত ছিলেন পুলিশ অফিসার। পরে তারা স্থায়ীভাবে চলে আসেন হবিগঞ্জে। ১৯৫১ সালে তখনকার পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার চার বছরের মাথায় পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধে আসালংয়ে একটি কোম্পানির কমান্ডার হিসেবে যুদ্ধ করেন সি আর দত্ত।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রামের চূড়ান্ত মুহূর্ত যখন উপস্থিত, সে সময় ছুটিতে দেশেই ছিলেন সি আর দত্ত। তখন তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ফ্রন্টিয়ার ফোর্সের মেজর। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণে উদ্দীপ্ত সি আর দত্ত মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেওয়ার পর তাকে দেওয়া হয় ৪ নম্বর সেক্টরের কমান্ডারের দায়িত্ব।

Manual4 Ad Code

সিলেট অঞ্চলে ওই সেক্টরে হানাদার বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের বহু যুদ্ধ সংঘটিত হয়, যার বেশ কয়েকটিতে নিজেই নেতৃত্ব দেন সি আর দত্ত।

মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য কৃতিত্ব ও অবদানের জন্য দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তাকে ‘বীরউত্তম’ খেতাবে ভূষিত করা হয়। বাংলাদেশ রাইফেলসের প্রথম মহাপরিচালক হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন।

           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

November 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
Manual1 Ad Code
Manual8 Ad Code