- দক্ষিণ সুরমা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হলেন বজলুর রহমান ফয়েজ
- কানাইঘাটে সাংবাদিকদের সাথে ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা রেজাউল করিম আবরারের মতবিনিময়
- কানাইঘাটে পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস অনুষ্ঠিত
- কানাইঘাটে পুলিশের অভিযানে ভারতীয় চিনি আটক || মামলা দায়ের
- মইনউদ্দিন আদর্শ মহিলা কলেজের পাঁচজন অধ্যাপকের অবসরজনিত বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত
- বিএনপি নেতা এড. আব্দুল গাফফারের মৃত্যুতে সিলেট নগর জামায়াতের শোক
- হাসান মার্কেট দোকান মালিক ও ব্যবসায়ী সমিতির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক মতবিনিময় সভা
- এড. আব্দুল গাফফারের মৃত্যুতে ড. এনামুল হক চৌধুরীর শোক
- রথযাত্রা উপলক্ষে সিলেট জামায়াতের সাথে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মতবিনিময়
- আমি আপনাদের সন্তান হিসেবে এলাকার উন্নয়নে কাজ করার সুযোগ চাই :শাহীনুর পাশা চৌধুরী
» শিশুদের জন্য একটি নিরাপদ বাংলাদেশের পরিকল্পনা করে দিয়েছে বর্তমান সরকার: প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিত: ১৮. অক্টোবর. ২০২১ | সোমবার

চেম্বার ডেস্ক:: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিশুরা আত্মবিশ্বাস ও আত্মমর্যাদা নিয়ে গড়ে উঠুক। তাদের প্রতিভা বিকশিত হোক। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন করুক। আধুনিক বিজ্ঞান প্রযুক্তি শিক্ষায় নিজেদের উন্নত করে গড়ে তুলুক, সেটাই আমরা চাই। শিশুদের জন্য একটি নিরাপদ বাংলাদেশের পরিকল্পনা করে দিয়েছে বর্তমান সরকার।
আজ সোমবার শেখ রাসেল দিবসের অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দিবসটি উদ্বোধন করে শেখ হাসিনা বলেন, এই বাংলাদেশ সামনে কেমন হবে তার জন্য পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা করে দিয়েছি। বাংলাদেশের আগামী দিনের চলার পথে যেন আর কোনও হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্র না হয়। বাংলাদেশের মানুষ যেন সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে। ঘাতকের বুলেটে আর কোনও শিশুকে যেন এভাবে জীবন দিতে না হয়। আমি জাতির কাছে এই আহ্বানই জানাবো যে, আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। কাজেই তাদের নিরাপত্তা দেওয়া, তাদের ভালোবাসা দেওয়া, তাদের সুন্দরভাবে গড়ে তোলা, তাদের জীবনটাকে সার্থক করা, অর্থবহ করা; এটাই যেন সবার আকাঙ্ক্ষা হয়। এটাই যেন সকলের কর্তব্য পালনকালে সবার আদর্শ হয়- সেটাই আমি চাই।
নিজের ছোটভাইকে স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একজন শিশুকে হত্যা মানেই লাখো-কোটি শিশুর জীবনে একটা আশঙ্কা এসে যায়। স্বাধীন বাংলাদেশে আমরা দেখেছি যে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী এদেশের যেভাবে গণহত্যা চালিয়েছিল। তারাও কিন্তু শিশুদের রেহাই দেয়নি। ছোট্ট নবজাতক শিশুকেও তারা হত্যা করেছে। এমনকি মায়ের পেটের শিশুকেও হত্যা করেছে। আবার সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি আমরা দেখেছি ২০০১ সালের অক্টোবরের নির্বাচনের পর বিএনপি-জামায়াত একই কায়দায়, ঠিক যেন পাকিস্তান হানাদার বাহিনী যেভাবে গণহত্যা চালিয়েছিল ওই ভাবে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে।
পচাত্তরের ১৫ আগস্টের পরও আরও অনেক মানুষকে হত্যা করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সেনাবাহিনীতেই ১৯ বার ক্যু হয়েছে। একটা বাহিনীতে যদি ১৯ বার ক্যু হয়, তাতে ডিসিপ্লিন আছে বলে কেউ দাবি করতে পারে না। আর এই একেকটা ক্যু ধরে ধরে হাজার হাজার সৈনিক অফিসার হত্যা করা হয়েছে। অনেকের পরিবার লাশও পায়নি। সেই সাথে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদেরও অকথ্য নির্যাতন। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর। তাদের দিনের পর দিন ধরে নির্যাতন করা হয়েছে। আবার ঠিক সেই ঘটনা আমরা দেখেছি।
পচাত্তরের পর বারবার এ ধরনের অত্যাচার করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচনের পর আবারও সেই একই ঘটনা। এর পর অগ্নিসন্ত্রাস থেকে শুরু করে কতোভাবে মানুষকে হত্যা করেছে- বাসে আগুন দিয়েছে, শিশু পুড়ে মারা গেছে। এই ঘটনাও আমরা বাংলাদেশে দেখেছি। কিন্তু আমরা তো এ রকম চাই না, আমরা চাই বাংলাদেশ একটা শান্তিপূর্ণ দেশ হবে। প্রত্যেকটা শিশুর জীবন অর্থবহ হবে, সুন্দর হবে। এভাবে অকালে ঝড়ে যাবে সেটা আমরা চাই না। একটি ফুল পূর্ণাঙ্গভাবে ফোটার আগে অকালে ঝড়ে যাক এটা কারো আকাঙ্ক্ষা নয়। এটা কেউ চায় না।
‘পচাত্তরের পর শুধু হত্যা না, একই সাথে ইতিহাসকেও মুছে ফেলা হয়েছিল’ বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের অনেক প্রজন্ম জানতেই পারেনি যে সেখানে কতজন মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, কীভাবে হত্যা করা হয়েছে বা একাত্তর সালে কীভাবে গণহত্যা হয়েছিল আমাদের দেশে। শিশুরা যেন নিরাপদ থাকে। এই বাংলাদেশে প্রথম ১৯৭৪ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিশু নিরাপত্তার জন্য আইন করে দিয়ে যান। কী দুর্ভাগ্য আমাদের ঘাতকের হাতে তারই সন্তানদের হত্যার শিকার হতে হয়। বাংলাদেশে যেন আর এই ধরনের কোনও ঘটনা ভবিষ্যতে না ঘটে সেটাই আমাদের আকাঙ্ক্ষা, সেটাই আমরা চাই।
শেখ রাসেলের স্মৃতি চারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ যদি জিজ্ঞেস করতো তুমি কী হবে? সে বলতো আমি আর্মি হবো। সে একটা আর্মি অফিসার হবে- এটাই তার জীবনের স্বপ্ন ছিল।’
শিশু রাসেলের নাম করণের ইতিহাস তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের পরিবারে পাঠাভ্যাস ভালো ছিল। সবাই বই পড়তো, পড়ে শোনাতো। আব্বা নোবেল লরিয়েট বার্ট্রান্ড রাসেলের ফিলোসোফি মাকে শোনাতেন। তার ফিলোসোফি ব্যাখ্যা করতেন। তিনিও সেটা মনোযোগ দিয়ে শুনতেন। সে থেকে তার নাম রাসেল রাখা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বাংলাদেশকে গড়তে চাই। উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে চাই। সোনার বাংলাদেশ গড়তে চাই। যে দেশে কোনো অন্যায় থাকবে না, অবিচার থাকবে না, মানুষ সুন্দরভাবে বাঁচবে; সেটাই আমি চাই।
সর্বশেষ খবর
- দক্ষিণ সুরমা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হলেন বজলুর রহমান ফয়েজ
- কানাইঘাটে সাংবাদিকদের সাথে ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা রেজাউল করিম আবরারের মতবিনিময়
- কানাইঘাটে পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস অনুষ্ঠিত
- কানাইঘাটে পুলিশের অভিযানে ভারতীয় চিনি আটক || মামলা দায়ের
- মইনউদ্দিন আদর্শ মহিলা কলেজের পাঁচজন অধ্যাপকের অবসরজনিত বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত
সর্বাধিক পঠিত খবর
- কানাইঘাটে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ১০ জন আহত, গ্রেফতার-১
- ফের বাংলাদেশ থেকে ব্রিটিশ ভিসা দেওয়া শুরু, রয়েছে নানা শর্ত
- আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি মাহফুজের, ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম
- কানাইঘাটে পরকীয়ায় বাঁধা দেয়ায় যুবককে কুপিয়ে আহত,থানায় অভিযোগ দায়ের
- কানাইঘাটে ৫০ উর্ধ্ব মহিলার যৌন হেনেস্থার ভিডিও যে ভাবে ধারণ করে বখাটেরা
এই বিভাগের আরো খবর
- মইনউদ্দিন আদর্শ মহিলা কলেজের পাঁচজন অধ্যাপকের অবসরজনিত বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত
- রথযাত্রা উপলক্ষে সিলেট জামায়াতের সাথে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মতবিনিময়
- আমি আপনাদের সন্তান হিসেবে এলাকার উন্নয়নে কাজ করার সুযোগ চাই :শাহীনুর পাশা চৌধুরী
- ঢাকা সিটি দক্ষিণ দখল নিয়ে সরকারের অসহায়ত্ব দেখে দেশবাসী হতাশ : ফখরুল ইসলাম
- সিলেটের মৎস্য সম্পদ উন্নয়নে প্রকল্প সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে – মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক