সর্বশেষ

» গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়লেও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সফল : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১৮. জানুয়ারি. ২০২৩ | বুধবার

Manual1 Ad Code

চেম্বার ডেস্ক:: গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়লেও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকার সফল হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়লেও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছি আমরা। তাতে সফল হয়েছি।

বুধবার (১৮ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নুর প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইএমএফ তখনই ঋণ দেয় যখন ওই দেশের ঋণ দেওয়ার (পরিশোধ করার) যোগ্যতা থাকে। আমরা বিদ্যুৎ ও গ্যাসে এখনো ভর্তুকি দিচ্ছি। কিন্তু জনগণকে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে।

Manual3 Ad Code

তিনি বলেন, (রাশিয়া-ইউক্রেন) যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী দ্রব্যমূল্য বেড়েছে। তারপরও সব মানুষ খাদ্য যাতে কম দামে পায় সে ব্যবস্থা করেছি আমরা। যারা কিছুই করতে পারে না তাদের জন্য বিনামূল্যে খাদ্য দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কৃষিতেও ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে।

Manual8 Ad Code

এ সময় গ্যাসের দাম আরও বাড়ার আভাস দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, গ্যাস যে মূল্যে কেনা হবে সেই মূল্যেই গ্রাহককে দিতে হবে। সেক্ষেত্রে গ্যাসের দাম বাড়তে পারে।

২০৪১ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষমতা ৬০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করার আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে সরকার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। ২০৩০ সালে ৪০ হাজার মেগাওয়াট ও ৪১ সালে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা অর্জন করবে বাংলাদেশ।’

Manual5 Ad Code

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়ায় সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে এবং টিসিবির পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

Manual1 Ad Code

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তর করেছি। রূপকল্প-৪১ও অর্জন করব, আর্থ-সামাজিক খাতে বিনিয়োগে দক্ষিণ এশিয়ায় সবার ওপরে বাংলাদেশ।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মেগা প্রকল্পগুলোর কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ হবে সোনার বাংলা, যেখানে দারিদ্র্য হবে অতীতের ঘটনা।’

এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ প্রতিষ্ঠার জন্য এখন থেকে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্স’ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্স’ হিসেবে কাজ করবে। স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভ ঠিক করা হয়েছে। সেগুলো হলো-স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইকোনমি ও স্মার্ট গভর্নমেন্ট।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের সফলতার ধারাবাহিকতায় ২০৪১ সালের মধে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য বাংলাদেশের অর্থনীতি, শিল্প, পর্যটন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, আর্থিক খাত, ইত্যাদির দক্ষতা বৃদ্ধি ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে উন্নত বিশ্বের সমপর্যায়ে নেয়ার লক্ষে ৫ মন্ত্রী, এক প্রতিমন্ত্রীসহ ৩০ সদস্য বিশিষ্ট স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্স গঠন করে গত বছরের ১৬ আগস্ট গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ প্রতিষ্ঠার জন্য এখন থেকে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্স’ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্স’ হিসেবে কাজ করবে।

           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031  
Manual1 Ad Code
Manual3 Ad Code