সর্বশেষ

» ঈদ জামাতে আল্লাহর কাছে ব্যাধিমুক্তির প্রার্থনা, বায়তুল মোকাররমে প্রথম জামাত

প্রকাশিত: ০১. আগস্ট. ২০২০ | শনিবার

চেম্বার ডেস্ক:: ‘হে আল্লাহ, যারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের সুস্থতা দান করুন। আপনি এই ভাইরাস থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করুন, আমাদের মাফ করুন। সারা পৃথিবীর মানুষকে ক্ষমা করে দিন। সারাবিশ্বকে করোনামুক্ত করে দিন। আমিন’।

শনিবার জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত শেষে এভাবেই মোনাজাতে আকুতি করেন জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান।

মোনাজাতে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করা হয়েছে। পাশাপাশি সম্প্রতি বিশ্ব ও বাংলাদেশজুড়ে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতদের জন্য দোয়া করা হয়। এছাড়া মোনাজাতে সবার গুনাহ মাফ ও মৃত ব্যক্তির কবরের আজাব মাফ চাওয়া হয়েছে। বিশ্ব শান্তির জন্য দোয়া করা হয়।

মহামারীর মধ্যে এসেছে এবারের ঈদুল আজহা; সংক্রমণ এড়াতে বিধিনিষেধ মেনে মসজিদে মসজিদে ঈদের নামাজে অংশ নিয়েছেন হাজারো মুসলমান।

বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে এবারের ঈদের প্রথম জামাত হয় সকাল ৭টায়। মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান তাতে ইমামতি করেন।

মিজানুর রহমান মোনাজাতে বলেন, আল্লাহ যারা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেছেন, তাদের আপনি শাহাদাতের মর্যাদা দান করে দিন। হে আল্লাহ, যারা অসুস্থ আছেন, দয়া করে তাদের শেফা দান করে দিন। এই বিমারি থেকে, রোগ ব্যাধি থেকে আমাদের সবাইকে হেফাজত করে দিন।

এছাড়াও এ সময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার নিহত পরিবারের রুহের মাগফিরাত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করা হয়।

প্রতি বছর ঈদুল আজহা আসে ত্যাগের আহ্বান নিয়ে, মুসলমানদের সবচেয়ে বড় এই ধর্মীয় উৎসব বাংলাদেশে পরিচিত কোরবানির ঈদ নামে।

এবার ঈদ এসেছে এমন সময়ে যখন সারা বিশ্বের মানুষ করোনাভাইরাসের মহামারীতে বিপর্যস্ত। পাশাপাশি দেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় চলছে বন্যা।

এই দুঃসময়ে ঈদুল আজহা যেন সব আঁধার সরিয়ে মানুষের মধ্যে অনাবিল আনন্দ নিয়ে আসে সেই প্রত্যাশা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সবাইকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে ঈদ উদযাপনের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে রোজার ঈদের মতো এবারও ঈদগাহ বা খোলা ময়দানে ঈদের জামাত করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। ঈদের নামাজ মসজিদে মসজিদেই হচ্ছে।

শারীরিক দূরত্ব রেখে কাতার করতে হয়েছে বলে ভেতরে জায়গা না পেয়ে মসজিদের বাইরের প্রাঙ্গণেও অনেককে নামাজে দাঁড়াতে দেখা গেছে।

করোনাভাইরাস অতি সংক্রামক বলে বেশ কিছু বিধিনিষেধ মেনে নামাজ পড়তে হয়েছে সবাইকে।

সবাইকে বাসা থেকে ওজু করে মসজিদে যেতে হয়েছে মাস্ক পরে। কাতারে দাঁড়াতে হয়েছে দূরত্ব রেখে। নামাজ শেষে কোলাকুলি বা হাত মেলানো যায়নি। করোনাভাইরাস অতি সংক্রামক বলেই এ ব্যবস্থা।

বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭টায় ঈদের প্রধান জামাতের পর ৭টা ৫০ মিনিটে, ৮টা ৪৫ মিনিটে, ৯টা ৩৫ মিনিটে, ১০টা ৩০ মিনিটে এবং ১১টা ১০ মিনিটে ধারাবাহিকভাবে আরও পাঁচটি জামাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এদিকে, গত ১৪ জুলাই ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে ঈদের জামাত নিয়ে কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ঈদের নামাজের জামাতের সময় মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দ্বারা পরিষ্কার করতে হবে। প্রত্যেকে মুসল্লি নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসবেন।

প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে অজু করে মসজিদে আসতে হবে এবং অজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে। করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদে অজুর স্থানে সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে। ঈদের নামাজের জামাতে আগত মুসল্লিকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।

ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে শারীরিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দাঁড়াতে হবে এবং এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার করতে হবে। শিশু ও বৃদ্ধসহ অসুস্থ ব্যক্তি বা অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি ঈদের নামাজের জামাতে অংশ নেবেন না। সর্বসাধারণের সুরক্ষার নিমিত্ত স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধকল্পে মসজিদে জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো পরিহার করতে হবে।

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

July 2024
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031