সর্বশেষ

» এবার মামা বাড়ি বেড়াতে এসে কিশোরী ধর্ষণের শিকার

প্রকাশিত: ০৫. অক্টোবর. ২০২০ | সোমবার

চেম্বার ডেস্ক:: নানীর বাড়িতে সেভেনআপ নিয়ে আসে দুই মামাতো ভাই ও তাদের এক খালাতো ভাই। সেই সেভেনআপ পান করতেই ঘুমিয়ে পড়েন নানী। একইভাবে ঘুম ঘুম লাগছিল স্কুল পড়ুয়া ফুফাতো বোনেরও। এমন অবস্থায় তিনজন মিলে টেনে হেঁচড়ে পাশের রুমে নিয়ে যায় মেয়েটিকে।

এরপর দুইজন তার হাত ধরে রাখে। আর জাহিদ নামে তারই এক মামাতো ভাই ধর্ষণ করে কিশোরী মেয়েটিকে।

সোমবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে আদালতে হাজির হয়ে নানী বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হওয়া কিশোরী এভাবেই বর্ণনা দেয়।

নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা খাতুনের আদালতে ২২ ধারায় এই কিশোরীর জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। অভিযুক্ত জাহিদ (২১) বন্দরের নবীগঞ্জ বড় বাড়ি এলাকার রুহুল আমিনের ছেলে। এ ঘটনায় সহযোগিতা করেছে জাহিদের ছোট ভাই আসিফ ও তাদের খালাতো ভাই রোহান।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, করোনার কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় গত ১৮ সেপ্টেম্বর বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জ এলাকায় নানী বাড়িতে বেড়াতে যায় অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মেয়েটি। গত ৩ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার বাড়ি ফাঁকা পেয়ে দুই ভাইয়ের সহযোগিতায় মামাতো ভাই জাহিদ মেয়েটিকে ধর্ষণ করে।

এ ঘটনার পরদিন গত ৪ অক্টোবর তিনজনকে আসামি করে বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ ও ধর্ষণের সহযোগিতার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন ধর্ষিতা মেয়েটির মা।

অভিযোগে বাদী বলেন, আসামি জাহিদ অনেকদিন ধরে আমার মেয়েকে খারাপ কাজের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। আমার মেয়ে রাজি না হওয়ায় গত ৩ অক্টোবর আমার মা ও আমার মেয়েকে ঘুমের ওষুধ মেশানো সেভেনআপ পান করায় জাহিদ ও তার দুই ভাই। অচেতন হয়ে পড়তেই পাশের রুমে নিয়ে আমার মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে জাহিদ। আর আসিফ ও রোহান আমার মেয়ের হাত ধরে রাখে। এই সময় আমার মেয়ের ডাক-চিৎকারে প্রতিবেশী রমজান ও রহমান নামে দু’জন লোক এগিয়ে আসলে আসামিরা দৌড়িয়ে পালিয়ে যায়।

মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক মোদাচ্ছের হোসেন জানান, মামলা গ্রহণ করে মেয়েটির ২২ ধারায় জবানবন্দি আদালতে রেকর্ড করা হয়েছে। অভিযুক্ত আসামিরা মেয়েটির মামাতো ভাই, তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফখরুদ্দিন ভুঁইয়া বলেন, মেয়েটির বাড়ি কুমিল্লায়। করোনাকালীন সময়ে স্কুল বন্ধ থাকায় মেয়েটি তার বাবা-মাসহ নবীগঞ্জে নানীর বেড়াতে এসে দীর্ঘদিন যাবত বসবাস করছিলো। ঘটনার দিন তার মা-বাবা বাড়িতে ছিলেন না। বৃদ্ধ নানী আর মেয়েটিকে একা পেয়ে এই সুযোগে তারই মামাতো ভাই মেয়েটিকে ধর্ষণ করেছে। ধর্ষক মামাতো ভাইয়ের সহযোগিতায় ছিলো তার দুই ভাই।

ওসি আরো বলেন, আমরা অভিযোগ গ্রহণ করে মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়েছি। ধর্ষণের আলামতও পাওয়া গেছে। মেয়েটি আদালতে জবানবন্দিও দিয়েছে। আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

July 2024
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031