- কানাইঘাটে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে অর্থ সহায়তা প্রদান অব্যাহত
- বন্যাদুর্গত মানুষের মাঝে জনতা ব্যাংকের ত্রিশ হাজার কেজি খাদ্যসামগ্রী বিতরণ
- সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার প্রদান
- প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি ও নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রতিবাদে কানাইঘাটে বিক্ষোভ
- এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের সময়সূচি ঘোষণা করা হবে : প্রধানমন্ত্রী
- কুলাউড়ায় ৪শতাধিক মানুষের মাঝে জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের ত্রান বিতরণ
- কানাইঘাটে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের অর্থ তুলে দিলেন জেলা প্রশাসক মজিবর রহমান
- ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে হামলা আরও তীব্র করেছে রাশিয়া
- বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে আলোকসজ্জা নয় : প্রধানমন্ত্রী
- জগন্নাথপুর জামালপুরে বন্যার্তদের ত্রাণ বিতরণ সম্পন্ন
» চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের মরদেহ থাকার প্রমাণ দিলেন ফখরুল
প্রকাশিত: ২৮. আগস্ট. ২০২১ | শনিবার

চেম্বার ডেস্ক:: চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের মরদেহ থাকার প্রমাণ দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমান লাশ নেই- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মন্ত্রীদের নানা বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার রাতে এক ভার্চুয়াল আলোচনায় বিএনপি মহাসচিব নিজে প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে প্রমাণ তুলে ধরেন।
ফখরুল বলেন, শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মরদেহ সম্পর্কে, তার বডি (দেহ) এখানে এসেছে কি না- সে সম্পর্কে যে কথাগুলো এখন তারা বলেছে। আমি শুধু আজকে তার একটা প্রমাণ তুলে ধরতে চাই যে, শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে সেই চট্টগ্রাম থেকে তার দেহ তোলা হয় তারপরে তার পোস্টমর্টেম করা হয়। ডা. তোফায়েল আহমেদ সাহেব তার পোস্টমর্টেম করেছিলেন এবং ২২টি বুলেট তার শরীর থেকে বের করেছিলেন।
তারপরে ব্রিগেডিয়ার আ স ম হান্নান শাহ (প্রয়াত) তার মরদেহকে সামরিক এয়ার ক্রাফটে করে কুর্মিটোলায় নিয়ে এসেছিলেন, যেটা আমরা সবাই স্বচক্ষে দেখেছি। আমার মনে হয় তখন ড. মোশাররফ হোসেন সাহেব উপস্থিত ছিলেন। আমি এসএ বারী এটি (উপ-প্রধানমন্ত্রী) সাহেবের প্রাইভেট সেক্রেটারি হিসেবে সেখানে উপস্থিত ছিলাম। আমরা সেখানে দেখেছি- একটা কাঁচের বাসকেট ছিল সেখান থেকে আমরা তার দেহ দেখেছি।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে এই ধরনের কথাবার্তা বলার একটাই মাত্র উদ্দেশ্য সেটা হচ্ছে যে, ইতিহাসকে বিকৃত করে দেওয়া, জনগণের দৃষ্টিকে ভিন্ন দিকে সরিয়ে দেওয়া এবং বাংলাদেশকে এই যে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা হচ্ছে, সেখান থেকে মানুষের দৃষ্টিকে অন্যদিকে সরিয়ে দেওয়া।
তিনি বলেন, আমাকে একজন সাংবাদিক বলেছেন- ওবায়দুল কাদের (আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক) ছবি দেখাতে বলেছেন। ছবি কেউ কোনোদিন দেখায় না। উনাদের ছবিটাও কি উনারা দেখাতে পারবেন? এই কথাগুলো বলার উদ্দেশ্যই হচ্ছে যে, তারা ভিন্ন দিকে নিতে চায়, ভিন্নভাবে মানুষকে প্রতারিত করতে চায়। সত্যি কথা বলতে কি এই সরকার একটা ভণ্ড সরকারে পরিণত হয়েছে, হিপোক্রেট সরকার। প্রতিটি ক্ষেত্রে তারা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে।
ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের এখন কোনো রাজনীতি নেই। তারা অন্তঃসারশূন্য একটা রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। তারা জনগণের কোনো সমস্যার সমাধান করতে পারেনি, তারা করোনা সমস্যার সমাধান করতে পারেনি, আজকে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান তারা করতে পারেনি। আজকে আমাদের শিশুদের লেখা-পড়া প্রায় ধ্বংসের দিকে চলে যাচ্ছে। অর্থনীতি একেবারে রসাতলে যাচ্ছে। আজকে কোনো রকমের রাষ্ট্রের অগ্রগতির জন্য, জনগণের কল্যাণের জন্য, সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার উন্নতির জন্য তারা কোনো কাজই করতে পারেনি। আমাদের সব অর্জন তারা ধ্বংস করে দিয়েছে, হরণ করে নিয়ে গেছে। সেজন্য তারা মিথ্যাচার করে জনগণের দৃষ্টিকে ভিন্ন দিকে নিয়ে যেতে চায়।
এই অবস্থা উত্তরণে সবাইকে বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এই সরকার যতদিন থাকবে, আরও বেশি দিন যদি থাকে বাংলাদেশ আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সেজন্য আমাদের বড় প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে জনঐক্য সৃষ্টি করা। ১৯৭১ সালে যেমন জিয়াউর রহমান জনযুদ্ধ শুরু করেছিলেন সেই রকম জনযুদ্ধের জন্য আমাদেরকে ঐক্য সৃষ্টি করতে হবে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য।
বিএনপির স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির উদ্যোগে ‘২৮ আগস্ট ১৯৭১: জিয়াউর রহমান কর্তৃক রৌমারীতে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের প্রথম বেসামরিক প্রশাসনের উদ্বোধন’ শীর্ষক এই ভার্চুয়াল আলোচনা সভা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বিষয়বস্তুর উপর তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করেন দলের তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক একেএম ওয়াহিদুজ্জামান।
বিএনপির সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক ও স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব আব্দুস সালামের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও চিলমারী উপজেলার সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবদুল বারী সরকার বক্তব্য দেন।
[hupso]সর্বশেষ খবর
- কানাইঘাটে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে অর্থ সহায়তা প্রদান অব্যাহত
- বন্যাদুর্গত মানুষের মাঝে জনতা ব্যাংকের ত্রিশ হাজার কেজি খাদ্যসামগ্রী বিতরণ
- সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার প্রদান
- প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি ও নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রতিবাদে কানাইঘাটে বিক্ষোভ
- এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের সময়সূচি ঘোষণা করা হবে : প্রধানমন্ত্রী
সর্বাধিক পঠিত খবর
- কানাইঘাটে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ১০ জন আহত, গ্রেফতার-১
- ফের বাংলাদেশ থেকে ব্রিটিশ ভিসা দেওয়া শুরু, রয়েছে নানা শর্ত
- আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি মাহফুজের, ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম
- কানাইঘাটে পরকীয়ায় বাঁধা দেয়ায় যুবককে কুপিয়ে আহত,থানায় অভিযোগ দায়ের
- কানাইঘাটে ৫০ উর্ধ্ব মহিলার যৌন হেনেস্থার ভিডিও যে ভাবে ধারণ করে বখাটেরা
এই বিভাগের আরো খবর
- কানাইঘাটে বন্যার্থদের মধ্যে জামায়াতের আমির ডাঃ শফিকুর রহমানের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ
- দেশের মানুষকে অভুক্ত রেখে সরকার উৎসব করছে: সিলেটে মির্জা ফখরুল
- গোয়াইনঘাটে বন্যার্তদের মাঝে হাকিম চৌধুরীর শাড়ী-লুঙ্গি বিতরণ
- বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অনেকটা উন্নতি
- আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন